শুভাশিস রায় একটা বেয়াদব। মাশরাফির দিকে ঐভাবে তেড়ে আসা বেয়াদবিকে ইতিবাচকভাবে দেখবে কেবল আরেকটা বেয়াদব। মাশরাফি এই কারণেই আলাদা যে, সে এই ব্যাপারটি নিয়ে ‘বাড়াবাড়ি’ না করতে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু এ ঘটনার আড়ালের বয়ানটা ঠিক ফেসবুক লাইভে পাওয়া যাওয়ার কথা না। মাশরাফি মূলত তার ক্যারিয়ারে দেশে বিদেশে কোন খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এইভাবে বেয়াদবের মত তেড়ে আসার সম্মুক্ষীণ হননি। সেটি হলেন শুভাশিসের কাছে। এটি চিরকাল থেকেও যাবে।
ধরুন, মাশরাফি শুভাসিসকে মাঠের মধ্যে বলেছেন এবং চিৎকার করেই বলেছেন, যাহ! বল কর! তো সে কারণে শুভাশিস ঐভাবে তেড়ে আসবে? এইটা আমার কচুর এগ্রেসিভনেস! এইটারে বলে বেয়াদবী এবং এই বেয়াদবরা জীবনেও দেশ ও জাতিকে গৌরবান্বিত করতে পারেনা। মাশরাফি যেই সেই কেউ হলে শুভাশিসের ঐ প্রতিক্রিয়া মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু মাশরাফি একটি নিরঙ্কুশ ভালবাসার নাম। শুভাশিসের মত কচুঘেচু খুঁজলে বাংলার আনাচে কানাচে পাওয়া যাবে ভুরিভুরি। তবে মাশরাফি একটাই। জীবন্ত কিংবদন্তি। তাঁকে অসম্মান করে কোন ধরনের আচরণকে জাস্টিফাইড করার কুচিন্তা বাদ দিতে হবে। আজ এই বেয়াদবী করে শুভাশিস পার পেয়ে গেলে কাল অন্যরাও করবে। নিশ্চয়েই বেয়াদবরা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। প্রত্যেকটি বেয়াদব, প্রতিটি ক্ষেত্রের বেয়াদবই ব্যক্তি, সমাজ, দল ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর।
শুভাশিস রায়কে হুঁশিয়ারী দিয়ে জরিমানা করা হোক। এক দুই ম্যাচ নিষিদ্ধও করা যেতে পারে। বেয়াদবীর শাস্তি না হলে এবং এমন অসভ্যতা করেও পার পেয়ে গেলে তা বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তিকে ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। আর যদি বেয়াদবটা ক্ষমা পেতে চায় তবে তাকে প্রকাশ্যে মাশরাফি বিন মোর্তজার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
শুভাশিসকে বলবো, মাশরাফি ফেসবুক লাইভে এসে আপনার মত গর্দভের বিষয়ে কেন কথা বলছে তা কি বুঝেছেন? নাকি বুঝ নিছেন যে, আরে মাশরাফি ফেসবুকে এসে বলছে মানে আমার কোন দোষ নাই। এই দেশের কোটি মানুষের হৃদয়ের রাজপুত্রকে ’তুই’ তেড়ে গেছিস, অসভ্য, বেয়াদব কোথাকার! তোর প্রতি মানুষের এই ঘৃণা মাশরাফি অনুভব করছে। সে কারণেই তোর মত বেয়াদবকে ক্রিকেটপ্রেমীদের রোষানল থেকে রক্ষায় এগিয়ে এসেছে। ওর পা ধুয়ে পানি খা গিয়ে, ফাজিল। সাত জনমেও মাশরাফির ধারেকাছে যেতে পারবিনা, এইটা মনে রাখিস। আর এমন আর করিস না। বহু মাশরাফি ভক্ত কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র রয়েছে যারা মাশরাফির জন্য নিঃস্বার্থ সমর্থন ও ভালবাসা নিয়ে বসে আছে। তারা ফুঁ দিলে হাথুরীর গদিও কাঁপে, তুই তো শুভাশিস!
(তুই তোকারির জন্য দুঃখিত। আমি সচরাচর কাউকে তুই বলিনা। এটা আসলে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।গালি তো দেইনা, তাই তুই বলেছি। আশা করি, শুভাশিস আপনি অবশ্যই মাশরাফি ভাইয়ের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইবেন।)
0 Comments