সর্বশেষ

সালমান জেসিয়ার মত দুশ্চরিত্রদের বিচার চাই

'মাতৃদোষে শিশু নষ্ট, পিতৃদোষে পিষ্ট'
রাত ২ টায় একটা মেয়ে গেটে এসে ভাংচুর করার পরেও লুচ্চালুচ্চিটার বাবা-মায়ের কাছে যেন কিছুই হয়নি। সালমান মুক্তাদিরের নানা ভিডিওতে ওর মা-কে দেখা যায়। এই মহিলা এমন একটি ভিডিওতে অভিনয় করেছে যেখানে তার ছেলে একটা মেয়েকে গর্ভবতী করেছে এটাও রয়েছে। তিনি খুবই যত্নের সাথে তা উপভোগ করেছেন। এই জাতীয় অসুস্থ সম্পর্ক কখনো এই সমাজে ছিলনা। নৈতিকতা ও চারিত্রিক শুদ্ধতা বাংলাদেশি বাঙালি সমাজের অদ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য। তাকে ধ্বংস করতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে সালমান, সৌভিক, জেসিয়া, সাবিলা, আজাদ, ফাসাদ, তাজফাজ, তৌফিক প্রমুখ আবর্জনা। বাঙালির হাজার বছরের সুস্থ সংস্কৃতিকে লিভ টুগেদার নামের নষ্টামী দিয়ে যারা অপদস্থ করছে তাদের ও তাদের পরিবারকে আইনের আওতায় আনার সময় কি হয়নি? এসব দুশ্চরিত্র/দুশ্চরিত্রারা ফেসবুক-ইউটিউবের কারণে পরিচিত। তাই আপনারা এদের নোংরামীকে এখনই সামাজিকভাবে প্রতিরোধ না করলে এই অসভ্যতা আপনার সন্তানদের মধ্যেও ছড়িয়ে যেতে পারে। এই ভোগবাদী চরিত্রহীন বদমাশ শ্রেণি দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর। এই অশ্লীলতা, অবাধ যৌনতা, লিভ টুগেদার, প্রকাশ্যে যাচ্ছেতাই করার মত নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনাসহ যাবতীয় অনাচার কিভাবে এই দেশে এরা প্রতিষ্ঠিত করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা করছে তা অনেকেই জানেন। আমার সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বিষয়ক গবেষণা ও গ্রন্থটি রচনার জন্য এদের কুকার্যকলাপের উপর দীর্ঘদিন নজর রাখতে হয়েছে। আমি দেখেছি যত ধরনের অজাচার-অনাচার, শিষ্টাচার বহির্ভূত কীর্তিকলাপ করা যায় তার কিছুই বাদ রাখেনি এরা। এদের আচরণ, কথাবার্তা, মেলামেশা, পোশাক, ভাষা, অঙ্গভঙ্গিমা সবই সংকর, 🇧🇩 বিরোধী, বাংলার শত বছরের সংস্কৃতি বিরোধী। বাংলাদেশে বাংলা সংস্কৃতি রক্ষার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে কথা কি আমরা ভুলে গিয়েছি? আমরা আমজনতা ভুললে সমস্যা নাই, উপরের লোকেরা ভুললে জাতীয় ক্ষতির কারণ হতে পারে, উদ্ভব হতে পারে সালমান-জেসিয়া-তাজদের মত নোংরা কীটদের। তারপর লেজকাটা শিয়ালের মত এরাও চেষ্টা করে নিজেদের ইতরসুলভ জীবনযাপনকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে। সুতরাং, এখনই অনতিবিলম্বে এই বজ্জাতদের বদমায়েশির বিরুদ্ধে সামাজিক ও আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে এদের নির্লজ্জ টুঁটি চেপে ধরে এখানেই থামিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশের খেয়ে পরে অপসংস্কৃতি প্রসারের মত জাতীয়তাবোধহীনতাকে বুক ফুলিয়ে চলতে দেয়া যায়না...। আপনারা আর ঘুমিয়ে থাইকেননা প্রিয় নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ।
#সাংস্কৃতিক #আগ্রাসন

পাঠ অনুভূতি

Post a Comment

0 Comments