সর্বশেষ

ড. ইউনুসের কড়া প্রতিক্রিয়া: অং সান সুচিই রোহিঙ্গা সংকটের জন্য ১০০% দায়ি


মেহেদি হাসান: রোহিঙ্গা সংকটের জন্য শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সুচিকে কতটুকু দোষ দেয়া যায়?

মোহাম্মদ ইউনুস: এই সংকটে আমি অং সান সুচিকে ১০০% দোষ দেবো কারণ তিনিই নেতা। তিনি বলতে পারেন যে আর্মি তাকে বাধ্য করছে কিন্তু না...

মেহেদী হাসান: কিন্তু অনেকেই বলছে মিলিটারি চার্জে আছে। এখানে সু চির কি করার আছে?

মোহাম্মদ ইউনুস: ওহ, তাইলে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। কারণ এরা (রোহিঙ্গারা) তাদের নাগরিক। তিনি এ ব্যাপারে কেবল নীরব নন, মেীখিকভাবে তিনি এর পক্ষে(রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ ও অত্যাচার) কথা বলছেন।তিনি বলেছেন ‘আমি জানিনা কেন এরা (রোহিঙ্গারা) যাচ্ছে (আরাকান ছেড়ে বাংলাদেশে)’; আমাদের এখানে বর্বরতা চালানো হচ্ছেনা, আরাকানীরাই আমাদের আক্রমণ করছে, রাখাইনের গ্রামগুলোতে কোন অত্যাচার হচ্ছেনা, আগুন জ্বলছেনা, এসব মিথ্যা সংবাদ ” এসব তিনি বলেছেন। তিনি বিবৃতি দিয়েছেন। তাই তাকেই পুরো সংকটের দায় নিতে হবে। সে কারণে এর সঙ্গে আর্মি বা কোন কিছুকে যুক্ত করার কোন সুযোগ নেই। অং সান সুচিই দোষী, তিনিই দায়ী এবং তাকেই এই রোহিঙ্গা সংকটকে সমাধান করতে হবে।(Upfront, Al-Jazeera, ২০ অক্টোবর, ২০১৭)




এমন জ্বালাময়ী বক্তব্য এবং সরাসরি অং সান সু চিকে চপেটাঘাত করার জন্য ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে ধন্যবাদ। বাংলাদেশের সকল মিডিয়ার এই সংবাদটি ফোকাস করা উচিত। কিন্তু দুঃখের বিষয় আন্তর্জাতিক ডেস্কে বসে ‍AFP, REUTERS, BBC, CNN, Indiatimes আর NDTV অনুবাদ করাদের চোখে হয়তো এই সংবাদ চোখে পড়বেনা। সত্যি বলতে রোহিঙ্গা ইসূতে ইউনুসের এমন শক্ত অবস্থান এবং গণহত্যার দায় সু চি খুনীর উপর দেয়াটা একটি যুগান্তকারী অবস্থান। কারণ ইনিয়ে বিনিয়ে সু চি রেখে আর্মিদের উপর দোষ চাপানোর দিন নেই। ক্ষমতালোভী সু চি সে দেশে এখন একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী। পশ্চিমাদের সহায়তায় নোবেল নিলেও স্বার্থের জন্য চৈনিকদের ডেকে এনে দিয়ে দিছে আরাকানের বন্দরের ৭০% মালিকানা। কারণ সু চি ডাইনী টের পেয়েছে আজ হোক কাল হোক রোহিঙ্গাদের ভূখণ্ডে তাদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। যা হোক, ইউনুসের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে আরো বেশি শক্ত অবস্থানে নেবে এবং সু চি খুনীর গ্রহণযোগ্যতা তলানীতে যেতে সহায়তা করবে বলে বিশ্বাস। সুদ নিয়ে ড. ইউনুসের প্রতি যে বিরূপ মনোভাব তার কিছুটা মানবতা তথা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য লাঘব হয়েছে, এ কথা নির্দ্বিধায় বলে দিচ্ছি।
পাঠ অনুভূতি

Post a Comment

0 Comments