সাম্প্রতিক তিনটি বিষয়ে Agenda setting ও বিভ্রান্তিকর Propaganda
............................................................................
১।
সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে প্রবল মার্কিন ও অবৈধ ইসরাঈল বিরোধী বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যূত করতে ব্যর্থ হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,ব্রিটেন ও তার অনুগত দোসররা।ইরান,রাশিয়া,দক্ষিণ আমেরিকার রাষ্ট্রগুলো ও লেবাননের শক্ত মার্কিন বিরোধীতা এখানে ভূমিকা রাখে।সেইসাথে বাশারের সুদক্ষতা ও জনপ্রিয়তাও কাজ করে।আমেরিকা সিরিয়ায় হামলা চালাতে গেলে রাশিয়া পাল্টা যুদ্ধ জাহাজ পাঠায় এবং বিশ্বযুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার উপক্রম হয়।পিছিয়ে আসে আমেরিকা।সেই থেকে অপেক্ষা সিরিয়ায় হামলা চালানোর উপায় খোঁজার।
পশ্চিমা গণমাধ্যম Agenda Set করে এমন এক শক্তির উত্থান ঘটায় যার নাম ISIL।এদের একসময় অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করে আমেরিকা।নিজ স্বার্থে Propaganda চালিয়ে একে বড় শত্রুরূপে আবির্ভৃত করে।এবং সর্বশেষ IS এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।এখন?এখন আর কি বিমান হামলা চলবে সিরিয়ায়,ইরাকের একটা অংশে।ইরাক থেকে কুর্দিস্তান স্বাধীন হয়ে যাবে।এদিকে শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্ব চলবে।আর ISIL দমনের অযুহাতে বাশারের সেনাবাহিনীকেও আক্রমণ করবে।একসময় পাল্টা গোলা ছোঁড়ার অযুহাতে যুদ্ধ বেঁধে যাবে বাশারের সাথে।এই বাশার ISIL ও USA উভয়ের অভিন্ন শত্রু!দুই মিত্র এক হয়ে সিরিয়া বিধ্বস্ত করবে,দামেসকো দখলে নেবে শত্রুরা।এরপর?এরপর এক মহাযুদ্ধের অপেক্ষায় ইরানের দিকে অস্ত্র তাক করে বসে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র,অবৈধ ইসরাঈল ও তার দল।
কেন দামেস্কো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এত গুরুত্ত্বপূর্ণ এই প্রশ্ন জাগেনা?এর কারণ খ্রিস্টান, ইসলাম ও ইহুদী কট্রর বিশ্বাস মতে, দামেস্কে ঈসা আ প্রত্যাবর্তন করবেন,ইমাম মাহদিও সেখান থেকে বীর বিক্রমে ইহুদীবাদীসহ সব সাম্রাজ্যবাদী ও আগ্রাসনকারীদের তাড়া করবেন।এটি হবে কিয়ামতের পূর্বে মুসলমানদের Fort।সেই দুর্গকে দখলে নিতেই কি এতো পরিকল্পনা? ইমরান নজর হোসেন তার বিখ্যাত গ্রন্থ Jerusalem In Quran বইয়ে এরকম ইঙ্গিত করেছেন।
তারমানে ISIL ততদিন জীবিত থাকবে যতদিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় হামলা না চালাচ্ছে...। কারণ আইএস তৈরি করেছে তেল আবিভ এবং মোসাদ। এই বজ্জাত গোষ্ঠীর মূল উদ্দেশ্য ইরাক ও সিরিয়াকে বিভক্ত করা এবং খ্রিস্টানদের সাথে মুসলিম ভ্রাতৃত্ত্ব নষ্ট করা। এ কারণেই বর্বর আইএস বিনা কারণে নিরীহ ইয়াজিদীদের হত্যা করেছে।
২।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সাম্রাজ্যবাদের অন্যতম জনক,পৈচেশিক উপনিবেশবাদী গ্রেট ব্রিটেনের জন্য একটি ভয়ার্ত দিন।এই দিন স্কটল্যান্ডে গণভোট হবে ব্রিটেন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার।এই সংবাদটিক বিশ্বগণমাধ্যম Agenda Set করে এড়িয়ে যাচ্ছে।অথচ #Scotland ব্রিটেন থেকে বেরিয়ে গেলে ব্রিটেন অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।স্কটল্যান্ডের মূখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন,ব্রিটেনের অবৈধ যুদ্ধের ব্যয় বহন করতে আমরা ইচ্ছুক নই।ব্রিটিশ Mainstream Media অবশ্য নির্লজ্জের মত No ভোটের Propaganda চালাচ্ছে।তবে শতভাগ শিক্ষিতরা #Vote #Yes নামে Social media তে প্রচারণা চালাচ্ছে।এদিকে স্কটল্যান্ডের দিকে তাকিয়ে আছে স্পেনের কাতালোনিয়া ও কানাডার কুইবেগ প্রদেশ।স্কটল্যান্ড স্বাধীন হলে এরাও স্বাধীনতা ঘোষণা করবে।অথচ ঘটনাগুলো BBC,CNN,AFP কত নিখুঁতভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে!তারপরেও জয় হবে মেহনতী স্বাধীনতাকামীদের।
৩।
কাশ্মীরের বন্যা কবলিত এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর তত্পরতা এতোটাই কম যে উদ্ধারকর্মীদের পক্ষপাত দেখে ক্ষুব্ধ কাশ্মিরীরা।ভারতীয়রা ব্যস্ত সেনা ক্যান্টনমেন্ট থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে যাতে এগুলো স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরীদের হাতে না যায় ।ওদিকে মানুষ না খেয়ে মরছে,ডুবছে।আর এদিকে কাশ্মিরের মুসলিমদের সহায়তার কথা বলায় এক অধ্যাপককে মেরেছে উগ্র ভারতীয়রা।এসব ঘটনা Agenda set করে ভারত বিশ্বকে জানতে দিচ্ছেনা।বিদেশীদের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে।কয়েকজন সরকারি লোক ও কিছু সাধারণকে উদ্ধারের সরকারি ফুটেজ Propaganda হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের দায়বদ্ধতা দেখাচ্ছে ভারত।অথচ বাস্তবতা বড় নির্মম এবং তা ভারতের প্রতি ঘৃণা উদ্রেক করে।
#Kashmir #Flood
#VoteYes #indyref
#Scotland
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪
............................................................................
১।
সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে প্রবল মার্কিন ও অবৈধ ইসরাঈল বিরোধী বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যূত করতে ব্যর্থ হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,ব্রিটেন ও তার অনুগত দোসররা।ইরান,রাশিয়া,দক্ষিণ আমেরিকার রাষ্ট্রগুলো ও লেবাননের শক্ত মার্কিন বিরোধীতা এখানে ভূমিকা রাখে।সেইসাথে বাশারের সুদক্ষতা ও জনপ্রিয়তাও কাজ করে।আমেরিকা সিরিয়ায় হামলা চালাতে গেলে রাশিয়া পাল্টা যুদ্ধ জাহাজ পাঠায় এবং বিশ্বযুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার উপক্রম হয়।পিছিয়ে আসে আমেরিকা।সেই থেকে অপেক্ষা সিরিয়ায় হামলা চালানোর উপায় খোঁজার।
পশ্চিমা গণমাধ্যম Agenda Set করে এমন এক শক্তির উত্থান ঘটায় যার নাম ISIL।এদের একসময় অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করে আমেরিকা।নিজ স্বার্থে Propaganda চালিয়ে একে বড় শত্রুরূপে আবির্ভৃত করে।এবং সর্বশেষ IS এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।এখন?এখন আর কি বিমান হামলা চলবে সিরিয়ায়,ইরাকের একটা অংশে।ইরাক থেকে কুর্দিস্তান স্বাধীন হয়ে যাবে।এদিকে শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্ব চলবে।আর ISIL দমনের অযুহাতে বাশারের সেনাবাহিনীকেও আক্রমণ করবে।একসময় পাল্টা গোলা ছোঁড়ার অযুহাতে যুদ্ধ বেঁধে যাবে বাশারের সাথে।এই বাশার ISIL ও USA উভয়ের অভিন্ন শত্রু!দুই মিত্র এক হয়ে সিরিয়া বিধ্বস্ত করবে,দামেসকো দখলে নেবে শত্রুরা।এরপর?এরপর এক মহাযুদ্ধের অপেক্ষায় ইরানের দিকে অস্ত্র তাক করে বসে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র,অবৈধ ইসরাঈল ও তার দল।
কেন দামেস্কো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এত গুরুত্ত্বপূর্ণ এই প্রশ্ন জাগেনা?এর কারণ খ্রিস্টান, ইসলাম ও ইহুদী কট্রর বিশ্বাস মতে, দামেস্কে ঈসা আ প্রত্যাবর্তন করবেন,ইমাম মাহদিও সেখান থেকে বীর বিক্রমে ইহুদীবাদীসহ সব সাম্রাজ্যবাদী ও আগ্রাসনকারীদের তাড়া করবেন।এটি হবে কিয়ামতের পূর্বে মুসলমানদের Fort।সেই দুর্গকে দখলে নিতেই কি এতো পরিকল্পনা? ইমরান নজর হোসেন তার বিখ্যাত গ্রন্থ Jerusalem In Quran বইয়ে এরকম ইঙ্গিত করেছেন।
তারমানে ISIL ততদিন জীবিত থাকবে যতদিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় হামলা না চালাচ্ছে...। কারণ আইএস তৈরি করেছে তেল আবিভ এবং মোসাদ। এই বজ্জাত গোষ্ঠীর মূল উদ্দেশ্য ইরাক ও সিরিয়াকে বিভক্ত করা এবং খ্রিস্টানদের সাথে মুসলিম ভ্রাতৃত্ত্ব নষ্ট করা। এ কারণেই বর্বর আইএস বিনা কারণে নিরীহ ইয়াজিদীদের হত্যা করেছে।
২।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সাম্রাজ্যবাদের অন্যতম জনক,পৈচেশিক উপনিবেশবাদী গ্রেট ব্রিটেনের জন্য একটি ভয়ার্ত দিন।এই দিন স্কটল্যান্ডে গণভোট হবে ব্রিটেন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার।এই সংবাদটিক বিশ্বগণমাধ্যম Agenda Set করে এড়িয়ে যাচ্ছে।অথচ #Scotland ব্রিটেন থেকে বেরিয়ে গেলে ব্রিটেন অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।স্কটল্যান্ডের মূখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন,ব্রিটেনের অবৈধ যুদ্ধের ব্যয় বহন করতে আমরা ইচ্ছুক নই।ব্রিটিশ Mainstream Media অবশ্য নির্লজ্জের মত No ভোটের Propaganda চালাচ্ছে।তবে শতভাগ শিক্ষিতরা #Vote #Yes নামে Social media তে প্রচারণা চালাচ্ছে।এদিকে স্কটল্যান্ডের দিকে তাকিয়ে আছে স্পেনের কাতালোনিয়া ও কানাডার কুইবেগ প্রদেশ।স্কটল্যান্ড স্বাধীন হলে এরাও স্বাধীনতা ঘোষণা করবে।অথচ ঘটনাগুলো BBC,CNN,AFP কত নিখুঁতভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে!তারপরেও জয় হবে মেহনতী স্বাধীনতাকামীদের।
৩।
কাশ্মীরের বন্যা কবলিত এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর তত্পরতা এতোটাই কম যে উদ্ধারকর্মীদের পক্ষপাত দেখে ক্ষুব্ধ কাশ্মিরীরা।ভারতীয়রা ব্যস্ত সেনা ক্যান্টনমেন্ট থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে যাতে এগুলো স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরীদের হাতে না যায় ।ওদিকে মানুষ না খেয়ে মরছে,ডুবছে।আর এদিকে কাশ্মিরের মুসলিমদের সহায়তার কথা বলায় এক অধ্যাপককে মেরেছে উগ্র ভারতীয়রা।এসব ঘটনা Agenda set করে ভারত বিশ্বকে জানতে দিচ্ছেনা।বিদেশীদের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে।কয়েকজন সরকারি লোক ও কিছু সাধারণকে উদ্ধারের সরকারি ফুটেজ Propaganda হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের দায়বদ্ধতা দেখাচ্ছে ভারত।অথচ বাস্তবতা বড় নির্মম এবং তা ভারতের প্রতি ঘৃণা উদ্রেক করে।
#Kashmir #Flood
#VoteYes #indyref
#Scotland
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪
0 Comments