পঁচা লাশের গন্ধ!
কি তীব্র উত্কট
নাক ভেদ করে মগজে নাচছে; এত্ত মৃতদেহের সব এখন মারছে জীবীতদের
অথচ এইখানে এরা গামছা কাঁধে,গলায় বা পরে হাঁটছে বংশ পরম্পরায়
মাটির সাথে মিলেমিশে ফলিয়েছে আমন,আউশ,বোরো;ঝুম বৃষ্টির মেস্তা পাট,
মৌমাছি কবলিত তিল,ধনিয়া,খেসারী,পেঁয়াজ,মরিচ,কলা,মুগ আর সবজি
তাদের দেহে মিষ্টি আলু আর সরিষা ফুলের সুগন্ধে ভরা,
ব্যাপার কি?এই মহিমান্বিত লাশে তবে গন্ধ আসলো কোথা থেকে ?
আসলে জীবন্ত নাসিকা শিকড়হীন,মাটির উর্বর সুঘ্রাণ প্লাস্টিকের নাকে অসহ্য,
ড্রেনের দুর্গন্ধে যাদের বাস,যারা ডাস্টবিন ডিঙিয়ে বিদ্যালয়,অফিসে যায়,
যারা বালতি ভরা আবেগ কিবোর্ডের কল্যাণে ভার্চুয়ালে ঢেলে দেয়
তারা অনার্য আবেশ ধরতে ব্যর্থ;বাসনের থালার পান্তার স্বর্গস্বাদ ওরা পায়না;ওরা উপায়হীন ইন্দোওয়েস্টার্ণ গিনিপিগ,
পাঙ্গাসখোর এই বিপথগামীর দল,এক্স বয়ফ্রেন্ড ও গার্লফ্রেনের তাড়নায় দশবার গর্ভপাত করা বহুগামী যারা,
ওরা কিভাবে জানবে শোল,কই,পুঁটি আর লাউ খাওয়া দেহের পরিচয়,
ইউ এনড মি বা প্যান্থার বা এবোরশন পিল যাদের পকেট কিংবা ভ্যানিটি ব্যাগের স্থায়ি বাসিন্দা
সে কিভাবে পাবে ৮০ বছর একত্রে সুখে বাস করা দশ সন্তানের জন্মদাতা ও দাত্রীর ভালবাসার সুবাস?
আর যারা লাশের সত্কারে এগিয়ে এসেছে কোন প্রকার মাস্কবিহীন,
তারা গৌরববোধ করে এ লাশ ছুঁয়ে।তারা জাম,কাঁঠাল আর বরুই চেনে;তারা চিঠি লিখতে চায় প্রেমিকাকে,
এখনো তাদের ঘুম ভাঙে মায়ের কন্ঠে,সকালের শিশির আর পাখির স্বর
তাদের বেঁচে থাকার অবলম্বণ। তারা বাঁশবাগানের বাতাসে নিষিক্ত,শাপলার ঝোল খেয়েছে ইলিশের সাথে,
তারা লাঙ্গল আর কোদালে সংমিশ্রিত ঘামে বড় হয়েছে,
তারা জানে তাদের রক্তধারা,তারা জানে এইসব অট্রালিকার মানে।
কবরে শায়িত পূর্বপুরুষ।
রেখে যাওয়া দুইটি উত্তরপুরুষ লড়ছে বেঁচে থাকার যুদ্ধে
প্রজন্ম আর অপপ্রজন্মের অমিলিত স্রোত বিপরীতমুখী,
একজন টান অনুভব করে ফসলের মাঠে,হাডুডু কি বাঁশির সুর,লম্বা সুরের জারি,সারি,ভাটিয়ালি,পল্লীগীতি;
আরেকজন শিকড়ত্যাগী কর্পোরেট,হিন্দিগানে কোমর বাঁকানো,ইংরেজির দাস;
অঙ্গে বিচিত্র ভ্রষ্টামী আর মানসপটে ভোগবাদ;ঐতিহ্য অসচেতন
এ দ্বৈত সংমিশ্রণ কে জানে অদূর সুদূরে আরো কয়েকটি ৭১ লিখেছে কি না,
নাকি কপালে আছে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া সে কথা বলা যায়না।
শুধু বলা যায়,অনার্য সাঁতার জানতো,যুদ্ধ জানতো,কৌশলী ছিল টিকে থাকার জন্য,উপায় জানতো বাঁচতে ও বাঁচানোর
সশস্ত্র সংগ্রাম কি স্নায়ু যুদ্ধ ; ডুবে যাওয়া কি প্রখর খরা কিছুতেই তাঁর রক্ত ভীত নয়
এ ভূমি তাঁর;এ ভূমির ভবিষ্যত্ তাঁকে সম্মানে ছুঁয়ে কবর দেয়া উত্তরপুরুষের,
শিকড়ত্যাগী ধারাটি ধ্বসে যাবে;শুধু অনার্য রক্তের অভিযাত্রা চলবেই মহাকাল বিজয়ের।
০৪.০৮.২০১৫
ড্রেনের দুর্গন্ধে যাদের বাস,যারা ডাস্টবিন ডিঙিয়ে বিদ্যালয়,অফিসে যায়,
যারা বালতি ভরা আবেগ কিবোর্ডের কল্যাণে ভার্চুয়ালে ঢেলে দেয়
তারা অনার্য আবেশ ধরতে ব্যর্থ;বাসনের থালার পান্তার স্বর্গস্বাদ ওরা পায়না;ওরা উপায়হীন ইন্দোওয়েস্টার্ণ গিনিপিগ,
পাঙ্গাসখোর এই বিপথগামীর দল,এক্স বয়ফ্রেন্ড ও গার্লফ্রেনের তাড়নায় দশবার গর্ভপাত করা বহুগামী যারা,
ওরা কিভাবে জানবে শোল,কই,পুঁটি আর লাউ খাওয়া দেহের পরিচয়,
ইউ এনড মি বা প্যান্থার বা এবোরশন পিল যাদের পকেট কিংবা ভ্যানিটি ব্যাগের স্থায়ি বাসিন্দা
সে কিভাবে পাবে ৮০ বছর একত্রে সুখে বাস করা দশ সন্তানের জন্মদাতা ও দাত্রীর ভালবাসার সুবাস?
আর যারা লাশের সত্কারে এগিয়ে এসেছে কোন প্রকার মাস্কবিহীন,
তারা গৌরববোধ করে এ লাশ ছুঁয়ে।তারা জাম,কাঁঠাল আর বরুই চেনে;তারা চিঠি লিখতে চায় প্রেমিকাকে,
এখনো তাদের ঘুম ভাঙে মায়ের কন্ঠে,সকালের শিশির আর পাখির স্বর
তাদের বেঁচে থাকার অবলম্বণ। তারা বাঁশবাগানের বাতাসে নিষিক্ত,শাপলার ঝোল খেয়েছে ইলিশের সাথে,
তারা লাঙ্গল আর কোদালে সংমিশ্রিত ঘামে বড় হয়েছে,
তারা জানে তাদের রক্তধারা,তারা জানে এইসব অট্রালিকার মানে।
কবরে শায়িত পূর্বপুরুষ।
রেখে যাওয়া দুইটি উত্তরপুরুষ লড়ছে বেঁচে থাকার যুদ্ধে
প্রজন্ম আর অপপ্রজন্মের অমিলিত স্রোত বিপরীতমুখী,
একজন টান অনুভব করে ফসলের মাঠে,হাডুডু কি বাঁশির সুর,লম্বা সুরের জারি,সারি,ভাটিয়ালি,পল্লীগীতি;
আরেকজন শিকড়ত্যাগী কর্পোরেট,হিন্দিগানে কোমর বাঁকানো,ইংরেজির দাস;
অঙ্গে বিচিত্র ভ্রষ্টামী আর মানসপটে ভোগবাদ;ঐতিহ্য অসচেতন
এ দ্বৈত সংমিশ্রণ কে জানে অদূর সুদূরে আরো কয়েকটি ৭১ লিখেছে কি না,
নাকি কপালে আছে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া সে কথা বলা যায়না।
শুধু বলা যায়,অনার্য সাঁতার জানতো,যুদ্ধ জানতো,কৌশলী ছিল টিকে থাকার জন্য,উপায় জানতো বাঁচতে ও বাঁচানোর
সশস্ত্র সংগ্রাম কি স্নায়ু যুদ্ধ ; ডুবে যাওয়া কি প্রখর খরা কিছুতেই তাঁর রক্ত ভীত নয়
এ ভূমি তাঁর;এ ভূমির ভবিষ্যত্ তাঁকে সম্মানে ছুঁয়ে কবর দেয়া উত্তরপুরুষের,
শিকড়ত্যাগী ধারাটি ধ্বসে যাবে;শুধু অনার্য রক্তের অভিযাত্রা চলবেই মহাকাল বিজয়ের।
০৪.০৮.২০১৫
0 Comments