সর্বশেষ

নজরুল নেই বলে, কবি-বিপ্লবী সব চলে গেছে বুর্জোয়ার দলে


কত বেলা শ্রমিকের গান গাওয়া হয়না, কৃষকের স্তুতি অরচিত
কত বেলা শ্রমিকের ঘামফোঁটা কেউ গোনেনা (ভিডিও: রাশিয়া-চীন-জাপানের বাজার ধরবে বাংলাদেশ)
তার খোঁজ রাখেনা, তার খোঁজ রাখার দরকার পড়েনা ।

আমরা হাতে গোনা কিছু বুর্জোয়ার শব্দকে পূজা করি নিয়মিত,
গবেষণার ঝুড়ি খুলি সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিতে,
কর্পোরেটের তীব্র চাওয়ায় অসম্পৃক্ত আজি সাম্যবাদী,
তাঁর অগ্নিবীণায় অচর্চার জং ধরেছে, ভাঙার গানগুলো ট্রাংকে বদ্ধ
আমরা গরীবের কবিতাগুলোকে আরো গরীব করেছি, অসহায় করেছি, দুখু নেই আমাদের ইনটেলেকচুয়াল বলয়ে
তারে পাঠহীন রেখেছি প্রতিটি মহাবিদ্যালয়ে।
(ধর্ষণের প্রতিবাদে নারীরাও সরব হয়ে মিছিল করছে)
তার ফল ভয়াবহ
সর্বহারার আজ সব হারানোর পরে জেগে ওঠার কথা মনে নেই,
মজুরের শ্রম সস্তার চেয়ে কম, পাইকারী হারে শ্রমিক মরছে মুনাফার পদতলে
সেই সুঘ্রান, বিপ্লবের অঘ্রাণ পরিকল্পিত উপায়ে চাপা দিয়েছে
নারীজীবী ধাপ্পাবাজ কবিরূপীর দল
তারা এখনো বই ছাপায়, কলমের বদলে শুধু আছে কিবোর্ড
লেখে শব্দ আর তা কৃত্রিম তোতাপাখির মত-
ব্যবসার কথা বলে, নগ্নতার কথা বলে, দেহবাদের কথা বলে
পরতে পরতে বুর্জোর আধিপত্য;
কাজী নজরুলের চলে যাওয়ার পর
চাপা পড়েছে বিপ্লবী ঝান্ডা-আবার উড্ডয়ন হয়েছে শয়তানদের ফাঁপা বুলির
বিপ্লবী নেই, সাম্যবাদ নেই, শিকল ভাঙার কেউ নেই
সবাই চাপা পড়েছে, প্রলেতারিয়েত কাঁদে নিভৃতে, বিপ্লবীর চলে যাওয়ায়
গরীব-দুঃখী-নিপীড়িত-ক্ষমতাহীন-শ্রমিকের কোন কবি নেই আর এই ধরায়।

২৫ মে ২০১৫।
পাঠ অনুভূতি