বাংলাদেশের খেলা নিয়ে ভাবনা ও ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস, পরীক্ষা ও দুটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গবেষণা নিবন্ধ নিয়ে ব্যস্ততার কারণে মিসরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে নিয়ে কিছু লিখতে পারিনি। মনে হচ্ছে, এ বিষয়ে আমার বিশ্লেষণ অনেকের অপছন্দ হবে। কারণ ভাসা ভাসা বোধ আর পত্রিকার পাতা পড়ে মুরসির মৃত্যুকে অধ্যয়ন করলে এমনই হওয়ার কথা। মুরসি আনুষ্ঠানিকভাবে ইখওয়ানুল মুসলিমিন বা মুসলিম ব্রাদারহুড বা মুসলিম ভ্রাতৃত্ব নামের দল থেকে নয়, ফ্রিডম এন্ড জাস্টিস নামে দল করে তীব্র লড়াই করে সেকুলার ও সালাফি ওহাবীদের পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। কিন্তু এ বিজয় সবাই মেনে নিতে পারেনি। এটি মানতে পারেনি কারা?
১। মিসরের সেনাবাহিনী মুরসির প্রেসিডেন্ট হওয়া মানতে পারেন, কারণ মিসরের ইহুদীবাদী সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুসলিম ব্রাদারহুডের দীর্ঘদিনের বিরোধ। ১৯৫১ সালে জামাল আব্দুল নাসের মুসলিম ব্রাদারহুড এর সমর্থন নিয়ে রাজতন্ত্রের উচ্ছেদ করলেও ক্ষমতায় গিয়ে ব্রাদারহুডকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। কারণ ব্রাদারহুডের আলোচ্যসূচিতে আল আকসা ও বায়তুল মোকাদ্দস পুনরুদ্ধার থাকতো। সে সময় জামাল ইসরায়েলের সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়াতে রাজি ছিলনা হয়তো। আবার মুসলিম ব্রাদারহুডের সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক এজেণ্ডাও ছিল ক্ষমতায় গিয়ে শরীয়া প্রয়োগ করায়। তারা মিসরীয় জাতীয়তাবাদের চেয়ে মুসলিম জাতীয়তাবাদের পক্ষে ছিল। এসব কারণে অন্য সব আর্মি যেমন ইসলামকে ব্যবহার করে জামালো তাই করে ক্ষমতায় যায় এবংং ক্ষমতায় গিয়েই পূর্বের রাজতান্ত্রিক সরকারের মত মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাকর্মীদের উপর দমন-নিপীড়ন চালিয়ে যেতে থাকে। এভাবে জামাল, সাদাত, মোবারক সব আর্মি ব্যাকড সরকারই ব্রাদারহুডের উপর অত্যাচার শুরু করে
২। সৌদি ওয়াহাবি কথিত রাজতন্ত্র মুসলমানদের ভ্রাতৃত্বে বিশ্বাসী ইখওয়ানের নেতার মিশরের প্রেসিডেন্ট হওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। এর কারণ মুসলিম ব্রাদারহুডের মুসলিম ভ্রাতৃত্ব সৌদি আরবের শাসক পরিবারের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে উঠতে পারে। কারণ, যে ওসমানীয় খেলাফতি সাম্রাজ্য ভেঙে সৌদি আরব প্রতিষ্ঠিত হয় তা বিশ্বভ্রাতৃত্ব দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। সৌদি আরব এর বিপরীত সংকীর্ণ গোত্র বা আরব জাতীয়তাবাদ ধারণ করে। তাই ২০১৩ এর সেনা অভ্যুত্থানে সৌদি অর্থায়নে পরিচালিত সালাফি মুভমেন্ট সরাসরি আব্দুল ফাত্তাহ সিসিকে সমর্থন করে। সালাফি ও সেকুলার মিডিয়া মুরসিবিরোধী অপপ্রচার চালাতে থাকে। সিসি অবৈধভাবে ক্ষমতা নিলেও সৌদি আরবে লাল গালিচা সংবর্ধনা পায়। ২০১৪ সালে উসমানীয় খেলাফত ধ্বংসের অন্যতম কারিগর সৌদি রাজতন্ত্র ইখওয়ানকে 'সন্ত্রাসী' হিসেবে ঘোষণা দেয়। কারণ ইখওয়ান রাজতন্ত্রের জন্য হুমকি, তারা রাজার ছেলে রাজা নয়, তাকওয়ার উপর ভিত্তি করে শাসক নির্বাচনে বিশ্বাসী, যদিও গণতান্ত্রিক সিস্টেমে তারা নির্বাচন করে । এটা সৌদি আরব, বাহরাইন, ওমান, জর্ডান সবার জন্য হুমকি। শুধু কাতারের তামিম আল থানি হামাস ও ইখওয়ানকে সমর্থন করতো। এ অজুহাতে সৌদি আরব বছর দুয়েক আগে কাতারের উপর অবরোধ আরোপ করে। মনে আছে?
৩। অবৈধ ও সন্ত্রাসবাদী ইসরায়েল ড. মোহাম্মদ মুরসির ক্ষমতাগ্রহকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি । ১৯২৮ সালে হাসানাল বান্না নামের এক ব্যক্তি ইখওয়ানুল মুসলিম প্রতিষ্ঠিত করেন। এটি উসমানী খেলাফত বিলুপ্তির ৩ বছর পর খেলাফত ফিরিয়ে আনা ও মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে ইহুদীবাদ ১৮৯৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর টগবগে যুবক অবস্থায় ১৯১৪-১৯১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ লাগিয়ে খেলাফত ধ্বংস করেছে। ইউরোপের যুদ্ধ কেন তুর্কি সাম্রাজ্যে গেলো এ প্রশ্ন তুললেই বোঝা যাবে ইহুদীবাদী নকশা। তো ১৯৪৮ যে ক্যান্সার ইসরায়েল হয় তার জন্য বর্তমানে হুমকি হামাস। হামাসের শেখ ইয়াসিন ও অন্যান্য নেতারা ইখওয়ান থেকে অনুপ্রাণিত। তাই মিসরে ইখওয়ান এর নেতার সর্বময় ক্ষমতায় থাকা মানেই হামাস শক্তিশালী হওয়া এবং ইসরায়েলের অবৈধ অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে পড়া। তাই ইসরায়েল অনতিবিলম্বে সিসিকে মুরসি উৎখাতে সহায়তা প্রদান করে। এ সংক্রান্ত দলিল মিডিলইস্ট মনিটরে প্রকাশিত হয়েছে যে সিসি ও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে মুরসিকে উৎখাতের আগে ও পরে অজস্রবার কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা যোগাযোগ হয়েছে।
*##ইসরায়েল যার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও তা করতে হয়। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নিয়ন্ত্রন ইহুদী বা ইহুদীবাদী খ্রিস্টান ও তাদের অর্থে পরিচালিত গণমাধ্যমের হাতে। তো এই শক্তিশালী শত্রু পক্ষকে পরাজিত করার মত যথেষ্ট বিচারবোধ বা শক্তি মুরসির ছিলনা। মুরসি ৫১.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় এসে নিজের ক্ষমতাকে স্থায়ী না করে সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। স্বাভাবিকভাবেই ইরান ও রাশিয়া এর বিরোধিতা করে। সে আমেরিকা ও ইসরায়েলের স্বার্থে সিরিয়দি নো ফ্লাই জোনের প্রস্তাবের প্রচারণা চালায় অথচ এর ফলে সিরিয়ায় ইহুদীবাদি পশ্চিম হামলা করে সিিরিয়ান জনতা, ইরান, রাশিয়া, তুর্কি ইত্যাদির ক্ষতি হতো। সুুবিধা হতো কেবল ইসরায়েল ও মোসাদের পছন্দের ক্রীড়াণক সন্ত্রাসী খারেজি আইএস এর। সাথে পায় কেবল তুর্কির এরদোয়ানকে যার তখন পশ্চিমে গ্রহণযোগ্যতা কম। তা হলে মুরসির বন্ধু হতে পারতো রাশিয়া ও ইরান যারা বন্ধুত্বের সঙ্গে বেঈমানী করেনা বা প্রয়োজন ফুরালে ছুঁড়ে ফেলেনা। মুরসি এই ভুল করলো। সে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করলেও আমেরিকাকে স্পষ্টভাবে পড়তে ব্যর্থ ছিল। সর্ব মুসলিমের ঐক্য যে দলের লক্ষ্য তার বন্ধু যে ইসরায়েল ও তার মিত্র হতে পারেনা তা বোঝেননি। তাই তার বিরুদ্ধে যে সৌদি আরব, আমেরিকা, ইসরায়েল ও অন্যান্য রাষ্ট্র ষড়যন্ত্র করছে এই বিশ্বাস তার ছিলনা। আমেরিকার প্রতি পলিটিক্যাল ইসলামের এই অন্ধ দাসত্ব হাসানাল বান্না বা অপেক্ষাকৃত কট্রর সাইয়েদ কুতুবের আদর্শের সরাসরি বিরোধী অবস্থান। তবু মুরসি থেকে এরদোয়ান এই পথে হাঁটে। এরদোয়ানের হুঁশ ফিরে আসে তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পরে। যার কারণে সে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা চুক্তি করে। কিন্তু মুরসিরা তা বোঝেনি। ফলে ড. মুরসি জেলখানায় ধুঁকে ধুঁকে মরার পরেও মার্কিন দূতাবাস ন্যূনতম শোক বিবৃতিটা পর্যন্ত দেয়না। মুরসিদের ক্ষমতাচ্যুত করে, তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন উসকে দিয়ে ইহুদীবাদী গণমাধ্যমে ইসলাম যে 'অজনপ্রিয় " তা প্রমাণ করতে চায়। অথচ মুরসিরা পশ্চিমাপন্থী। কিন্তু পশ্চিমা ইহুদীবাদী মিডিয়া-ই তাদের 'ইসলামপন্থী' নাম দেয়। যেমন জামায়াতে ইসলামিকে পশ্চিমা মিডিয়া Largest Islamic Party হিসেবে লিখলেও আমরা সবাই জানি তারা এদেশে বৃহত্তম নয়, ইসলামেরও প্রতিনিধি নয়।
###পলিটিকাল ইসলামের অন্যতম ধ্বজাধারী জামায়াত ইসলাম। ইখওয়ানের মত সংগ্রাম না করে, হকের পথে না থেকেও এরা মুসলিম ব্রাদারহুডের মতে বিশ্বাসী বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু মওদুদি আর বান্না এক নয়। কারণ হাসানুল বান্না আর সায়েদ কুতুবরা মজলুমের পাশে থাকলেও মওদুদিরা অত্যাচারী ব্রিটিশদের পক্ষে ছিল। ১৯৪৭ সালে কওমী ও সেকুলার এবং সাধারণ মুসলমানদের দাবি ছিল বর্ণহিন্দুদের অত্যাচার থেকে মুক্ত হয়ে পৃথক রাষ্ট্র করা, কিন্তু মওদুদিরা ভারতের পক্ষে ছিল। ১৯৭১ সালে মজলুম বাঙালির পক্ষ অবলম্বন না করে মওদুদির জামাত আবার সেই পাকিস্তানের জুলুমের পক্ষ নেয় এবং হত্যায় অংশ নেয়। অথচ মুসলিম ব্রাদারহুড এমন কিছু করেনি। মওদুদি ও তার দলকে কওমী আলেমগণ ভর্ৎসনা করে তার সাহাবী বিদ্বেষ ও আমেরিকা- ব্রিটিশপ্রীতির কারণে, যা নিয়ে আজো জামায়াত প্রকাশ্যে বিবৃতি দেয়নি। ১৯৭১ সালে নিজেদের হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ ইত্যাদিতে সংযুক্তি ও ভুল রাজনৈতিক অবস্থানের ব্যাপারে জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি৷ তাই জামায়াত এ দেশে আজো গণমানুষের হৃদয়ে পৌঁছাতে পারেনি। হরতাল দিয়ে তারা সাধারণের গাড়িবাড়ি পোড়ালেও ক্ষমা চায়না তবে আমেরিকান দূতাবাসের গাড়ির ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দিতে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়। প্রভু যেন অভিমান করে "সন্ত্রাসী" তালিকায় নাম না দেয়😉।
###পলিটিকাল ইসলামের অন্যতম ধ্বজাধারী জামায়াত ইসলাম। ইখওয়ানের মত সংগ্রাম না করে, হকের পথে না থেকেও এরা মুসলিম ব্রাদারহুডের মতে বিশ্বাসী বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু মওদুদি আর বান্না এক নয়। কারণ হাসানুল বান্না আর সায়েদ কুতুবরা মজলুমের পাশে থাকলেও মওদুদিরা অত্যাচারী ব্রিটিশদের পক্ষে ছিল। ১৯৪৭ সালে কওমী ও সেকুলার এবং সাধারণ মুসলমানদের দাবি ছিল বর্ণহিন্দুদের অত্যাচার থেকে মুক্ত হয়ে পৃথক রাষ্ট্র করা, কিন্তু মওদুদিরা ভারতের পক্ষে ছিল। ১৯৭১ সালে মজলুম বাঙালির পক্ষ অবলম্বন না করে মওদুদির জামাত আবার সেই পাকিস্তানের জুলুমের পক্ষ নেয় এবং হত্যায় অংশ নেয়। অথচ মুসলিম ব্রাদারহুড এমন কিছু করেনি। মওদুদি ও তার দলকে কওমী আলেমগণ ভর্ৎসনা করে তার সাহাবী বিদ্বেষ ও আমেরিকা- ব্রিটিশপ্রীতির কারণে, যা নিয়ে আজো জামায়াত প্রকাশ্যে বিবৃতি দেয়নি। ১৯৭১ সালে নিজেদের হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ ইত্যাদিতে সংযুক্তি ও ভুল রাজনৈতিক অবস্থানের ব্যাপারে জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি৷ তাই জামায়াত এ দেশে আজো গণমানুষের হৃদয়ে পৌঁছাতে পারেনি। হরতাল দিয়ে তারা সাধারণের গাড়িবাড়ি পোড়ালেও ক্ষমা চায়না তবে আমেরিকান দূতাবাসের গাড়ির ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দিতে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়। প্রভু যেন অভিমান করে "সন্ত্রাসী" তালিকায় নাম না দেয়😉।
####যে আলোচনায় ছিলাম। মুরসি। মুরসি মৃত্যু পলিটিকাল ইসলামের জন্য প্রাথমিকভাবে বড় আঘাত হিসেবে দেখা যেতে পারে। কিন্তু এর উত্থান আবার হতে পারে। প্রথমত, হাসান আল বান্নার আদর্শের কারণে। দ্বিতীয়ত আমেরিকার সহায়তায় সিসি বা অন্য কাউকে উত্থানের নেপথ্যে। রাশিয়াতে মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ, তাই আমেরিকা এই মুহূর্তে করবেনা এটা বোঝা যায়। আবার দল নিষিদ্ধ করা গেলেও আদর্শ টিকে থাকে। তাই আপাতত মুসলিম ব্রাদারহুড বিপদে থাকলেও ভিন্ন নামে এটি জাগতে পারে। যেমন কথিত আরব বসন্তের পর তিউনিসিয়ায় ক্ষমতায় আসা আন নেহদা পার্টি মূলত ইখওয়ানের আদর্শে উজ্জ্বীবিত।
#####রাজনৈতিক ইসলামের ভবিষ্যত তেমন খারাপ বলা যাবেনা। কারণ বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ত রেখেছে। তাই মোটিভেশনের কিছুই নাই কিন্তু ম্যান্ডেট পরিচ্ছন্ন হতে হয়। মুরসি মুখ দিয়ে যা বলেছে কার্যক্ষেত্রে গিয়ে তার অনেক কিছু করেনি। তিনি গাজার উপর মিসরের অবরোধ তুলে দিলে বা রাফা ক্রসিং খুলে দিলে সিসি তাকে সরানোর আগে ভাবতো, কারণ বিশ্ব মুসলিম জনমত তাতে বাধা দিতো। কিন্তু মিসরের অভ্যন্তরে মুবারকের ডিপ স্টেট রেখে তিনি সিরিয়ায় মানবতার ফেরি করেছে। আবার দীর্ঘদিন ধরে সেনা, প্রশাসন ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুলেনের মত নিজের আদর্শে বিশ্বাসী লোকও রাখেননি। এটাই মুসলিম ব্রাদারহুডের করুণ পরিণতির অন্যতম কারণ। টানা এক বছর সুযোগ পেয়ে অন্তত একটা এলিট ফোর্স বা বিপ্লব রক্ষা করা বাহিনী তিনি গড়েননি বা গড়ার উদ্যোগও নেননি।
এতসব সমালোচনার পরেও ইহুদীবাদী ফাত্তাহ সিসি কর্তৃক মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করা মহাঅন্যায় তা যেন আমরা না ভুলি। ব্যক্তিজীবনে ভীষণ সৎ জনাব মুরসি। তাঁর রাজনৈতিক ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে কিন্তু একজন স্বৈরশাসকের জেলখানায় ধুঁকে, প্রহসনের আদালতে মুরসির হঠাৎ মৃত্যু নিঃসন্দেহে তাঁর মজলুম শহীদ হওয়ার অকাট্য প্রমাণ। অত্যাচারীর বিরুদ্ধে যুগে যুগে যে আন্দোলন-বিপ্লব-প্রতিরোধ হয় তার ইতিহাসে ১৯৫১ সালের ১৭ আগস্ট জন্ম নেয়া মোহাম্মদ মুরসি নিশ্চয়ই ঠাঁই পাবেন।
0 Comments