রাজনীতি
সচেতনতা নির্মল বিনোদন প্রাপ্তি থেকে অনেক সময় বঞ্চিত করে বা করতে পারে।বিভাগের শিক্ষাসফরের
একেবারে শেষপর্বে যখন সিলেটের জাফলং গেলাম তখন মন খারাপের শুরু।১৯৪৭ সালের
কথিত দেশভাগে সহস্র বছরের বাংলার ভূখন্ডকে সংযুক্ত করা হয় ভারতের
সাথে।পিআইন নদীর যে অঞ্চল থেকে বাংলাদেশের শুরু মেঘালয়ের ঝরনাসমৃদ্ধ উঁচু
পাহাড় সেখানেই শেষ।অর্থাত্ দেখতে সুন্দর পর্যটনস্পট যেখান থেকে শুরু
ভারতীয় ও ইংরেজদের সম্মিলিত ষড়যন্ত্র এবং পাকিস্তানের গন্ডমূর্খ
নেতৃত্ত্বের কারণে সেখানেই দাগ টেনে
বাংলাদেশের ভূমি ডাকাতি করেছে।ইতিহাস বলে খাসিয়া -জৈন্তা উপরাজ্যটি বাংলার
হরিকেল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল।মেঘালয় ছিল বাংলারই শাসনাধীন।অথচ
রেডক্লিফের মত শয়তানের দাগে ভারত পেয়ে যায় বাংলার ভূখন্ড!আজ আমরা জাফলংয়ে
যে পাথরশিল্পের বিস্তার দেখলাম তা আরো বেশি আন্তর্জাতিকমানের হতো যদি
মেঘালয় আমাদের অংশে থাকতো।আমাদের বিশ্বাস জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ এর আগে যদি অবিভক্ত বাংলার নেতৃত্ত্ব পেতেন তবে পৃথিবীর কোন শক্তি বাংলাদেশের ভূখন্ড নিয়ে যেতে পারতোনা। তবে এখনো জাফলংয়ে যা আছে তাকে দেশ ও জাতীয় স্বার্থে কাজে লাগাতে হবে। স্পটটিকে আরো পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
২।
মাধবকুন্ডের যে জলপ্রপাত আমরা দেখেছি তা স্বর্গীয়।কিন্তু স্পটটিতে যত্নের অভাব আছে।ময়লা আবর্জনা ছড়ানো।গোসলের পর কাপড় পাল্টানোর কোন স্থান নেই।পুলিশের অবস্থান নেই বলে অনেক পাহাড়ে উঠতে নিষেধ।সেখানে নাকি ছিনতাই হয়।এটা কোন কথা?
চা বাগান দেখলাম।
চা কি গাছ
না গুল্ম এটা নিয়ে দ্বন্দ্বে পড়লাম।ছবি তুললো সবাই!সে কি মজা!ঝরনার কাছে
গিয়েও সেলফি চললো ধুমায়ে।তারপর পাহাড়ে উঠলাম।এ নিষিদ্ধ পাহাড়।সেখানে উঠে তো
আর নামার জোর নেই।পরে ছোট ভাইদের সহায়তায় নামলাম।
৩।
মাধবপুরের লেক এবং চা বাগান মন কেড়ে নিল।পরিচিত হলাম নির্যাতিত চা শ্রমিকদের সাথে।ম্যানেজার নামের কুখ্যাত ব্যক্তিরা বছরের পর বছর ধরে ইন্দ্রজিত্দের রক্ত চুষছে কিভাবে সে ঘটনা দেখলাম।আদনান স্যার তো সাক্ষাত্কার নিলেন।আমরা পাহাড়ে উঠলাম।সেই রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি ধারন করলো ছোটভাই সোহাগ।দেখলাম ত্রিপুরার এক অংশ।
৪।
বাসের মধ্যেও আনন্দ করা হলো।গাম্ভীর্যপূর্ণ আদনান স্যারও আমাদের সাথে নাচলেন,গাইলেন।আর উজ্জ্বল স্যার তো পুরা রাস্তা নাচলেন।ছোট ভাই,বন্ধুদের নাচাগাওয়া চমত্কার লাগছিল।শাহজালাল র এর সমাধিজুড়ে ভন্ডদের জয়গান।ব্যাটারা কবর পূজা করে খাবে তবে আমারে ছবি তুলতে দেবেনা কবরের।
তবে ছবি আমি তুলেই ছেড়েছি।দেখলাম মুক্তিযুদ্ধের ফিল্ড
সর্বাধিনায়ক আতাউল গনি ওসমানি ও অন্যতম সেরা নায়ক সালমান শাহর কবর।
৫।
আয়োজক কমিটিতে থাকা ছোটভাই ও পরামর্শদাতা বন্ধুদের ধন্যবাদ চমত্কার এ সফরটি সাফল্যমন্ডিতভাবে সম্পন্ন করার জন্য। বিশেষ করে টিশার্টটি ছিল সত্যিই প্রশংসা করার মত।যেমন মানানসই রং তেমন সুন্দর বাংলায় লেখা।রুবেল,গাজী,হাফিজ,শাএন,তাহের,মম ও ইলিয়াসের নিরলস কর্ম ও প্রচেষ্টা ছিল প্রসংশনীয়।রাকিব স্যার ও আমিনা ম্যামকে আমরা মিস করেছি।মিস করেছি প্রিয় কিছু বন্ধুদের।
ছোট্র এ সফরটি ছিল অনেক বড় প্রাপ্তি।দেশের একটা বড় বিভাগকে দুইদিনে দেখা খুবই কঠিন কাজ।সেই কাজটি করে আজ সকাল ৬ টায় ফিরেছি।ফিরেই ঘুম।সেই ঘুম ভাঙছে সন্ধ্যা ৬ টায়।তারপর লিখতে ইচ্ছে হলো কিছু।অনেক কিছু বাদ দিয়ে একটি সারসংক্ষেপ লিখলাম আর কি...
(২৬ এপ্রিল ২০১৫ তে লিখিত।) আরো ছবি নিচে।
আরো কিছু ছবি
![]() |
সিলেটের জাফলংয়ে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন পরিবার |
২।
মাধবকুন্ডের যে জলপ্রপাত আমরা দেখেছি তা স্বর্গীয়।কিন্তু স্পটটিতে যত্নের অভাব আছে।ময়লা আবর্জনা ছড়ানো।গোসলের পর কাপড় পাল্টানোর কোন স্থান নেই।পুলিশের অবস্থান নেই বলে অনেক পাহাড়ে উঠতে নিষেধ।সেখানে নাকি ছিনতাই হয়।এটা কোন কথা?
চা বাগান দেখলাম।
![]() |
মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে আমরা |
৩।
মাধবপুরের লেক এবং চা বাগান মন কেড়ে নিল।পরিচিত হলাম নির্যাতিত চা শ্রমিকদের সাথে।ম্যানেজার নামের কুখ্যাত ব্যক্তিরা বছরের পর বছর ধরে ইন্দ্রজিত্দের রক্ত চুষছে কিভাবে সে ঘটনা দেখলাম।আদনান স্যার তো সাক্ষাত্কার নিলেন।আমরা পাহাড়ে উঠলাম।সেই রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি ধারন করলো ছোটভাই সোহাগ।দেখলাম ত্রিপুরার এক অংশ।
৪।
বাসের মধ্যেও আনন্দ করা হলো।গাম্ভীর্যপূর্ণ আদনান স্যারও আমাদের সাথে নাচলেন,গাইলেন।আর উজ্জ্বল স্যার তো পুরা রাস্তা নাচলেন।ছোট ভাই,বন্ধুদের নাচাগাওয়া চমত্কার লাগছিল।শাহজালাল র এর সমাধিজুড়ে ভন্ডদের জয়গান।ব্যাটারা কবর পূজা করে খাবে তবে আমারে ছবি তুলতে দেবেনা কবরের।
![]() |
শাহজালাল র এর কবর |
৫।
আয়োজক কমিটিতে থাকা ছোটভাই ও পরামর্শদাতা বন্ধুদের ধন্যবাদ চমত্কার এ সফরটি সাফল্যমন্ডিতভাবে সম্পন্ন করার জন্য। বিশেষ করে টিশার্টটি ছিল সত্যিই প্রশংসা করার মত।যেমন মানানসই রং তেমন সুন্দর বাংলায় লেখা।রুবেল,গাজী,হাফিজ,শাএন,তাহের,মম ও ইলিয়াসের নিরলস কর্ম ও প্রচেষ্টা ছিল প্রসংশনীয়।রাকিব স্যার ও আমিনা ম্যামকে আমরা মিস করেছি।মিস করেছি প্রিয় কিছু বন্ধুদের।
![]() |
আমরা... |
ছোট্র এ সফরটি ছিল অনেক বড় প্রাপ্তি।দেশের একটা বড় বিভাগকে দুইদিনে দেখা খুবই কঠিন কাজ।সেই কাজটি করে আজ সকাল ৬ টায় ফিরেছি।ফিরেই ঘুম।সেই ঘুম ভাঙছে সন্ধ্যা ৬ টায়।তারপর লিখতে ইচ্ছে হলো কিছু।অনেক কিছু বাদ দিয়ে একটি সারসংক্ষেপ লিখলাম আর কি...
(২৬ এপ্রিল ২০১৫ তে লিখিত।) আরো ছবি নিচে।
![]() |
আমাদের প্রিয় গর্বের বিজিবি সেনারা সাধারনকে পাহারা দিচ্ছে।উপরে ভারতীয় বিএসএফ সশস্ত্র।সঙ্গে আদনান স্যার। |
![]() |
স্যারদ্বয় ও ম্যাডাম। |
আরো কিছু ছবি
0 Comments