হঠাত্ করে হিটলার সম্পর্কে একটু পড়লাম।Mein Kempf ছাড়া এর আগে তার সম্পর্কে অন্য কোন একক বই পড়িনি।যা জেনেছি তা ক্ষুদ্র নিবন্ধ,গবেষণা বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস পড়তে গিয়ে।তবে আজ রাত জেগে পড়েছি অসামান্য একটা বই।
'Untill The Final Hour' নামের বইটি হিটলারে ব্যক্তিগত নারী সহকারী ট্রডল জাঞ্জ(Traudle Junge)এর লেখা।মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হিটলারের পাশে থাকা ট্রডলের লেখা এই বইই সম্ভবত হিটলারের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দলিল।অনেক দেরিতে হলেও বইটি পড়ে বেশ ভালো লাগছে। বইয়ে ব্যক্তি হিটলার সম্পর্কে বেশ ইতিবাচক কিছু তথ্য পেয়েছি।হিটলার ছিলেন প্রবল ব্যক্তিত্ব ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন পুরুষ।মিথ্যা কথা অপছন্দ করতেন,ধূমপান ঘৃণা করতেন,শিশুদের সঙ্গে রসিকতা করতেন। লেখিক মেলিসা মুলারের (Mellisa Muller)সহায়তায় লেখা বইয়ে ট্রডল আরো উল্লেখ করেন,হিটলার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিশ্বাস করতেন যুদ্ধে জার্মানরা ঘুরে দাঁড়াবে।
আরেকটা তথ্য জানলাম।গোয়েবলস ছিলেন প্রচন্ড ধী শক্তিসম্পন্ন এবং হিটলারের বিশ্বস্ত।এই ব্যক্তির প্রতি জার্মান নারীরা প্রবল আকর্ষণবোধ করতো এবং রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় নারীরা গোয়েবলসকে এক নজর দেখায় জন্য অপেক্ষা করতো যদি সে দেখতে আহামরি ছিলনা। বইটা পড়ে জানলাম জার্মান সাধারণ নাগরিক হিটলারকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছিল।এর পিছনে জনমনে জাতীয়তাবোধের তীব্র প্রয়োজনীয়তা সুনিপুণভাবে হিটলার ঢুকিয়েছিলেন।হিটলার ইতালীয়দের বলতেন ব্যর্থ।ইহুদীদেয় পাশাপাশি সমাজতান্ত্রকে তীব্র ঘৃণা করতেন।যুদ্ধে জার্মান নারী ও শিশুদের প্রাণহানী হলে দুঃখভারাক্রান্ত হতেন। বইয়ে আছে,হিটলার জীবিত অথবা মৃত কোনভাবেই ধরা পড়ে আগ্রাসী বাহিনীর খেলনা হতে চাননি।তাই আত্মহত্যার করার সিদ্ধান্ত নেন এবং বলে যান লাশ তখনই পুড়িয়ে দিতে।মরে যাওয়ার আগে বান্ধবী ইভাকে বিয়ে করেন ও ইভা ভালবাসার সঙ্গে সহমরণে রাজি হন।এক সঙ্গে বেলা ৩ টার দিকে নিজকক্ষে ঢুকে মুখের ভেতর গুলি করে আত্মহত্যা করেন।ইভা সায়ানাইডের ক্যাপসুল খেয়ে মরে যান।লাশ দুইটি কম্বলে মুড়ে পেট্রল ঢেলে বাংকারের কাছের পার্কে আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করা হয়।শেষ হয় হিটলার অধ্যায়ের। অবাক করার বিষয় হিটলার মরে যাওয়ার আগে লেখিকাকে দিয়ে ভবিষ্যত জার্মানীর মন্ত্রীপরিষদ তৈরি করে দিয় যান যদিও সে কাগজ পাওয়া যায়নি। হিটলার বিষয়ে আগ্রহ থাকলে পড়ে নিতে পারেন বইটি।
'Untill The Final Hour' নামের বইটি হিটলারে ব্যক্তিগত নারী সহকারী ট্রডল জাঞ্জ(Traudle Junge)এর লেখা।মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হিটলারের পাশে থাকা ট্রডলের লেখা এই বইই সম্ভবত হিটলারের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দলিল।অনেক দেরিতে হলেও বইটি পড়ে বেশ ভালো লাগছে। বইয়ে ব্যক্তি হিটলার সম্পর্কে বেশ ইতিবাচক কিছু তথ্য পেয়েছি।হিটলার ছিলেন প্রবল ব্যক্তিত্ব ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন পুরুষ।মিথ্যা কথা অপছন্দ করতেন,ধূমপান ঘৃণা করতেন,শিশুদের সঙ্গে রসিকতা করতেন। লেখিক মেলিসা মুলারের (Mellisa Muller)সহায়তায় লেখা বইয়ে ট্রডল আরো উল্লেখ করেন,হিটলার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিশ্বাস করতেন যুদ্ধে জার্মানরা ঘুরে দাঁড়াবে।
আরেকটা তথ্য জানলাম।গোয়েবলস ছিলেন প্রচন্ড ধী শক্তিসম্পন্ন এবং হিটলারের বিশ্বস্ত।এই ব্যক্তির প্রতি জার্মান নারীরা প্রবল আকর্ষণবোধ করতো এবং রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় নারীরা গোয়েবলসকে এক নজর দেখায় জন্য অপেক্ষা করতো যদি সে দেখতে আহামরি ছিলনা। বইটা পড়ে জানলাম জার্মান সাধারণ নাগরিক হিটলারকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছিল।এর পিছনে জনমনে জাতীয়তাবোধের তীব্র প্রয়োজনীয়তা সুনিপুণভাবে হিটলার ঢুকিয়েছিলেন।হিটলার ইতালীয়দের বলতেন ব্যর্থ।ইহুদীদেয় পাশাপাশি সমাজতান্ত্রকে তীব্র ঘৃণা করতেন।যুদ্ধে জার্মান নারী ও শিশুদের প্রাণহানী হলে দুঃখভারাক্রান্ত হতেন। বইয়ে আছে,হিটলার জীবিত অথবা মৃত কোনভাবেই ধরা পড়ে আগ্রাসী বাহিনীর খেলনা হতে চাননি।তাই আত্মহত্যার করার সিদ্ধান্ত নেন এবং বলে যান লাশ তখনই পুড়িয়ে দিতে।মরে যাওয়ার আগে বান্ধবী ইভাকে বিয়ে করেন ও ইভা ভালবাসার সঙ্গে সহমরণে রাজি হন।এক সঙ্গে বেলা ৩ টার দিকে নিজকক্ষে ঢুকে মুখের ভেতর গুলি করে আত্মহত্যা করেন।ইভা সায়ানাইডের ক্যাপসুল খেয়ে মরে যান।লাশ দুইটি কম্বলে মুড়ে পেট্রল ঢেলে বাংকারের কাছের পার্কে আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করা হয়।শেষ হয় হিটলার অধ্যায়ের। অবাক করার বিষয় হিটলার মরে যাওয়ার আগে লেখিকাকে দিয়ে ভবিষ্যত জার্মানীর মন্ত্রীপরিষদ তৈরি করে দিয় যান যদিও সে কাগজ পাওয়া যায়নি। হিটলার বিষয়ে আগ্রহ থাকলে পড়ে নিতে পারেন বইটি।
0 Comments