সর্বশেষ

দুর্গা পূজা বনাম ঈমান, মতুয়া ধর্ম ও অন্যান্য জরুরি আলাপ

দুর্গা পূজা, ঈমান ও অন্যান্য জরুরি আলাপ
~~~
বহু বাংলাদেশী হিন্দু বন্ধু-বান্ধব-ভাই-আপুদের সঙ্গে কথা বলেছি। ধর্ম, পূজা ইত্যাদি নিয়ে কথা এলে আলোচনা শেষে আমরা এ সিদ্ধান্তেই এসেছি যে,'' সমস্ত ধর্মের মূলকথাই মানুষের কল্যাণ, শান্তি। মানুষ ধর্মকে নিজ স্বার্থে খণ্ডিত বা সংকুচিত করেছে। এ দায় ধর্মের নয়, ধর্ম পালনকারীর। সবাই দিন শেষে এক মহাপরাক্রমশালীরই অর্চনা করে।"  

দুর্গাসহ বিভিন্ন পূজা এলে বাংলাদেশে একটি শ্রেণির মধ্যে ধর্মীয় বিভাজনরেখা টানার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ইদানীং, অথচ আমাদের ছোট্টবেলায় এটি নিয়ে এতো কড়াকড়ি ছিলো না। আমরা স্কুলের বন্ধে স্থানীয় পূজা মণ্ডপে যেতাম৷ ঢাক-ঢোলের শব্দে রাতের বেলা মেলায় ঘুরতাম, টুকটাক কেনাকাটা আর মিষ্টি রসগোল্লা, ভাজা-পোড়া ইত্যাদি খাইতাম এক সঙ্গে। 

এখন কিছু ওহাবী মতে বিশ্বাসী ওয়াজকারী যেভাবে 'শির্ক' বিষয়ক বয়ান দিয়ে গণমানসে বিষ ঢেলে দিয়েছে বিষয়টি তেমন ছিলো না। মনে রাখবেন, এই ওহাবীরাই জাজিরাতুল আরবে শত শত সাহাবী (রা) এর কবরকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল 'শির্ক'' বদনাম দিয়ে। 

এদের অনুসারীরা বাংলাদেশের পীর-মুর্শিদদের ব্যাপারেও ঘৃণা ছড়ায়৷ এটা এ জন্য বললাম যে, কট্টরপন্থী ওহাবীদের ঘৃণার শিকার কেবল হিন্দু ধর্মাবলম্বী নয়, মুসলমানদের একটি বড় অংশও এদের দ্বারা নিপীড়িত। 

যে জায়গায় ছিলাম সে আলোচনায় ফিরে যাই। ছোট্টকালে পূজায় আমরা ঘুরতাম, আমাদের ঈদের আনন্দ অথবা ওয়াজের খোলায়ও হিন্দু বন্ধুরা ঘুরতো। 

এতে পরস্পরের ধর্মীয় বিশ্বাস মুছে যাওয়ার প্রশ্নই আসতো না৷ কারণ, আমরা পূজার দেব-দেবীর প্রতি বিশ্বাস নিয়ে এখানে যেতাম না, আমরা নিছক মেলা বা উৎসব-আনন্দ ভাগাভাগি করতেই যেতাম৷ যেভাবে ঈদে ওরা এসে সেমাই ও অন্যান্য মুখরোচক খাবার খায় নিছক আনন্দে। 

তাহলে ঈদে বা ওয়াজে সেমাই-মিষ্টি-হালুয়া খেলে একজন হিন্দুর যেভাবে ধর্ম যায় না, তদ্রুপ পূজায় গিয়ে মেলা থেকে কিছু কি নে খেলে সেটিও ধর্মনাশের কারণ হয় না। সহজ হিসেব। 

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, আল্লাহপাক পবিত্র কোরানে 'আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোনো উপাস্যের উদ্দেশ্যে জবাইকৃত পশুর গোশতো হারাম করেছেন' (নিরুপায় যেমন--গরীব, অভাবীর জন্য ভিন্ন আলাপ)। এ গোশতো খাওয়া নিষিদ্ধ, যেভাবে হারাম পদ্ধতিতে উপার্জিত খাদ্য খাওয়াও নিষিদ্ধ। 

কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কোনো কোনো হারামখোর মুসলমান ''হারাম খাদ্য শরীরে গেলে ইবাদত কবুল হবেনা" মর্মে স্পষ্ট নির্দেশ থাকলেও সেটি নিয়ে আলাপে অনাগ্রহী। বরং, হিন্দুদের পূজার নাড়ু খেলে ''ঈমান থাকে, না, না থাকে, না দুর্বল হয়" সে নিয়ে ব্যস্ত! অথচ এই নাড়ুর সঙ্গে বিশ্বাসের সম্পর্ক নাই, এতে অতিথিপরায়ণ আন্তরিকতাই থাকে অধিক। 

৯০% মুসলমানদের দেশে এতো এতো অবৈধ সম্পদের মালিক কারা? এতো এতো ঘুষ খায় কারা? এতো এতো চোর-বাটপার-দুর্নীতিবাজ-সুদখোর কারা? অধিকাংশই 'মুসলমানের বাচ্চা মুসলমান"। 

তো এই অবৈধ টাকা খাওয়া হারাম না? নিশ্চয়ই হারাম। সে কারণে, বছরে তের দিন পার্বণের হারাম আলোচনার চেয়ে "৩৬৫ বিয়োগ ১৩" দিনগুলোতে যেভাবে হারাম আয় করে, অন্যের হক্ব মেরে, হারাম খেয়েও দিব্যি "খোদার বান্দারা" কথিত নামে মুসলমান হিসেবে 'হালাল জীবন' যাপন করছে বলে মনে করছে সেই গর্হিত জীবনযাপন নিয়ে বয়ান দেওয়া অধিক জরুরি। 

হ্যাঁ, আপনি বলতে পারেন 'ইসকন' বা অন্য কেউ যদি প্রসাদ খাওয়ায় কোনো এজেন্ডা বা উদ্দেশ্য নিয়ে সেটি প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু ছোটবেলা থেকে আমরা যে বন্ধু-বান্ধবদের বাড়িতে গিয়েছি সেখানে কেবল আপ্যায়নই তারা করেছে। এর মধ্যে অন্য কিছু ছিলো বলে কোনোদিন মনে হয়নি, যেভাবে আমাদের বাড়িতে এসে খানা-খাদ্য খেলে ওদেরও কিছু মনে হতো না। 

তারপরও আপনি শখ লাগলে বা ধর্মীয় কারণেই ইচ্ছে না হলে খাওয়া দাওয়া কইরেন না। আপনাকে জোর করে খাওয়ানোর অধিকার কারো নেই। এমন কী জোর করে আপনাকে কেউ পূজায় যেতে বাধ্যও করবে না। যেমন--আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কোনো বিভাগে পূজা আয়োজনের জন্য চাঁদা ধার্য করা হয়। কেউ যদি সরস্বতী পূজায় নিজের অর্থ দিয়ে শরীক না হতে চায় তবে তাকে জোর করা অন্যায়। জোর করে এমন নিদর্শন নিশ্চয়ই নাই। থাকলে তা নিন্দনীয়।  

কিন্তু এই যাওয়া না যাওয়ার আলাপে কেবল ওহাবী কট্টরদের একার দায় নেই। বরং, পশ্চিমা শ্রেষ্ঠত্ববাদে বিশ্বাসী বা নামে ধর্মনিরপেক্ষ কাজে হিন্দুত্ববাদী--এদেরও দায় আছে৷ ঈদ এলে এরা পশু জবাইয়ের ব্যাপারে, রক্তের ব্যাপারে অহেতুক কুতর্ক আনে, ফ্রাইড চিকেন খাইতে খাইতে গরু জবাই দেওয়ার ব্যাপারে ঘৃণা প্রচার করে (অথচ রক্তাক্ত আক্রান্ত মহিষাসুর নিয়ে নীরব!)। এর 'ব্লোব্যাক' হিসেবেই ওহাবীরা বা ওহাবী মতে বিশ্বাসীরা কাউন্টার ন্যারেটিভ দাঁড় করায়, বা করাচ্ছে। 

আবার, এই পরস্পরের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া বা বেড়াতে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা এটি ব্রাহ্মণ্যবাদী বর্ণবাদীদের মধ্যে একটি সময় প্রবল ছিল। নমঃশুদ্র ঘরে গেলে সাত বার ধুতো, নমঃশুদ্রের সঙ্গে স্পর্শ লাগলে জাত চলে যেতো-- এ এই মাটিতেই বাস্তবতা ছিল। 

এ কারণেই অহিংসবাদী বৌদ্ধ বা পরবর্তীকালের সাম্যবাদী মুসলিম দরবেশ, পীর-মাশায়েখদের সাম্যের বাণীর প্রতি এই বাংলার সাধারণ মানুষ আকৃষ্ট হয়েছে।

মুসলমানদের উত্তম ব্যবহার, শান্তি ও সাম্যবাদী আচরণ, এক পাতে খাওয়া, ধনী-গরিব এক কাতারে নামাজ পড়া, মজলুমের পাশে দাঁড়ানোর প্রবল ইচ্ছাই এ অঞ্চলের শত শত মানুষকে ইসলামে দীক্ষিত করে। মুসলমানদের সেই আচরণের প্রতি ভালোবাসাই এ অঞ্চলে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। 

অথচ আজকে ফেসবুক-ইউটিউব পেয়ে সেই শান্তির ধর্মকে কলঙ্কিত করে ঘৃণার গলাবাজি সর্বত্র। উত্তম আখলাক দেখে যে একজন অমুসলিম আকৃষ্ট হচ্ছে, সেই পরক্ষণে এক চিল্লাচিল্লি করা ওহাবীর চিৎকারে কষ্ট পাচ্ছে। এর সুযোগে তাকে ডিরেইলড করছে 'স্বার্থান্বেষী'গোষ্ঠী।

ফলে, সেই কালে পরান্নজীবী ব্রাহ্মণ্যবাদীদের শুদ্র-মুসলিমদের 'ছুঁলেই জাত যাবে' আর এ কালের ওহাবীদের আনন্দ ভাগ করে নিতে 'পূজায় গেলেই ঈমান যাবে'--মূলত একই বয়ান, দুইটি ভিন্ন কালে। 

ঈমান মানে বিশ্বাস৷ ছুঁলে যাওয়ার ব্যাপার না, আবার যারে আপনি অবিশ্বাসী ভেবে ঘৃণা করছেন সে দেখা গেলো নিভৃতে আপনার চেয়ে আরো গাঢ় বিশ্বাসে আল্লাহকে ডাকছে, পরিস্থিতির কারণে বাহ্যিকভাবে সে নীরব কিন্তু ঈমানে আপনার চেয়েও খাঁটি। হতেই পারে।

ইসলাম এমনই ভাইয়া/বুবু! ফেরাউনের বৌ আসিয়া এখানে মুসলমান আর নবী নূহের (আ) বৌ অমুসলিম। সুতরাং মানুষের বিশ্বাসের মত সংবেদনশীল বিষয়ে সহজেই শেষ সিদ্ধান্তে চলে যাওয়া অনুচিত।  

আল্লাহপাক সুরা মুনাফিক নাযিল করেছেন, কারো নাম বলেননি সেখানে। আল্লাহর রাসূলও কাউকে নাম ধরে এটা বলেননি। কারণ, বিশ্বাস সংবেদনশীল। কার মন কখন বদলে যায় তার নিশ্চয়তা আপনি দিতে পারবেন? 

দুর্গা পূজা নিয়ে নানা ইতিহাস আছে। সিরাজুদ্দৌলার পরাজয়ের পর ইংরেজ দালাল এক দেশীয় রাজা এটি ঘটা করে পালন করেছিল; বাংলাদেশের রাজশাহী থেকে এর সূত্রপাত ইত্যাদি নানা বয়ান। ইদানীং ভারতবর্ষে শরদিন্দু প্রমুখ মূলনিবাসী বহুজন আন্দোলনের মাধ্যমে 'ভূমিপুত্র বনাম বহিরাগত' আলোচনাটি সামনে এনেছেন। তাদের বিশ্বাস মতে, হুদুড় দুর্গা আদিবাসী সাঁওতাল মহারাজা ইত্যাদি। এ কাউন্টার ন্যারেটিভটি খুবই ইন্টারেস্টিং এবং কন্ট্রোভার্সিয়াল হওয়ায় এখানে আলোচনা করছিনা। 

এটি এ জন্য আনলাম যে, বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ এর উড়াকান্দিতে হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ 'মতুয়া ধর্ম' কে প্রচার করেছিলেন। হরিকে বলা হয় পূর্ণ ব্রহ্মার অবতার। যখন অচ্ছুৎ শুদ্রকে ব্রাহ্মণ্যবাদীরা বড়দের সঙ্গে পূজা করতে দিতো না, পূজা পরিচালনার অধিকার কেবল পুরোহিত ব্রাহ্মণ্যবাদীর ছিল, বেদ যখন ছুঁতেও দিতোন সাধারণ হিন্দুকে  তখন হরির মতুয়া ধর্মের আগমনী। মতুয়া ধর্মগুরুদের হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সমানে জনপ্রিয়তা ছিল পীরদের মতই, এখনো আছে কোথাও। 

তখন এই বাংলাদেশে সাধারণ মুসলিম আর হিন্দু একই ছিল বিভিন্ন বিষয়ে। মতুয়াদের তীর্থস্থান উড়াকান্দিতে আজো ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তীর্থযাত্রীরা আসেন, এমন কী আন্দামান থেকেও৷ এমন কী আরএসএস তথা বিজেপির আদর্শে বিশ্বাসী ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সম্প্রতি এখানে আসেন৷ কারণ, মতুয়াদের আলাদা ধর্মচেতনাকে 'হিন্দুত্ববাদে বিলীন করে ভোট ও অন্যান্য রাজনীতি' মজবুত করা জরুরি। 

এখন মুসলমানদের ভাবতে হবে, তার জ্ঞাতীগোষ্ঠী, তারই প্রতিবেশী কীভাবে ও কেন কাদের কাদের কারণে তার থেকে দূরত্বে চলে যাচ্ছে। ভারতের উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদী আর বাংলাদেশের ওহাবিরা মূলত সেই অভিন্ন বিভীষণ যারা ধর্মীয় বিভাজন জিইয়ে রেখে নিজ নিজ স্বার্থ উদ্ধার করছে। 

ইসলাম শান্তির ধর্ম। মুহাম্মদ (স) ইহুদির ঘরেও নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে গিয়েছেন, তার চাচা আবু তালিব ওহাবীদের মিথ্যাচারে কথিত 'পৌত্তলিক' থেকেও ইসলামের মহা উপকার করেছেন। কারবালার নামে মুসলমান খুনীদের চেয়ে নিশ্চয়ই আবু তালিব উত্তম। 

মুহাম্মদ (স) উত্তম ব্যবহার দিয়েই মানুষের মন জয় করেছেন।  মহানবী (স) এর উম্মত হিসেবেও আমাদেরও সেই চেষ্টা করা উচিত। ইসলাম অচ্ছুৎকে নিয়ে বিশ্ব জয় করেছে। ভালোবাসা ও সমতা, ন্যায়বিচার ও শান্তি এ ধর্মের ভিত্তি। 

সেই ইতিবাচক প্রণোদনা আপনার হারাম পন্থায় উপার্জন বন্ধ করা, হালাল খাদ্য গ্রহণের মধ্যেই নিহিত, অন্যের হক্ব নষ্ট না করে বাঁচার মধ্যেই নিহিত। আপনি সেটি দিয়েই শুরু করেন। অন্যকে তার ধর্ম পালন করতে দেন। কেউ উৎসব, মেলায় যেতে চাইলে ঘৃণা না ছড়িয়ে কেন যাচ্ছে সে বিষয়ে তার মতটিও শোনেন। 

শেষে আরেকটি দুঃখজনক তবে দরকারি কথা বলি। পূজার আনন্দের মধ্যে আমরা যখন পরিবার নিয়ে বের হবো তখন একটি বখাটে অসভ্য শ্রেণি বের হবে মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে নারীদের হয়রানী করতে। এদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন। প্রতিটি ধর্মেই নারীর মর্যাদা দিয়েছে। নারীকে সম্মান দিয়ে সমাজ গঠন করলেই সমাজে শান্তি আসবে। 

শেষ করি আজকের একটি ঘটনা দিয়ে। কাজ থেকে ফিরছিলাম। পূজা থেকে এক নারী ও তার কন্যা ও নাতনী নিয়ে ফিরছিলেন। কথায় কথায় তিনি বললেন, এখন নাড়ু বানানো হয় না আগের মতো অতো। কারণ, নারকেলের অনেক দাম৷ একটু বেশি করে বানানো হয় মুসলমান প্রতিবেশী ও বন্ধু-বান্ধবদের জন্য। দামের কারণে তা কঠিন হয়ে গেছে। 

এই দাম নিয়ে কথা বলুন পারলে। তা তো পারবেন না, নাকি?

চলে আসার সময় সেই মধ্যবয়সী নারী বললেন, আমরা সাত পুরুষ আনন্দে পূজা করতেছি বাংলাদেশে। আমাদের সবার দেশ। আশেপাশে মুসলমান।  ঈদ-পূজায় পরস্পরের খোঁজ নিই। বাবা রে, সব ধর্মই এক রে। সবাই ঐ একজনার সন্তুষ্টির জন্যই ধর্ম পালন করে। 

ঐ একজনাকে যে বিশ্বাস করে তার সেই বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করেন। 

আপনার আর তার পথ ভিন্ন, কিন্তু গন্তব্য কি একই নয়?

আমি অসুর-সাঁওতাল প্রমুখ আদিবাসীদের মহানায়ক 'মহিষাসুর'কে ঘৃণা না করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাদেবী শারদীয় দুর্গা পূজার উৎসবের শুভ কামনা করি। সমস্ত পূজারিদের ইতিবাচক চাওয়াগুলো পূরণ হোক। সবার মধ্যে সত্য, ন্যায় ও সাম্যের বোধ জাগ্রত হোক। 

জগৎ থেকে হিংসা দূর হোক, জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক। মানুষসহ সমস্ত প্রাণ ও প্রকৃতির জয় হোক।
পাঠ অনুভূতি

Post a Comment

0 Comments