সর্বশেষ

ইসলাম ও বহুবিবাহ : মুফতি মামুনুর কাসেমি ও আবু ত্বহা আদনানদের শয়তানি

বাংলাদেশে অধিকাংশ ধূরন্ধর ব্যক্তি ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে সেই অপব্যাখ্যার ছায়াতলে এসে বাটপাড়িটা করে। 

নির্বাচনের ভোট থেকে শুরু করে চাকরি ও ব্যবসায় ধর্মীয় লেবাস, ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে চেরি পিক কিংবা ধর্মের নামে ভোগবাদী পুরুষতান্ত্রিক খায়েশ চরিতার্থ করা বিয়ে ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই অসাধু আচার তথা আকাজটা চলে।

শহর ও গ্রামেগঞ্জে খারাপ মানুষের সাথে হিন্দু ও মুসলমান পুরোহিত বা মোল্লাদের অনেকের আন্তরিক সম্পর্কও চোখে পড়বে।

হারাম আয়ের টাকা বা দান-খয়রাত নেওয়া যায়না এইটা ম্যাসিভ আকারে এদেশে কখনোই প্রচার হতে এ কারণে দেখা যায়না।

অনেক খারাপ লোক ভালো'র বেশে থেকে যা মহান আল্লাহ বলেননি তা আল্লাহর বাণী বলে প্রচার করে, যা মুহাম্মদ (স) বলেননি বা করেননি তা তাঁর মুখ দিয়ে বলান বা করান!

কোরান ও সহিহ হাদিসে স্পষ্ট নির্দেশনা থাকার পরেও নিজের বা নিজেদের ভোগবাদী স্বার্থে একেকটা অপব্যাখ্যা খাড়া করেন। 

যেমন, পবিত্র কোরানে বা সহিহ হাদিসের কোথাও মসজিদে এসে নিয়মিত নারীদের জামাতের সালাত আদায় করতে নিষেধ নাই৷ 

কিন্তু জাহেলরা এমনভাবে একটি পুরুষতান্ত্রিক ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছে যে, নারী বাইরে বের হয়ে মসজিদে এলে বুঝি অধিক ফিৎনার ঝুঁকি আছে। 

এ কারণে ৫ ওয়াক্ত নামাজ, জুমার নামাজ এবং এমনকি ঈদের নামাজেও নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পুরুষতান্ত্রিক মোল্লাতন্ত্রের আগ্রহ নাই (কিন্তু আল্লাহর রাসূল (স) এমনকি কেউ ঋতুবতী নারী হলেও বা কেউ কাপড় না থাকা দরিদ্র নারী হলেও তাঁকে ওড়না ধার দিয়ে ঈদের জামাতের মাঠে আনার সরাসরি নির্দেশ দেন)৷ 

আর আমাদের কথিত হাফি/দাবাদের অনেকে নারীদের মসজিদে আসার ব্যাপারে প্রায় গুরুত্ব দেননা বলেই স্পষ্ট। 

অথচ ফিৎনার ষোলয়ানা মসজিদবিমুখতা থেকে তৈরি হয়। 

নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে সালাত পাপ ও অশ্লীলতা থেকে দূরে রাখার উৎস। সমাজে পাপ অধিক কারণ নিয়মিত মুসল্লির পরিমাণ অধিক নয়। 

২। 
এমন আরেকটি মারাত্মক অপব্যাখ্যা হচ্ছে চার বিয়ে নিয়ে। 

অনেকেই বছরের পর বছর এই বিয়ের ব্যাপারে আমাদের কাছে অস্বচ্ছ বার্তা দিয়েছেন। 

কাসেমি না কী যেন একজন লোক আছেন দেখি, যার বিয়ে আছে এমন লোকদেরও একাধিক বিয়ে করতে উৎসাহ দিতে প্রচারাভিযান চালান। 

কিন্তু আল্লাহ কী বলেছেন বিয়ে নিয়ে?

সুরা নিসা দেখবেন নারীদের অধিকারের পাশাপাশি সামাজিক সুবিচারের জন্য জরুরি বিষয় নিয়ে আলাপ করেছে

এখানে বলে নিই, আমি ধর্মীয় পণ্ডিত নই। আমি বিশ্বাসী এবং আমার বিশ্বাসের তাড়না থেকেই আমি কোরানকে অবশ্যপাঠ্য টেক্সট মনে করে পড়ি৷ আলহামদুলিল্লাহ।

তো, নিসার চার বিয়ের আয়াতটি সারাজীবন গোঁজামিল দিয়ে গেছে আমাদের সমাজের অনেকে। 

ব্যক্তিগত খায়েশ ও ভোগবাদী জাহেলিসত্তার বাজে দাবি পূরণে অন্যের হক্ব নষ্ট করতে এটা ব্যবহার করার কারণে সমাজে শান্তির পরিমাণ কম। 

আল্লাহ এ আয়াতে তিনটা বিষয় বলেছেন। 

#প্রথমত, ইয়াতিমের হক্ব নষ্ট করা যাবেনা। অর্থাৎ কোনো ইয়াতিম নারীর বাবা বা অভিভাবক না থাকার সুযোগ নিয়ে তার দেনমোহর না দেওয়া বা তার সম্পদের লোভে তাকে বিয়ে করা বা কেউ অসহায় বা দেখতে 'অসুন্দর' ইয়াতিম বলে তাকে সহজেই বিয়ে করতে চাওয়া আর চলবেনা৷ 

লোভী অথবা যৌন খায়েশি বাটপাড়, দূর হও ইয়াতিমের দুয়ার থেকে। 

কিন্তু আমাদের সমাজে অসহায় নারীদের বিয়ের করার কথা বলে তাদের দেনমোহর কম দেওয়া হয়, গোপন রাখা হয় বিয়ের খবর যা স্পষ্ট কোরানে বর্ণিত ইসলামের মৌলিক নির্দেশনার সাথে যায়না। 

#দ্বিতীয়ত, ইয়াতিম না হোক, অন্য নারী হলেও তো বিয়ে করতে হবে। তাই না? 

তখন আল্লাহ প্রাগম্যাটিক দৃষ্টিকোণে বলেছেন, যে ইয়াতিমের প্রতি বেইনসাফ না করে বরং স্বাধীন নারীদের থেকে বিয়ে করো যারা বা যাদের অভিভাবক সব জেনেশুনে বিয়ে দেবে৷ 

এই বিয়ে এক, দুই, তিন বা চারটা পর্যন্ত হতে পারে, তবে একমাত্র 'ইনসাফ' এর ওপর ভিত্তি করে। 

অর্থাৎ যদি এ নারীদের মধ্যে যৌন অধিকার, আচার-ব্যবহার, সময় ও সম্পদের সুষম বণ্টন করতে পারবে এটা নিশ্চিত হতে পারে কেউ তবেই একের অধিক বিয়ে করতে পারবে। 

ইনসাফের কথা বাদ দিয়ে কেউ বিয়ে করলে সে আল্লাহর দুশমন। 

এখানে এ বিষয়টি চূড়ান্ত যে, গোপনে অন্য স্ত্রীকে না জানিয়ে বিয়ে করা আল্লাহর পছন্দ নয়। 

তিনি যখন ইনসাফ করতে বলেছেন সেটি প্রকাশ্যে সবাইকে জানিয়েই করতে হবে। 

নূর মোহাম্মদ (স)ও সেটিই করেছেন (যদিও রাসূল (স) এর বিয়ের সাথে অন্যান্য মানুষের বিয়ের উদাহরণ দেওয়া আমি সমর্থন করিনা। কারণ, রাসূল (স) এর স্ত্রীদের আল্লাহ উম্মুল মুমিনীন ঘোষণা দিয়ে তাঁর জীবনকে স্বতন্ত্র‍্য মূল্যায়ন করার দৃষ্টান্ত রেখেছেন। তবু একাধিক বিয়ে করতে যারা রাসূলের রেফারেন্স দেয়, ইনসাফ করার ক্ষেত্রে তাদের অনেকেই রাসূল (স) এর সম্পূর্ণ বিরোধিতা করে)। 

রাসূল মুহাম্মদ (স) কোনো স্ত্রীর ঘরে অন্যদের চেয়ে বেশি থাকলে সেটি অন্য কোনো স্ত্রীর সময় থেকে কাটা যেত এবং এটা স্ত্রীরা নিজেদের মধ্যে দেন-দরবার করতেন। এখানে রাসূল (স) নিজেও হস্তক্ষেপ করতেন না।  

আমাদের সমাজের আবু ত্বহা হাফি বা কাছেমি বাহিনী বা অন্য কেউ কি রাসূল (স) এর এই পথ অবলম্বন করে একাধিক বিয়ে করেন? 

এভাবে, এই আধুনিককালে ইনসাফ করা কয়জনের পক্ষে সম্ভব? 

একজন স্ত্রী বা স্বামী নিয়ে যেভাবে মানুষ ব্যস্ত, পরস্পরের হক্ব আদায় নিয়ে যে লড়াই সেটিই তো কঠিন! ইনসাফ না করে একাধিক বিয়ের চিন্তা সেখানে আসে কীভাবে? মুখে 'ইনসাফ' বললেই কি তা করা সম্ভব হয়? 

#তৃতীয়ত—এ আয়াতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে, আল্লাহপাক বলেছেন যে, মানুষ আসলে একাধিক স্ত্রীদের মধ্যে ইনসাফ করতে পারবেনা। 

মহান আল্লাহ মানুষ বানিয়েছেন, কারিগর হিসেবে মানুষ নামের ডিভাইসের সীমাবদ্ধতা তিনি ভালো করে জানেন। 

সে কারণেই আল্লাহ বলেছেন, যদি একাধিক স্ত্রীর সাথে ইনসাফ করতে পারবেনা বলে আশঙ্কা করো তবে অবশ্যই একটি বিয়েই উত্তম। 

আল্লাহ বলে দিছেন, ইনসাফের প্রিকন্ডিশন ফিল না করলে একটি বিয়েই উত্তম। এর বাইরে ইনিয়ে বিনিয়ে যে যাক, তার যত বড় টাইটেল থাকুক সেটি বাতিল হবে। আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করা হবে। 

অন টপ অব দ্যাট, দেখুন, আল্লাহ সরাসরি বলেছেন 'একটিই উত্তম'। এই একই সুরার ১২৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ পুনরায় জানিয়েছেন যে, যদিও মানুষ ভাবে সে একাধিক স্ত্রীর সাথে ইনসাফপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে পারবে, আসলে সে পারবেনা।

আল্লাহ বলেন: 'তোমরা কখনো স্ত্রীদের মধ্যে সুবিচার করতে পারবেনা, যদিও তোমরা তা কামনা করো' (নিসা:১২৯)। 

অর্থাৎ আল্লাহ স্পষ্ট করেছেন যে, চার বিয়া পর্যন্ত সুযোগ থাকার পরেও একটি বিয়েই উত্তম! 

এই কথা এই বেইনসাফি মাছলা, ছুলাছার উকিলগুলোর মধ্যে ধাপ্পাবাজ অংশ কোনোদিন আমাদের জানিয়েছে?

কারো স্ত্রী মারা যেতে পারেন, কারো স্ত্রী অসুস্থ থাকতে পারেন, কারো মনোমালিন্য হতে পারে ইত্যাদি নানা বাস্তবসম্মত কারণে ইসলাম তালাককে বৈধ করেছে। 

তবু ইসলামের দৃষ্টিতে, তালাক ও ভিক্ষা কিন্তু খুব নিকৃষ্ট জায়েজ কাজ—এটা সবাই জানেন। 

এর কারণ ইনসাফ। 

কেবল যৌন খায়েশ পূরণ করতে ইসলাম কোথাও বিয়ের কথা বলেনি। 

মানুষের অবাধ যৌনাচার, একাধিক নারী বা নারীর ক্ষেত্রে পুরুষের সান্নিধ্য মন চাইবে, শয়তান ওয়াছওয়াছা দেবে কিন্তু নফসকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। 

আল্লাহ রাসূলের মাধ্যমে রোজা রাখতে বলেছেন, দৃষ্টিকে হেফাজত করতে বলেছেন। তবু 'ব্যভিচারের ধারেকাছেও' যাওয়ার অনুমতি দেননি। 

ইসলামে বিয়ে মানে সেই অনন্তকালের সাপেক্ষে একটি অভিযাত্রা যেখানে পবিত্র জীবন যাপনের উদ্দেশ্যে দুটি প্রাণ এক হয়ে আরো প্রাণ সৃষ্টি করবে এবং দুনিয়ার আল্লাহর খেলাফতের প্রতিনিধিত্ব করতে ইনসাফ ও হক্বের জন্য লড়াই করবে। 

কেবল মজা-মাস্তি করা বা অন্যের হক্ব নষ্ট করে ধুমসে যৌনতার শয়তানী চিন্তায় বিয়ে করা ইসলামে নাজায়েজ। 

এই ধরনের সীমাহীন ভোগবাদ ইসলামের শিক্ষা নয়।

এরপরেও আল্লাহ এ আয়াতের পরের অংশে সেই সময়ের বাস্তবতায় বিয়ে করা অথবা অধীনস্থ দাসীদের সাথে যৌনতার সুযোগ রেখেছেন তবু যেন ইনসাফ পূরণ না করে বিয়ে করে অন্য কারো ওপর বেইনসাফ বা অন্যায় না হয়। কারো প্রাপ্য হক্ব যেন নষ্ট না করা হয়। 

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যেহেতু, বিদায় হজ্বে আল্লাহর রাসূল (স) সরাসরি ঘোষণা করেছেন যে, আরবের ওপর অনারবের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নাই এবং তোমরা যা খাবে, পরবে তাই তোমাদের অধীনস্থদের খাওয়াবে বা পরাবে—তাই দাসপ্রথা বলে কিছু আর থাকেনা। 

তাই দাসীদের সাথে যৌনতার কোনো সুযোগ নাই, যদিও আরব্য বাটপাড়গুলো এখনো এই আয়াতের অপব্যবহার করে প্রবাসী নারীদের যৌন হয়রানি করে বলে Human Rights Watch Amnesty International BRAC এর একাধিক প্রতিবেদন রয়েছে। 

অন্যদিকে, ইসলামের প্রাথমিক যুগে দাসীর ঘরে জন্মগ্রহণ করা সন্তান স্ত্রীর সন্তানদের সমান অধিকার পেতো। অর্থাৎ কাউকে পয়সা দিয়ে যৌনতা করে ভেগে যাওয়ার সুযোগ নাই। 


(৩)
সুতরাং, 'ওয়াল্লাহি ওয়াল্লাহি' করে আবু ত্বহা আদনান যতই তার অপকর্মকে ঢাকতে চাক এটি নিয়ে তার স্ত্রী সাবিকুন নাহারের আপত্তি ইসলামের দৃষ্টিতে আমলযোগ্য। 

ভদ্রমহিলা স্পষ্ট করেছেন, যিনার নানা ধরন নিয়ে। কথা বলা, চ্যাট করা, তাকানো ইত্যাদির মধ্যেও যিনা রয়েছে।

একইভাবে কাছেমির তৃতীয় স্ত্রী নুসরাতের অভিযোগও আমলযোগ্য। ড. Md. Adnan Arif Salim এর মতে, কাছেমি ইসলামের নামে পার্ভাটদের নারী সাপ্লাই দিয়েছে এবং নিজেও সীমাহীন যৌনতা করেছে যা ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। শুধু তাই নয়, জাহেল কাছেমি তার তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে হিল্লা না দিয়ে ব্যভিচার করে এবং গর্ভের সন্তানকেও হ--ত্যা করে বলে তার স্ত্রী নুশরাতের গুরুতর অভিযোগ। আশা করি, আইন কাছেমিকে দ্রুত ধরবে 

মোরোভার, আবু ত্বহা মিয়া এর আগে হঠাৎ গুম হয়েছিলেন বলে খবর এসেছিল। 

তৎকালীন সরকার উদ্ধার করে দাবি করেছিল, ত্বহা আদনান তার এক স্ত্রীর থেকে আড়াল হয়ে অন্য স্ত্রীর নিকট ছিলেন। সেই বার্তা অন্ধ হাফিভক্তদের অনেকেই পছন্দ করেনি। সেই সময়ের 'মিথ্যা উৎপাদন কারখানা'তত্ত্বে বিশ্বাস হবেনা এটাও সত্য।

কিন্তু আবু ত্বহা আদনান বলুক ঘটনা সত্য কী না। তাকে গুম করলে সে গুম কমিশনের কাছে অভিযোগ দিক। একই কথা Farhad Mazhar কে নিয়েও। তিনি 'গফুর ত্তত্ব'কে আজো কি নাকচ করার মত জোরালো এভিডেন্স সামনে এনেছেন? গুম কমিশনে নিজের গুম হওয়া নিয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন?

তো, স্ত্রীর স্পষ্ট অভিযোগের পরেও ত্বহা আল্লাহর কসম তো বলেছেই, আবার হযরত ইউসুফ (আ) এর ওপর জুলেখার বদনামের সাথে নিজেকে তুলনার পরোক্ষ চেষ্টা করেছে। 

এইটা আবু ত্বহার ধৃষ্টতা। আলেম সমাজের উচিত তাকে এর জন্য জবাবদিহি করানো। 

আগবাড়িয়ে সে উম্মুল মুমিনি আয়েশা (রা) এর ঘটনাও সামনে আনে। অথচ তাদের নামের পাশে নাম রাখার মত ন্যূনতম যোগ্যতাও ত্বহা গংয়ের নাই। 

বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। আর এ কারণে খুব সহজেই সমাজের কিছু ধুরন্ধর লোক আমাদের প্রতারিত করতে পারে। তাদের ব্যক্তি ও সামাজিক জীবন মারাত্মক গলদে পূর্ণ হওয়ার পরেও সমাজে তারা 'ওপিনিয়ন লিডার' হয়ে আলাদা সুবিধা আশা করে। 

কোনো কোনো ভক্তকুলের মাধ্যমে তারা এই অনৈসলামিক কথা ছড়ায় যে, 'আলেমদের বিচার পর্দার আড়ালে হবে। তাদের নিয়ে সমালোচনা করা যাবেনা'। 

অথচ আল্লাহপাক সুরা যিলযালে স্পষ্ট করেছেন যে, কেউ তিল পরিমাণ ভালো ও মন্দ করলে সেদিন তা দেখতে পারবে। আর সুপারিশের একমাত্র হল্ব আল্লাহর রাসূল (স) পাবেন, বাকি সবাই—ইনক্লুডিং অন্যান্য মাইটি প্রফেটস— 'ইয়া নাফসি' বলবেন!

আল্লাহর দরবারে ইনসাফ নিশ্চিতের কারণেই কেউ অতিরিক্ত সুবিধা পাবেনা। 

সুতরাং কোথাকার কোন কার মাইকেল কলেজের শরিয়তের বাইরের মাছলাপন্থী আবু ত্বহা আদনান কী বললো সত্যের স্বার্থে সেদিকে কান দেওয়া উচিত হবেনা। 

Abu Taw Haa Muhammad Adnan, আপনার ব্যক্তিগত স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করবেন না অনুগ্রহ করে। ইসলামের ওপর জুলুম করে আমাদের ধর্মকে ইসলামবিরোধীদের কাছে বিতর্কিত বা হাস্যকর করবেন না। 

আমাদের উচিত হৃদয় দিয়ে আল্লাহর কোরান এবং রাসূল (স) এর সহিহ বাণী এবং তাঁর প্রিয় সাহাবি (রা) এর জীবন অনুসরণ করা। 

সর্বক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে বাদ দিয়ে সামষ্টিক দৃষ্টিতে মানুষ এবং প্রাণ-প্রকৃতি-উদ্ভিদের কল্যাণেই শান্তি—এটিই ইসলাম।  

এটিই সিরাতুল মুস্তাকিম। 

ছবি/ইবনে কাছিরের তাফছির থেকে।

ত্বহা ও কাছেমি বিষয়ের স্ক্রিনশট
পাঠ অনুভূতি

Post a Comment

0 Comments