খাদিজাকে যখন ঐ পিশাচ বদ রুল কোপাচ্ছিল তখন হৈ হৈ হৈ আর ও মাই গড করে লোকে
পালাইছে । যে ছেলেটি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দৌড়ে গিয়েছিল তাঁর নাম #ইমরান
কবির । সদ্য ইন্টারমিডিয়েট শেষ করা এক কিশোর । খাদিজার রক্তাক্ত দেহ নিজে
কোলে করে হাসপাতালে নিয়েছে সে । তার গায়ের অল্পদামী টিশার্ট ভিজে একাকার ।
হাসপাতালে নেয়ার পর প্রচুর রক্তের প্রয়োজন পড়ে খাদিজার । আঠারো না পেরোনো
ইমরান সঙ্গে সঙ্গে নিজের রক্ত দেয় । এর নাম মনুষত্ত্ব । এটাই মানবিকতা । তো
এই দেশের মিডিয়া যে আউল ফাউলদের সেলিব্রেটি বানায় তারা কি
এই ইমরানকে বানাতে পারেনা ? বদরুলের মত বাজে লোক যত কাভারেজ পেয়েছে ইমরান
তো তার সিঁকিভাগও পেলোনা।সমাজে ইমরানরা এখনো আছে বলে আমরা মানুষ দেখতে
চিড়িয়াখানায় যাইনা । এইসব ইমরানদের মাহাত্ম প্রচার করতে হবে । তাদের
প্রাপ্য সম্মান যখন দেয়া হবে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বদরুলদের বিলুপ্তি ঘটবে ।
ছোট ভাই ইমরান আমার ফ্রেন্ডলিস্টে আছে । তার লিস্টে আমি তারে রিকোয়েস্ট
দিয়ে এসেছি । গৌরববোধ করছি এমন এক জীবীত মহামানুষের ফ্রেন্ডলিস্টে জায়গা
পেয়ে। এই দেশের অনুত্পাদনশীল ও অকর্মাদের সেলিব্রেটি বানানো বাদ দিয়ে চলুন
ইমরানদের দিকে চোখ ও ক্যামেরাটি ঘোরাই । ইমরানের মত হবে আমার সন্তান-এই
কথা বলে কজন এই সমাজে ?
#খাদিজা #ইমরান #Khadiza #Imran
#খাদিজা #ইমরান #Khadiza #Imran
0 Comments