সর্বশেষ

১০৪ ডিগ্রি জ্বরে তোমার কথা মনে পড়ছে,'মা'

ঝড়ের বেগে দৌড়ে বেরোতাম ঘর থেকে-
টো টো করে ঘুরতাম,খেলতাম ও সন্ধ্যায় শেষবারের মত খালে ঝাঁপ,ডুব,সাঁতার .....
ওদের সঙ্গে মেলামেশা করার বারন থাকলেও ।

অর্ধপ্রহরে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আর জ্বর,
শত কাপড়ে ঢাকলেও শরীরের হীম হয়ে যাওয়া কিছুতেই থামেনা !
এরি মধ্যেও এই রাতে মা তুমি কত বিচলিত,
মাথায় পানি দিতে দিতে চোখের পানি ফেলছো,
বলছো, সব সেরে যাবে একটু ঘুমাও ।
এখন আর সব সারেনা,মা ।
তুমি হয়তো এখবর জানোইনা ।
তুমি যে সেকেলে একটা মা এখন !


সেইসব রাতে আমি ঘুমালেও তুমি ঘুমাওনি কখনো,
সকালে উঠে আমি দৌড়ে যথানিয়মে ব্যস্ত !!!
তবুও তুমি একবারের জন্যও পক্ষপাত করোনি ভালবাসা বন্টণে ।
তোমার ছায়া কতবার যে লুন্ঠন করছে নবউদ্যমে !

আজ এই রাত টেনে নিয়ে যায় সেই সে রাতের কাছে,
কাঁপুনি দিয়ে মরে গেলেও কে দেখে এখানে কাকে ?
তবুও অদেখা কিঞ্চিত আশায় এখনো জেগে থাকি ।
যদি ছায়াটা এসে বিভ্রান্ত করে হলেও মাথাটা টেনে নেয় বুকে ।


বড় বেশি যে আপন এখানে মুহূর্তে সে পর
নির্ঘুম রাত কাটেনি যে তার আসেনি এমন জ্বর ।
বিপুল পরিমাণ কষ্ট এ জন্য একটি কষ্টের মহিরূহ গড়ছে ।
এবং অবিমৃষ্যকারী ছায়াটা বড় বেশি যন্ত্রণাদায়ক এবং আবেগহীন হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে ।

মায়ের ছায়া মা দেখালো কোন কোনদিন স্বপ্নে,
স্বপ্ন কখনো মিথ্যা হয়না সত্য কী হয় তবে ?
আর অন্ধকার আমাকে আলোর প্রতারণা ধরিয়ে দেয় ।
যতই সময় পার হয় এক গহীন আকর্ষণের বিভত্‍স বন্ধনে জড়ানোর প্রবণতা বাড়ে ।


পথে পথে সমসময়ে খুঁজে হয়রান কিছু কথা, যত্ন , বাঁধা,
ধমক, তীব্র ভালবাসা
আর চোখে অজস্র পানি আনে নিষ্ঠুর রাতের কাঁপুনি দেওয়া ১০৪ ডিগ্রি জ্বর এবং একটি অব্যক্ত ছোটগল্প।

[ উত্‍সর্গ :
যারা কাঁপুনি দিয়ে আসা জ্বর এলেই মায়ের কথা মনে করে কী সব পুরানো কথা যেন ভাবে ! মায়ের যত্ন, শাসন, আদর আর গাঢ় ভালবাসা যারা প্রতিনিয়ত এই দূরান্তে থেকেও অনেক বেশি পরিমাণ অনুভব করে ।
যাদের বুকে কেউ একজন একফোঁটা আশ্রয় চায় বেঁচে থাকার ন্যূনতম আশা আর জীবনবোধ নিয়ে

এবং
চোখ দিয়ে অসংখ্য ফোঁটা অশ্রু গড়ালেও এবং নিরিবিলি লুকিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদলেও খুব জ্বরে যাদের মা কখনো আর সাড়া দেবেনা, এমন কী মায়ের সেই ছায়াটাও-
তাদের প্রতি । ]
পাঠ অনুভূতি

Post a Comment

0 Comments