সর্বশেষ

বাংলাদেশের উন্নয়নে দেশের পণ্য ব্যবহার

বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য প্রতিবন্ধক একটি শ্রেণী আছে এবং এই শ্রেণীটি স্মার্ট দেশদ্রোহী।এদের মানসীক হীনমন্যতা প্রকাশ্যে এরা মহামারীর মত ছড়িয়ে বেড়ায়।বাংলাদেশের ইতিবাচক কিছুই এরা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনা।কিভাবে চিনবেন এদের?একটি ছোট্র উপায় বলি।
আপনি যদি ওয়ালটনের কোন পণ্য কিনে গর্ব করে বলেন বা কিনতে বলেন অন্যদের তখন এদের নাকটি সিঁটকিয়ে উঠবে।ধরুন আপনি ওয়ালটনের একটি এন্ড্রয়েড ফোন কিনলেন এবং বললেন,'...দেশী পণ্য কিনে অন্ততপক্ষে এই টাকাটা দেশে রাখলাম'।আপনার আশেপাশে যদি সেই সব অকৃতজ্ঞ ও হীনমন্যদের কেউ থাকে সে বলে উঠবে,'আরে ওয়ালটন কি দেশি?ভুয়া!চায়না থেকে আসে সব যন্ত্রপাতি...'ইত্যাদি।এর মানে ঐ অকৃতজ্ঞ নিজে ওয়ালটন ব্যবহার তো করেইনা,বরং অন্যদের নিরুত্‍সাহিত করে ওয়ালটনের পণ্য কিনতে।কারণ তার কৃতঘ্ন আত্মাটি পড়ে থাকে আইফোন,স্যামসাং,নোকিয়া,ম্যাক্সিমাস,সিম্ফোনিতে।
এবার আসুন ওয়ালটনের দেশি হওয়া বিষয়ে সংশয়ের জবাবে।পুঁজিবাদী বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্রান্ড এপলের আইফোন।এই ফোন নির্মাণের জন্য পার্টসের ফাইনাল এসেম্বল(Assemble)হয় চীনে।ঐ অকৃতজ্ঞরা কি আইফোনকে চীনের পণ্য বলে?না,তা কখনোই বলবেনা।তাদের দেশদ্রোহীতা কেবল বাংলাদেশের পণ্য ব্যবহারের প্রতি।ওয়ালটন,টেলিটক,এপেক্স প্রভৃতির প্রতি।
ওদের কথায় কান দেবেন না।ওয়ালটনের পণ্য কিনুন,আপনার টাকা আপনার ঘরে রাখুন।আপনার দেয়া একেকটি টাকায় বাংলাদেশ স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাবেই।নিশ্চিত থাকুন দেশের পণ্যটি যে টাকা দিয়ে আপনি কিনছেন দেশ সেই টাকাটা যেকোন সেবাখাতে আপনার পিছনে খরচ করবে।সুতরাং দেশের পণ্য মানে আপনার আমার পণ্য।দেশকে ভালবাসা মানে আপনাকে ভালবাসা।
পাঠ অনুভূতি

Post a Comment

0 Comments