জাবির এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ:উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান
জাবি প্রতিবেদক,প্রাইমখবর
জাহাঙ্গীরনগর,সাভার,ঢাকা
২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষের জন্য ১ম বর্ষের চূড়ান্ত ও টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় দুর্নীতি,অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক জেষ্ঠ্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে।অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম অধ্যাপক ড এ কে এম শাহনেওয়াজ।তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের একটি কোর্সের অতিথী শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্বরত।
বাংলা বিভাগ সূত্রে জানা যায়,অধ্যাপক এ কে এম শাহনেওয়াজ হোসেন বাংলা বিভাগের ৪১তম ব্যাচের ১০৬ নম্বর কোর্সের অতিথী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।এই বিভাগেই উপরিউল্লেখিত ব্যাচে তাঁর আপন ভাইয়ের মেয়ে(ভাতিজী)সেজুতি শাহরিন স্বাগতাও অধ্যয়নরত।বিভিন্ন টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় অধ্যাপক শাহনেওয়াজ তাঁর ভাতিজীকে অতিরিক্ত নম্বর প্রদান করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আরেকটি গুরুতর অভিযোগ,তার ভাতিজী বাংলা বিভাগে ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত থাকলেও তিনি পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটির সদস্য হয়েছেন এবং এ পর্যন্ত তিনি সবকটি টিউটোরিয়াল পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেছেন।সর্বশেষ ১ম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্যও তিনি পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।অভিযুক্ত অধ্যাপক শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ বাংলা বিভাগের ৪১তম ব্যাচের(১ম বর্ষ)শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে।এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরাও অভিযুক্ত এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ করেছে ।
উল্লেখ্য,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী কোন বিভাগে অথবা পাঠদানরত কোন কোর্সে যদি দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের নিকটাত্মীয় অধ্যয়নরত থাকে তবে সেই কোর্সের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে পারবেননা ঐ শিক্ষক এবং ঐ কোর্সের পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটিতেও তিনি থাকতে পারবেন না।একারণে উদ্ভূত বিষয়টির জটিলাতামুক্ত আশু সমাধান চেয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্ত অধ্যাপক এ কে এম শাহনেওয়াজের সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি বলেন,এটি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ।এতে আমার মানহানি ঘটছে।'পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটিতে তাকে সদস্য না করার জন্য তিনি চিঠি দিয়েছিলেন বলে দাবী করেন অধ্যাপক শাহনেওয়াজ।তবে বিভাগের শিক্ষকদের সাথে কথা বললে তারা চিটিতে তিনি ভুল তথ্য দিয়েছেন বলে জানান।তারা বলেন,নির্দিষ্ট তারিখের আগেই পূর্বের তারিখে তিনি চিঠি দিয়েছিলেন যা একটি অনিয়ম বা ভুল পদ্ধতি।
প্রসঙ্গত,অধ্যাপক একে এম শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে পূর্বেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।২০০০-২০০১শিক্ষাবর্ষে তিনি তার আপন ভাগ্নেকে অনিয়ম করে ভর্তি করিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।শহীদ সালাম বরকত হলের প্রভোষ্ট থাকাকালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক কোয়ার্টার অতিরিক্ত তিন বছর সময় পর্যন্ত নিজ দখলে রাখেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এমআইআর
0 Comments