সর্বশেষ

আমেরিকান ঘৃণ্য বর্ণবাদ


..........................
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ১৪ বছরের বিস্ময় বালক।ঘরে বসে নিজে নিজে তৈরি করেছে ডিজিটাল ঘড়ি।প্রকৌশল শিক্ষিকাকে দেখাতে সেটিকে স্কুলে নিয়ে এলো সে।ধরুন ছেলেটির নাম জন,এডোয়ার্ড,বিক্রম,ভিক্টর বা চ্যাং।কি হবে প্রতিক্রিয়া?শিক্ষিকা বলবেন,O John/Adi/Vikram/Victor/Chang,my lil genious!u r gonna be a great scientist one day...
আর যদি নাম হয় আহমেদ মোহাম্মদ? তবে সেই ১৪ বছরের বাচ্চার উদ্ভাবনী দেখে ঐ মহিলা শিক্ষক চিত্‍কার করে বলে উঠবেন,
'bomb!It's a bomb...help...Ahmed just made a bomb in a clock n brought it to terrorize n destroy us!He's a terrorist...''
হ্যাঁ,এটিই ঘটনা।অমানবিক বাস্তবতা ও সত্য ঘটনা।তারপর পুলিশ এসে বাচ্চাটিকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে ধরে নিয়ে যায়।তাঁর মেধা শুধু নামের,ধর্মের কারণে অবমূল্যায়িত হল।এই ঘৃণ্য বর্ণবাদী ঘটনা গতকাল ১৬ সেপ্টেম্বর ঘটেছে টেক্সাসের ম্যাক আর্থার হাইস্কুলে।পরে অবশ্য প্রমাণ না পেয়ে আহমেদ মোহাম্মদকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।ক্ষমা চেয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ।এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ মানুষের মধ্য থেকে টুইটার জুড়ে #IStandWithAhmed -ট্রেন্ডিংয়ে প্রায় সাত লাখ প্রতিবাদ এসেছে।এই আন্দোলন দেখে বাধ্য হয়ে বারাক ওবামা শিশু আহমেদকে হোয়াইট হাউজে ডেকেছেন।কিন্তু যে অন্যায় ও জুলুম এই বাচ্চার সাথে করা হলো সেটি কি তার মষ্তিস্ক থেকে মুছে যাবে?তাঁর এই ব্যথিত বা আহত হওয়া সমগ্র মানবজাতিকে আঘাত করেছে।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সুদানী বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক মোহাম্মদ আহমেদ কষ্ট পেয়ে টেক্সাসের ঐ স্কুল ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কথায় কথায় যারা মার্কিন উদাহরণ টেনে মানবতাবোধ ইত্যাদি শেখাতে আসেন তাদের জন্য কিছু শেখার আছে এই ঘটনা থেকে...।

পাঠ অনুভূতি

Post a Comment

0 Comments