সর্বশেষ

বিশ্ব রাজনীতি ও ধর্মীয় নেতৃত্ত্ব


ইরান,লেবানন ও সিরিয়ার আছে একজন আয়াতুল্লাহ।পারস্য সাম্রাজ্যের উত্তরাধীকারী ইরানীরা নিজেদের সমৃদ্ধ অতীতকে ফিরিয়ে আনতে এই ইমামের ছত্রচ্ছায়ায় সক্রিয়।
তুরস্কের আছে একজন হারুন ইয়াহিয়া।ওসমানীয় সাম্রাজ্যকে একীভূত করতে তুর্কি ইসলামিক ইউনিয়নের স্বপ্ন দেখায় হারুন ইয়াহিয়া ছদ্মবেশে থাকা আদনান ওখতার।
আমেরিকা ও ইউরোপের আছে ক্যাথলিক পোপ।রোমান সাম্রাজ্যের উত্তরপুরুষেরা খ্রীস্ট ধর্মের একটি অংশের উপর ভর করে ক্ষমতার ছড়ি ঘোরাচ্ছে।
রাশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার রয়েছে অর্থোডক্স বাপ্টিস্ট ফাদার।গ্লোবাল নেতৃত্ত্বে রাশিয়ান সাম্রাজ্য কিংবা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে এই ফাদারও পুতিনের আগ্রাসনকে সমর্থন করে বিবৃতি দেন।
সৌদি আরব ও উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর রয়েছে গ্র্যান্ড মুফতি ও ক্ষেত্রবিশেষ জাকির নায়েক।নিভু নিভু করে আরব্য কুপিকে প্রজ্জ্বলিত করতে এদের ফতোয়া কাজে লাগায় আরব বাদশাহরা।
আইএস একজন বোগদাদীকে বৈশ্বিক নেতা বলছে।ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রচার করছে সনাতন ধর্মের পন্ডিতরা।তিব্বতে রয়েছে দালাইলামা।তালেবানের আখতার মনসুর।ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।
২।
সাধারণের মনস্তত্ত্বকে অনুকূলে আনতে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হচ্ছে একটি আইকনিক ব্যক্তিত্ত্ব তৈরি করা ও তার মাধ্যমে নির্ধারিত এজেন্ডা প্রচার।বিশ্বব্যাপী সেটিই আমরা দেখছি।যেখানে রাজনীতিবিদরা ব্যর্থ হচ্ছে সেখানেই ধর্মীয় গুরুদের আবির্ভাব।ধর্মকে রাজনীতিকরণের এই প্রক্রিয়া আজকের নয়,এটি একদম গোঁড়া থেকে চলছে।সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের জন্য ধর্মীয় একটি শক্ত ফিগার অত্যাবশ্যক।এটি ছাড়া আধিপত্য বলয় দীর্ঘস্থায়ী হয়না বলেই শাসক বা শোষক একজন ধর্মগুরুকে সুপিরিওর করতে সচেষ্ট হয়।
৩।
সুতরাং পর্দার আড়ালের ঘটনাপুঞ্জ নিয়েও ভাবতে হবে।এখন আর কিছুই সরল নেই।বিশ্ব রাজনীতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে।সব শক্তিরই একটি গোপন এজেন্ডা রয়েছে।সবাই তলে তলে সমরাস্ত্র বৃদ্ধি করছে।আর উপরে বলছে শান্তির কথা।সুমিষ্ট কথা ছড়াচ্ছে মিডিয়ার মাধ্যমে আইকন হওয়া ধর্মীয় নেতা।
পাঠ অনুভূতি

Post a Comment

0 Comments