এ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান তার, অন্যতম সেরা বোলিং ফিগার, বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান ও উইকেট শিকারী। বাংলার বাঘ সাকিব আল হাসান। এ বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। ১৮ জুন লিখছিলাম কলকাতার কয়েকজনের সাকিব বিদ্বেষের জবাব দিয়ে।
দুনিয়ার ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে, টি-টুয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেটের অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে এক সময়ে এক নম্বরে কেবল একজনই এসেছেন। তাঁর নাম বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। আমাদের সবচেয়ে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের একজন। এক বার নয়, একাধিকবার ক্রিকেটের তিন ফরমেটেই তিনি শীর্ষে গিয়েছেন। আমি যত বছর খেলা দেখেছি কোন দিন কোন বোলারের সামনে গিয়ে সাকিবকে নার্ভাস দেখিনি। বরং বোলারদের হেলায় ফেলায় খেলেন এমন মনে হয়। সাকিব সিরিয়াস হলে যেকোন দলের, যেকোন বোলারের জন্য ভয়ংকর সে। এখনো তারুণ্যে ভরা সাকিব যদি আরও বছর পাঁচ-সাত খেলে তবে দুনিয়ার বহু রেকর্ড তাঁর একারই হবে ইনশাআল্লাহ । এখনই বর্তমানদের কেউ নাই, এ ফর্মে খেলে যেতে পারলে ভবিষ্যতে তারঁ ধারেকাছেও কেউ থাকবেনা এটাই স্বাভাবিক। সাকিব এ বিশ্বের এক বিস্ময়মানব। আজ পর্যন্ত এই একজন ক্রিকেটারকে ফর্মহীনতা বা অফ ফর্মে দেখিনি।
শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা ক্রিকেটেরও গৌরব সে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভুল সিদ্ধান্ত দিলে সে-ই বুকের পাটা ফুলিয়ে এর প্রতিবাদ করে। দেশের বাইরে খেলে সে সম্মান ও অর্থ যেমন আনছে তেমনই বাংলাদেশের ইতিবাচক অবয়ব তৈরি করছে। এই দেশের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সাকিব হতে বলেন। এই যে জাতীয় আদর্শ হওয়া এটা একটি জাতির জাতীয়তাবোধের জন্য ভীষণ জরুরি। সাকিব-মুশফিক-মাশরাফিরা আমাদের দেশের অমূল্য সম্পদ। এমন কী তাঁরা অন্যতম সেরা করদাতাও। এসবের জন্য আমার ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের এদেশের কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের চেয়ে শক্তিশালী মনে হয়। ফেসবুক স্ট্যাটাসের বাইরে যে রইছুদ্দিন ঢালীদের অস্তিত্ব বা যোগ্যতা নাই তারা ক্রিকেটের মর্যাদা বুঝবেনা। তারা কীভাবে বহুগামী ইতরামী করা যাবে এটা নিয়েই বরং ব্যস্ত থাকুক।
শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা ক্রিকেটেরও গৌরব সে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভুল সিদ্ধান্ত দিলে সে-ই বুকের পাটা ফুলিয়ে এর প্রতিবাদ করে। দেশের বাইরে খেলে সে সম্মান ও অর্থ যেমন আনছে তেমনই বাংলাদেশের ইতিবাচক অবয়ব তৈরি করছে। এই দেশের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সাকিব হতে বলেন। এই যে জাতীয় আদর্শ হওয়া এটা একটি জাতির জাতীয়তাবোধের জন্য ভীষণ জরুরি। সাকিব-মুশফিক-মাশরাফিরা আমাদের দেশের অমূল্য সম্পদ। এমন কী তাঁরা অন্যতম সেরা করদাতাও। এসবের জন্য আমার ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের এদেশের কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের চেয়ে শক্তিশালী মনে হয়। ফেসবুক স্ট্যাটাসের বাইরে যে রইছুদ্দিন ঢালীদের অস্তিত্ব বা যোগ্যতা নাই তারা ক্রিকেটের মর্যাদা বুঝবেনা। তারা কীভাবে বহুগামী ইতরামী করা যাবে এটা নিয়েই বরং ব্যস্ত থাকুক।
শ্রমিক-কৃষক-ব্যবসায়ী-ছাত্র সকলকে উদ্বেলিত করতে পারে ক্রিকেট ও ক্রিকেটাররা, এ শক্তি শিক্ষিত বহু পেশাজীবীদের নাই। গতকাল রাতে চায়ের দোকানে রিকশাওয়ালা থেকে মজুর, বয়স্ক নামাজী মুরব্বী থেকে রাঁধুনী মা, হিন্দু-মুসলমান, আওয়ামী লীগ-বিএনপি, কিশোর-কিশোরী থেকে বাচ্চা ছেলেটিও সাকিব-লিটনের শটে খুশিতে হাত তালি দিয়েছে। ক্রিকেট আমাদের ডাঙ্গুলি বা পুঁথিলাঠির জ্ঞাতি ভাই বলেই এর প্রতি এই মোহ হয়তো। আমি সব সময় বলে এসেছি ক্রিকেটের প্রতি এই মোহকে দেশীয় পণ্য ব্যবহারে রূপান্তরিত করা গেলে এক দারুন অর্জন হবে। যাহোক, সাকিব আল হাসান আমার মতে, এ পর্যন্ত হওয়া ক্রিকেটের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার। ক্রিকেটে অনেক অলরাউন্ডার আসছে, আসবে, যাবে কিন্তু দলের ম্যাচ উইনার বা বিজয়সারথি কজন হতে পারে? খুব কম।
সাকিব আল হাসান সেই অল্পসংখ্যক তারকার মধ্যে উজ্জ্বলতম তারকাটি। আমাদের ভালবাসা, আবেগ ও ভরসার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু-
বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের আশার প্রাণ
বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
পুরো বিশ্বটা অবাক তাকিয়ে রয়
জ্বলে পুড়ে ছারখার করে সাকিব,
তবু সে মাথা নোয়াবার নয়...।
0 Comments