প্রীতিলতা হলের এক অসহায় ছাত্রীর কথা

অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রাপ্ত নির্ভরযোগ্য তথ্যমতে, প্রীতিলতা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জান্নাতুল তাসনিমকে হল থেকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বের করে দেয়া হয়। মাস্টার্সের একজন শিক্ষার্থী হয়ে এমন অন্যায় অপমানজনক সিদ্ধান্তে ভেঙে পড়েন তাসনিম । রান্না করে খাওয়া দাওয়া করার অভ্যাস তার। হলের রুম হাড়িপাতিল-জামাকাপড়সহ সিলগালা করায় তার খাওয়া দাওয়াও ছিল অনিয়মিত । থেকেছে উদ্বাস্তুর মত এখানে সেখানে । এরপর গত ২৫ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয় তাসনিম । নিয়ে আসা হয় মেডিকেলে। কোন কেউ তাকে দেখতেও আসেনি। অথচ এখনো তার থাকার ব্যবস্থা হয় নি, তার নিজের হলে আজ সে 'অবৈধ' ! কি মর্মান্তিক কথা ! পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন নারীর উপর এমন অবিচার কিভাবে কেউ করতে পারে !

এই বিষয়টি নিয়ে হলের দশের অধিক ছাত্রীর সাথে কথা হলে তারা প্রায় সকলেই বর্তমান প্রভোস্ট, হল সুপার ও হাউজ টিউটরের প্রতি স্বেচ্ছাচারীতা ও জবরদস্তিমূলক অন্যায় আচরণের অভিযোগ করে । ছাত্রীদের সঙ্গে বর্তমান প্রীতিলতা হল প্রশাসনের কোন সুসম্পর্কই নাকি নেই । বরং ছাত্রীদের অভিযোগ যে তাদের সাথে খুবই খারাপ আচরণ করা হয় । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, তাদের সাথে হলের সিক গার্ল থেকে সুপার, হাউজ টিউটর বা প্রভোস্ট সকলেই যাচ্ছেতাই ব্যবহার করে।
মাননীয়া উপচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ম্যা'ম আমাদের অভিভাবক । তিনি সকলের মাতৃস্থানীয় । তার এক সন্তানের প্রতি প্রীতিলতা হল প্রশাসনের এই অত্যাচার এবং হল প্রশাসনের প্রতি সাধারণ ছাত্রীদের নিয়ন্ত্রণহীন অনিয়ম ও অবিচারের অভিযোগের ব্যাপারে আশা করি তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন ।

এভাবে গণঅসন্তোষের কারণে হলের অভ্যন্তরে তাসনিম তৃষার জন্য একাধিক সভা, গণসাক্ষর কর্মসূচিও নেয়া হয়। তবে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকে প্রশাসন। এমন অবস্থায় প্রীতিলতা হলের বর্তমান হল প্রশাসনের ব্যর্থতাকে কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে?
সংযুক্তি : মাননীয় উপাচার্য বিক্ষুব্ধ ছাত্রীদের সাথে কথা বলে সার্বিক বিষয়ে ছাত্রীবান্ধব, ন্যায়সঙ্গত এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । ধন্যবাদ ম্যাম।
#Justice4Trisha #JusticeForWomen #প্রীতিলতা #StandWithTasnimTrisha