সর্বশেষ

বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে সাদ কান্দলভি সাপের ষড়যন্ত্র

এই সাদ কান্দলভিকে বাংলাদেশে আজীবন নিষিদ্ধ করা হোক। তাবলিগের বিষয়টি একটু জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিতে দেখার সময় হয়েছে এখন। জায়গা দেবে, শ্রম দেবে, কোটি কোটি টাকা দিয়ে নিরাপত্তা দেবে বাংলাদেশ আর মাস্তানী করবে দিল্লির সাদ ফাদ এটা মেনে নেয়া যায়না। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, এই সাদ ও তার অন্ধ অনুসারীরা বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জমায়েতকে সরিয়ে ভারতে নেয়ার দীর্ঘমেয়াদী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সাধারণ তাবলিগি ভাইদের মগজ ধোলাই দিচ্ছে কিছু শিক্ষিত ধুরন্ধর ব্যক্তি। এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। আজ যে অহিংস তাবলিগকে রক্তলাল করলো এর দায় ভারতীয় সাদ সাপকেই নিতে হবে। তার একের পর এক বিতর্কিত ফতোয়াবাজিই তাবলিগকে বিভক্ত করলো। এই একটি জমায়েত বিভক্তির বাইরে ছিল। এই সাদ কান্দলভি আর তার গোঁয়ার অনুসারীরা সব কিছু নষ্ট করে দিলে। অবশ্য এর কিছুটা হলেও দায় অন্যদেরও রয়েছে। কিন্তু এসবের ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন দাদা কোটায় ফতোয়া দেয়া সাদ সাপ। আল্লাহ তাবলিগে বিভক্তি সৃষ্টিকারীদের সঠিক বুঝ দিক। বুঝ নেয়ার অযোগ্য হলে ধ্বংস করে দিক।

২। বাংলাদেশ যে ইসলামের দ্বিতীয় প্রধান গুরুত্ত্বপূর্ণ দেশ এটা এই তাবলিগের বিশ্ব ইজতেমার কারণে। তাই ইজতেমা নিয়ে যেকোন ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে ধরে নিতে হবে। টঙ্গীর ইজতেমার কারণে বিশ্বের নানান দেশ থেকে বাংলাদেশে মানুষ আসে, শান্তির ধর্মের সূফি ধারার কেন্দ্র হয় কাকরাইল, বাংলাদেশ পায় অমূল্য মর্যাদা। সেই স্পর্শকাতর বিষয়কে যারা বিতর্কিত করছে তাদের ব্যাপারে সাবধান হওয়া জরুরি। যে মিলাদ, মাদরাসা শিক্ষার্থী ও মাওলানা-হুজুরদের বেতন নিয়ে অহেতুক তর্ক তুলেছে সাদ ও সাদবাদীরা তার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও মুসলিমরা একমত হতে পারেনি শত শত বছর ধরে। তাই ব্যক্তিস্বার্থে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাবলিগ জামায়াতের ক্ষতি করতে যারা তৎপর তারাই ফিৎনা সৃষ্টি করছে বলে মনে করি।
৩। আর আরেকটি আশঙ্কা থেকেই যায়। তাবলিগে বিভক্তি তৈরি করে ফায়দা কে নিতে চায়? সাদ কান্দলভি নামের এই ভারতীয় কেন তাবলিগ জামায়াতের জমায়েতস্থল সরানোর হুমকি দিয়েছিল?
সময় এসেছে ভারত-পাকিস্তানের মোল্লা-মৌলভীদের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কোটায় প্রাপ্ত অন্ধ নেতৃত্বের একচেটিয়া অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করার। বাংলাদেশে অনেক গুণীজন, বুজর্গ ও প্রতিষ্ঠান আছে যা বিশ্বে অনন্য। সাদ কান্দলভিদের অন্ধ আনুগত্যের দিন শেষ করার শুরু এখান থেকেই...!

পাঠ অনুভূতি

Post a Comment

0 Comments