তিনি মাকসুদুল আলম ।
তিনি একটি ইতিহাস ।
পাটের জন্মরহস্য উদ্ভাবনের পর এবার তিনি পাটে আক্রমনকারী ক্ষতিকর ছত্রাকের জীবনরহস্য উদ্ভাবন করেছেন ।
এটা যে কতবড় প্রাপ্তি এটা গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণকারী পুঁজিবাদী পিশাচগুলোও বুঝলোনা,রাজনীতিজীবী গরুগুলোও না ।
সানিলিওনের দেহ নিয়ে অথবা হিলারী ক্লিনটনের ফাইল ফুটেজ নিয়ে গণমাধ্যম যতোটা মাতে
মাকসুদুল আলমকে নিয়ে তার ছিঁটেফোঁটাও হয়না,হয়নি ।
কোথায় কোন পাতি নেতা গমচুরির টাকা দিয়ে চামচাসদৃশদের ত্রাণের নামে পাঞ্জাবি আর চাল দিচ্ছে অথবা ছাত্রলীগ,ছাত্রদল,ছাত্রশিবিরের মাথা ফাটানো,রগ কাটা,ধর্মবেচা,ধর্ষকগুলো কী কী করছে এইগুলো আমাদের পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলে উত্সাহ নিয়ে প্রকাশ করা হয় ।
মাকসুদের যুগান্তকারী উদ্ভাবনের কোন মূল্য নেই এদেশে ।
গরীবের টাকায় ফাও ফাও পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে,
তারা নাকি আবার প্রথম শ্রেণীর নাগরিক ।
যার টাকায় পড়ছে তাঁর প্রতি যার দায়বদ্ধতা নেই সে তো কুলাঙ্গার ।
যে কৃষকের উত্পাদিত পাট ও পাটজাত দ্রব্যের টাকায় সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কিছু অকৃতজ্ঞদের পুষছে তারা জানেইনা মাকসুদ কে !
তারা হিগস বোসন কনা ও আপেক্ষিকতা নিয়ে ফাও খাওয়া চায়ের দোকানে প্রলয় বইয়ে দেয় কিন্তু পাটের ও পাটের ছত্রাকের জিনোম সিকোয়েন্স সম্পর্কে তারা জানেনা অথবা জেনেও আলোচনা করেনা ।
তাদের কাছে মাকসুদুল আলম থেকে ইমরান হাশমি,ক্যাটরিনা,স্যাফ,সানি লিওন,পাওলি দাম অধিক পরিচিত ও উত্তম ।
মাকসুদুল আলম ও তাঁর অধীনে কর্মরত বিজ্ঞানীরা আধুনিক বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান ।
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সকল পদক তাঁদেরই প্রাপ্য ।
আমাদের সকলের উচিত মাকসুদুল আলমকে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির যোগ্য বলে নোবেল কমিটির দৃষ্টি আকর্ষন করা ।
যারা সন্তু লারমাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়না বলে মনঃক্ষুণ্ন অথবা যারা সুদি মহাজনকে হেনস্থ করায় কষ্ট পায় তাদের সকলের জানা উচিত
মাকসুদুল আলম এদের সকলের থেকে অনেক উচুঁ স্তরের যোগ্য মানুষ ।
মাকুসুদুল আলম ও তাঁর অধিনস্ত সকল বিজ্ঞানীকে অগনিত সশ্রদ্ধ সালাম ।
0 Comments