প্রথম আলোর প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট। |
কোথাও আধুনিক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপকার , বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বেশি উন্নয়নকারী , সেশনজটকে শূন্যে আনা , ছাত্রবান্ধব উপাচার্য অধ্যাপক #শরীফ এনামুল কবিরের অবদানের কথা নেই। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতেগোনা দশজন অথবা অধিকাংশ শিক্ষকের সমর্থন ছিলনা যাদের তাঁদের কারো কারো বক্তব্য ও মতপথ লেখা আছে ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ নতুন ১০ টি বিভাগ ও ২ টি ইনস্টিটিউট চালু করেন অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির । এ অবদান জাবির আর কোন ভিসির নেই । তবু জাবির ভিসির আলোচনায় তিনি বাদ যান কি কারণে? কোন সুস্থ মানুষ এমন অবিচারপূর্ণ সংবাদ বিশ্বাস করতে পারে?
অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির স্যার ২০১১ সালের ২১ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ চালু করেন । তিনি চেয়েছিলেন, সমগ্র বাংলাদেশ বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমৃদ্ধ হোক ।
আমি সাংবাদিকতা গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ছাত্র । আমি তখন একটিভ ক্যাম্পাস রিপোর্টিং করেছি। কাছ থেকে দেখেছি কে কি করেছেন , কোথায়, কেন আন্দোলন হয়েছে । অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির স্যারের স্বেচ্ছায় চলে যাওয়া , অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন স্যারের আগমন ও আন্দোলনে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া এবং বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ম্যামের উপাচার্য হওয়া আমরা দেখেছি । সুতরাং যা ইচ্ছে তাই লিখে দিলে হচ্ছেনা এখানে । সংবাদটির কিছু বিষয়ে এখানে আলোচনা করছি । কারো প্রতি ক্ষোভ কিংবা ভালবাসার চেয়ে এখানে বস্তুনিষ্ঠতাকে গুরুত্ব দিয়ে আমার বিশ্লেষণটা তুলে ধরছি ।
অধ্যাপক একেএম শাহনেওয়াজ স্যারের অযৌক্তিক বক্তব্য
প্রথম আলোর ঐ প্রতিবেদনটিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যৌথ আন্দোলনে জাবি ছড়তে বাধ্য বিতর্কিত উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনপন্থী অধ্যাপক একেএম শাহনেওয়াজ হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী ও প্রায় ৯৫ শতাংশ শিক্ষকের আন্দোলনকে লিখেছিলেন 'অল্প কিছুসংখ্যক শিক্ষক কায়েমি স্বার্থে আন্দোলনে নেমে বারবার হোঁচট খেয়ে এখন হতাশ...' তাও প্রকাশ পেয়েছে ।
অথচ তখন প্রায় প্রতিরাতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী মশাল মিছিল করতো অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে । সেই সব সংবাদ সচিত্র প্রকাশ হয় । অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন তা অস্বীকার করার সাহস করবেন না । কিন্তু ২০১৩ সালের উক্ত নিবন্ধে একেমএম শাহনেওয়াজ স্যার করেছিলেন । তখন ক্যাম্পাসে এই লেখার প্রতিবাদ হয়েছিল । সেটাও দেখেছিলাম ।
আর অধ্যাপক শাহনেওয়াজ স্যার টিএসসির পরিচালনার দায়িত্ত্ব পেয়েছিলেন অধ্যাপক আনোয়র হোসেন স্যারের সময়ে । সেসয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট ফিরিয়ে আনার জন্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন স্যারকে দায়ি করা হতো । কারণ শরীফ স্যার একাডেমিক ইয়ার ৭ মাসের মধ্যে শেষ করতেন, কোন ক্লাস টিচাররা মিস দিতেন না, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন এসে একাডেমিক এয়ার ১ বছর করে গেছেন অঘোষিতভাবে । তার ঘানী আমরা আজো টানতেছি । একটি মাসের জন্য ৩৭ তম বিসিএসে অংশগ্রহণ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ৪১ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ।
জাবির কিংবদন্তি উপাচার্য শরীফ এনামুল কবিরের অবদান নেই কোথাও
প্রতিবেদনটির কোথাও লেখা নেই গোটা পাঁচেক
নতুন হল নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ,
এশিয়ার সর্ববৃহত্ বিজ্ঞান গবেষণাগার নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সর্বাধিক বাজেট নিয়ে আসা জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সফল ও জনপ্রিয় উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির স্যারের নিঃস্বার্থ
কীর্তি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ নতুন ১০ টি বিভাগ ও ২ টি ইনস্টিটিউট চালু করেন অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির । এ কথা আগেই বলেছি যে, এ অবদান জাবির আর কোন ভিসির নেই । তারপরেও কেন তাঁর কথা স্মরণ করতে আমরা ভুলে যাই ? এই অর্ধসত্য উপাচার্যকথন কেন করলো এই প্রতিবেদক ? এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত।
আমি নিজের চোখে দেখেছি, কানে শুনেছি ছাত্র-ছাত্রীদের বলতে, ইশ ! শরীফ স্যার থাকলে আমাদের আজ এই অবস্থায় থাকতে হতোনা , সেশন জট থাকতোনা ইত্যাদি।
![]() |
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পাশে জাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির । ছবি/শরীফ এনামুল কবির স্যারের ফেসবুক টাইমলাইন । |
শরীফ স্যার থাকাকালীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উপর কোন কারো একচেটিয়ে খবরদারি ছিলনা । তিনি সকল শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানদের মত মনে করতেন । একদম হাতেগোনা কয়েকজনের আন্দোলনকে মিডিয়া বাড়িয়ে প্রচার করতো কারণ শরীফ স্যারের বাড়ি ছিল গোপালগঞ্জ ।
তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের একজন পরীক্ষিত যোদ্ধা ও ধারক-বাহক । এদেশে যোগ্যতা নিয়ে জন্মানোর পরেও বাড়ি গোপালগঞ্জ হলে তা অনেকের সহ্য হয়না ।
তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের একজন পরীক্ষিত যোদ্ধা ও ধারক-বাহক । এদেশে যোগ্যতা নিয়ে জন্মানোর পরেও বাড়ি গোপালগঞ্জ হলে তা অনেকের সহ্য হয়না ।
তাই জাবির উপাচার্য নিয়ে করা দীর্ঘ সংবাদিটতে জাবির সবচেয়ে সফল উপাচার্য বিষয়ে লেখা হয় “২০১২ সালে জুবায়ের হত্যার পর বিভিন্ন ঘটনার ধারাবাহিকতায় পদত্যাগ করেন শরীফ এনামুল কবির” শীর্ষক একটি মাত্র অসম্পূর্ণ, অস্বচ্ছ ধারনা প্রদানকারী লাইন । অথচ জুবায়ের হত্যাকে রাজনৈতিক এজেন্ডা করার কোন কথা এখানে নেই । কারা ওটাকে রাজনীতি বানিয়েছিল? শরীফ স্যার তো খুনীদের ছবিসহ ঐদিনই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করেন এবং প্রচলিত আইনেও বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন । তা যখন ঐসকল খুনীরা আদালত চ্ত্বর থেকে পালিয়ে গেলো তখন জুবায়ের হত্যা নিয়ে রাজনীীত করা মিডিয়া ও শিক্ষকেরা কি করেছিলেন? সেটি কি প্রতিবেদনে আসা জরুরী ছিলনা?
সংবাদটিতে কোন শিক্ষার্থীর বক্তব্য নেই
দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদকের উচিত ছিল জাবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন করা যে কোন উপাচার্য ক্যাম্পাসে নন্দিত ও কোন উপাচার্য চরমভাবে নিন্দিত । দেখা যাবে যারঁ বক্তব্য নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজের করা ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ বাতিলের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে সেই অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ক্যাম্পাসে কমবেশি সকলের কাছে নিন্দিত ছিলেন । তাঁর নানা বিতর্কিত মন্তব্য, ক্যাম্পাসে এসেই জাসদ ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে পৃষ্ঠপোষকতা, জাবির প্রাকৃতিক পরিবেশকে নষ্ট করে কৃত্রিমতা আনা, ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের নেতা ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক খবির হোসেনকে শিবির বলা, প্রভাবশালী আওয়ামীপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক আমীর হোসেনকে “অপ্রকৃতিস্থ” বলা, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেলকে তদন্ত না করে বহিষ্কার করা, বিশ্ববিদ্যালয়কে পুলিশের অবাধ বিচরণস্থল বানানো, জাবির সাংষ্কৃতিক কর্মকান্ড নিয়ে তাচ্ছিল্য করা ইত্যাদি অভিযোগে তিনি বিতর্কিত ছিলেন । এবং সত্য হচ্ছে তখন আনোয়ার হোসেনকে নিঃস্বার্থ সমর্থন দিয়েও প্রথম আলো টিকিয়ে রাখতে পারেনি । যেমনভাবে শাবিপ্রবির ভিসির পতনে অধ্যাপক জাফর ইকবাল স্যারের স্ত্রীর আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছিল প্রথম আলো তদ্রুপ জাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের বিরুদ্ধেুও দাঁড়িয়েছিল প্রথম আলো । এই প্রতিবেদনটি প্রথম আলোর সেই গণবিরোধী অবস্থানের জাস্টিফিকেশন কি?
বহিরাগত সমাচারঃ
প্রতিবেদনটিতে লেখা হয়েছে “বাইরের অধ্যাপককে সেখানে ‘বহিরাগত’ মনে করা হয়।”। মানে জাবিতে বাইরের তথা ঢাবি, রাবি, চবি, জবি ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বহিরাগত বলা হয় । এই বক্তব্যটির পিছনে কোন সোর্স নেই । কোথা থেকে পেয়েছেন তা প্রতিবেদক শরিফুজ্জামানই বলতে পারবেন। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ম্যাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের । তিনি কখনো এমন কথা শুনেছেন কি না তা প্রশ্ন করেছেন শরিফুজ্জামান? এই ব্যাপারটি মিথ্যা । আমি আমাদের বিভাগের ও অন্যান্য সকল বিভাগের শিক্ষকদের একসাথে জাবির পরিচয়ে পরিচিত হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োিজিত দেখেছি । মিনিমাম একটি অংশ যদি এই বহিরাগত অপতত্ত্ব মানতো তবে বিশ্ববিদ্যালয় এত সুন্দর ও সাবলীলভাবে চলতো না । এই বহিরাগত শীর্ষক অংশটি সংবাদটিকে আরো হালকা করেছে । এটি জাবির শিক্ষক সমাজকে দুইভাগে বিভক্ত করার কোন প্ররোচনা হতে পারে কি?
এখনো মনে আছে ৩৮ এর তৃতীয় বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের সামনে মুক্তমঞ্চে বলেছিলেন শরীফ এনামুল কবির স্যার, তোমরা চাইলে আমি পদত্যাগ করবো । তোমরা কি চাও??? তখন সকলেই একসাথে বলেছিল “নাআআআআ...” । কোন উপাচার্যর কতটুকু নৈতিক শক্তি থাকলে খোলা মঞ্চে অজানা শিক্ষার্থীদের সামনে নিজের পদত্যাগের ব্যাপারে কথা বলেন? এমন জনপ্রিয় উপাচার্যকে বাদ দিয়ে, তাঁর অবদান ও বক্তব্য বাদ দিয়ে জাবির উপাচার্যগাঁথা কেমনে করলেন প্রতিবেদক?
শরীফ এনামুল কবির স্যার মুক্তমঞ্চে বা জাবির কোন খোলা জায়গায় দাঁড়ালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁকে ঘিরে ধরে । এটা ভালবাসা থেকে উৎসরিত আবেগ। এই যে সেদিন যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ববৃহৎ এলামনাই এসোসিয়েশনের অনুষ্ঠান হলো , তখন মুক্তমঞ্চে শরীফ স্যার উঠে মাইক্রোফোন হাতে একটি দুইট কথা বলেন আর সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিপুলভাবে উদ্বেলিত হয়-এই দৃশ্য চোখের সামনে ভাসছে । স্যারের প্রবল ব্যক্তিত্ত্ব, সততা, ন্যায় ও স্নেহপরায়নতাই তাঁকে জাহাঙ্গীরনগরের ইতিহাসের জীবন্ত কিংবদন্তি হিসেবে তুলে ধরেছে । এটাই কিছু অসুস্থ মানুষ ও মিডিয়ার কাছে বড় ঈর্ষণীয় ।
অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির স্যারের বিপুল জনপ্রিয়তার কথা অনুপস্থিত
এখনো মনে আছে ৩৮ এর তৃতীয় বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের সামনে মুক্তমঞ্চে বলেছিলেন শরীফ এনামুল কবির স্যার, তোমরা চাইলে আমি পদত্যাগ করবো । তোমরা কি চাও??? তখন সকলেই একসাথে বলেছিল “নাআআআআ...” । কোন উপাচার্যর কতটুকু নৈতিক শক্তি থাকলে খোলা মঞ্চে অজানা শিক্ষার্থীদের সামনে নিজের পদত্যাগের ব্যাপারে কথা বলেন? এমন জনপ্রিয় উপাচার্যকে বাদ দিয়ে, তাঁর অবদান ও বক্তব্য বাদ দিয়ে জাবির উপাচার্যগাঁথা কেমনে করলেন প্রতিবেদক?
শরীফ এনামুল কবির স্যার মুক্তমঞ্চে বা জাবির কোন খোলা জায়গায় দাঁড়ালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁকে ঘিরে ধরে । এটা ভালবাসা থেকে উৎসরিত আবেগ। এই যে সেদিন যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ববৃহৎ এলামনাই এসোসিয়েশনের অনুষ্ঠান হলো , তখন মুক্তমঞ্চে শরীফ স্যার উঠে মাইক্রোফোন হাতে একটি দুইট কথা বলেন আর সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিপুলভাবে উদ্বেলিত হয়-এই দৃশ্য চোখের সামনে ভাসছে । স্যারের প্রবল ব্যক্তিত্ত্ব, সততা, ন্যায় ও স্নেহপরায়নতাই তাঁকে জাহাঙ্গীরনগরের ইতিহাসের জীবন্ত কিংবদন্তি হিসেবে তুলে ধরেছে । এটাই কিছু অসুস্থ মানুষ ও মিডিয়ার কাছে বড় ঈর্ষণীয় ।
উপাচার্য পদ ছেড়ে অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির স্যার যখন বিপিএসসির (বাংলাদেশ কর্ম কমিশন) সদস্য হিসেবে চলে যান তখন উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন দিয়ে যান । সেই নির্বাচনে শরীফ স্যার যে প্রথম স্থান অর্জন করে নিজের জনপ্রিয় অবস্থানকে প্রমাণ করে যান তা কেন থাকবেনা সংবাদে ? কেন আংশিকভাবে এমন একটি সংবাদ প্রকাশ করা হবে ? কেন হে? কেন তাঁর ব্যাপারেই এই কার্পণ্য?
অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির স্যারের একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ত্ব
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ নতুন ১০ টি বিভাগ ও ২ টি ইনস্টিটিউট চালু করেন অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির । তাঁস উপাচার্য থাকার সময়টিকে জাহাঙ্গীনগেরের ইতিহাসের সোনালী যুগ বলা হয় । অথচ সেসব কথা আসেনা নিন্দুকদের পত্রিকায় , মুখে কিংবা আলোচনায় । তা আসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাপ্তির আলোচনায় । আমাদের হৃদয়ে গাঁথা নাম অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির ।
সংবাদটিতে জাবির সবচেয়ে সফল উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের জাবি গঠনে অসামান্য অবদানের কোন কথা নেই । অথচ বাংলাদেশে এ যাবৎকালের ইতিহাসে একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ত্বসম্পন্ন এমন উপাচার্য আর একজনও নেই । অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের স্বণামধন্য অধ্যাপক ।
দেশে বিদেশে তাঁর নিজের রয়েছে তিন শতাধিক মৌলিক গবেষণা কর্ম। প্রকৃত হিসেবে অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির স্যারের আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পর্কে নিন্দুকরা জেনেও মুখে কুলুপ এঁটে থাকে । এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশি গবেষণা প্রকাশনার সংখ্যা ৩২০। ৩ জন এম ফিল ও ২৫ জন পিএচডি থিসিস শিক্ষার্থীসহ ২৫০ জনের অধিক এমএসসি থিসিস শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধায়ক তিনি। বর্তমানে দশাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একাডেমিক কারণে সংযুক্ত তিনি । বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রসায়নবিদ অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির স্যার যেমন তেমন কেউ না । আমার দৃঢ় বিশ্বাস শুধু বাংলাদেশে না , সমগ্রবিশ্বে কোন উপাচার্য প্রশাসনিক দায়িত্ত্ব নিষ্ঠার সাথে পালনের পাশাপাশি এমন উজ্জ্বল ও অদ্বিতীয় একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ত্ব এখন পর্যন্ত রাখতে পারেননি । তারপরেও সংবাদে তাঁর বিষয়ের লিখতে এতোটা কার্পণ্য কিভাবে করে মিডিয়া? কিংবা জাবি বিষয়ক আলোচনায় কজন করে এমন আলোচনা যেখানে অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরকে দলমত নিরপেক্ষ হয়ে তাঁর অবদানের জন্য ধন্যবাদ দেয়া হয়?
অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির একাডেমিক দক্ষতা, মেধা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের কারণে দেশী -বিদেশী বিভিন্ন সম্মাননা ও পুরষ্কার পেয়েছেন । সফল উপাচার্য কিংবা সফল শিক্ষক যেখানেই যাবেন সেখানে অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের শ্রেষ্ঠত্ত্ব আপনার চোখে পড়বেই । তবে অবশ্যই চোখ দুটি “চোখ থাকিতে অন্ধ” হলে চলবেনা । একটি সুন্দর মন নিয়ে জেনে দেখুন কে এই অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির। তিনি ১৯৯০ ও ২০১১ সালে রসায়নে গবেষণায় “বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন পুরষ্কারে” ভূষিত হয়েছেন । তাঁর আরো কিছু সম্মাননা নিচে দিলামঃ
(১) Bangladesh Academy of Sciences Gold Medal Award in the Senior Group (1996) for Specific Contribution on Science and Technology
(২) University Grants Commission Award (1990) for research in Chemistry
(৩) Bangladesh Academy of Sciences - Dr. M. O. Ghani Gold Medal Award (2007) for Specific Contribution on Science and Technology
(৪) University Grants Commission Award (2011) for research in Chemistry
খুঁজলে পাবেন এমন যোগ্যতাসম্পন্ন একজন উপাচার্য বাংলাদেশে? তাঁর নামে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ার দুঃখেই কি তাঁ অবদানটুকু কৌশলে আড়াল করে গেলো প্রতিবেদক? রিপোর্টিংয়ের ইতিহাসে এই কলঙ্ক চিরকাল প্রথম আলো ও শরীফ স্যার বিদ্বেষী প্রতিটি মিডিয়া এবং ব্যক্তিকে চিহ্নিত করবে । এখনও বলছি শরীফ স্যারের মত বিপুল জনপ্রিয় উপাচার্য একজনও ছিলনা । এটি বর্ষীয়ান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেই নিশ্চিত হয়েছি । আর শিক্ষার্থীদের সাথে যদি কথা বলেন তবে তারা বলবে, “ শরীফ স্যার আবার ভিসি হোক । তাহলে ছাত্রছাত্রীদের সবচেয়ে ভাল হবে ”।
অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির স্যারের একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ত্ব
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ নতুন ১০ টি বিভাগ ও ২ টি ইনস্টিটিউট চালু করেন অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির । তাঁস উপাচার্য থাকার সময়টিকে জাহাঙ্গীনগেরের ইতিহাসের সোনালী যুগ বলা হয় । অথচ সেসব কথা আসেনা নিন্দুকদের পত্রিকায় , মুখে কিংবা আলোচনায় । তা আসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাপ্তির আলোচনায় । আমাদের হৃদয়ে গাঁথা নাম অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির ।
সংবাদটিতে জাবির সবচেয়ে সফল উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের জাবি গঠনে অসামান্য অবদানের কোন কথা নেই । অথচ বাংলাদেশে এ যাবৎকালের ইতিহাসে একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ত্বসম্পন্ন এমন উপাচার্য আর একজনও নেই । অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের স্বণামধন্য অধ্যাপক ।
দেশে বিদেশে তাঁর নিজের রয়েছে তিন শতাধিক মৌলিক গবেষণা কর্ম। প্রকৃত হিসেবে অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির স্যারের আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পর্কে নিন্দুকরা জেনেও মুখে কুলুপ এঁটে থাকে । এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশি গবেষণা প্রকাশনার সংখ্যা ৩২০। ৩ জন এম ফিল ও ২৫ জন পিএচডি থিসিস শিক্ষার্থীসহ ২৫০ জনের অধিক এমএসসি থিসিস শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধায়ক তিনি। বর্তমানে দশাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একাডেমিক কারণে সংযুক্ত তিনি । বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রসায়নবিদ অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির স্যার যেমন তেমন কেউ না । আমার দৃঢ় বিশ্বাস শুধু বাংলাদেশে না , সমগ্রবিশ্বে কোন উপাচার্য প্রশাসনিক দায়িত্ত্ব নিষ্ঠার সাথে পালনের পাশাপাশি এমন উজ্জ্বল ও অদ্বিতীয় একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ত্ব এখন পর্যন্ত রাখতে পারেননি । তারপরেও সংবাদে তাঁর বিষয়ের লিখতে এতোটা কার্পণ্য কিভাবে করে মিডিয়া? কিংবা জাবি বিষয়ক আলোচনায় কজন করে এমন আলোচনা যেখানে অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরকে দলমত নিরপেক্ষ হয়ে তাঁর অবদানের জন্য ধন্যবাদ দেয়া হয়?
সম্মাননা
(১) Bangladesh Academy of Sciences Gold Medal Award in the Senior Group (1996) for Specific Contribution on Science and Technology
(২) University Grants Commission Award (1990) for research in Chemistry
(৩) Bangladesh Academy of Sciences - Dr. M. O. Ghani Gold Medal Award (2007) for Specific Contribution on Science and Technology
(৪) University Grants Commission Award (2011) for research in Chemistry
খুঁজলে পাবেন এমন যোগ্যতাসম্পন্ন একজন উপাচার্য বাংলাদেশে? তাঁর নামে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ার দুঃখেই কি তাঁ অবদানটুকু কৌশলে আড়াল করে গেলো প্রতিবেদক? রিপোর্টিংয়ের ইতিহাসে এই কলঙ্ক চিরকাল প্রথম আলো ও শরীফ স্যার বিদ্বেষী প্রতিটি মিডিয়া এবং ব্যক্তিকে চিহ্নিত করবে । এখনও বলছি শরীফ স্যারের মত বিপুল জনপ্রিয় উপাচার্য একজনও ছিলনা । এটি বর্ষীয়ান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেই নিশ্চিত হয়েছি । আর শিক্ষার্থীদের সাথে যদি কথা বলেন তবে তারা বলবে, “ শরীফ স্যার আবার ভিসি হোক । তাহলে ছাত্রছাত্রীদের সবচেয়ে ভাল হবে ”।
অন্যান্য কথা
অন্য যেসকল উপাচার্য এর কথা এসেছে তাঁদের প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে । আমি তাঁদের সকলের প্রতি বিনম্রচিত্তে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করি । তাঁদের সকল ইতিবাচক কাজের উপস্থিতি প্রকাশের জন্য প্রতিবেদককে ধন্যবাদ । কিন্তু সংবাদটি বস্তুনিষ্ঠ নয় । জাবির সবচেয়ে সফল ও শিক্ষার্থীবান্ধব উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির স্যারকে একটি নেতিবাচক লাইনে উপস্থাপন করে জাহাঙ্গীরনগরকে সত্যিকারভাবে ফুটানো যায়না । আমি সাংবাদিকতা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী হয়ে বলছি, সংবাদটি আরো তথ্য সমৃদ্ধ হলে তাতে বরং প্রথম আলোর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেতো । কারণ কারো প্রাপ্ত অবদান স্বীকার করে তাঁকে মূল্যায়ণ করা হলে তাতেই বরং সমাজটা সুন্দর হয়ে ওঠে । অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির স্যারকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন্ত কিংবদন্তি বলা হয়।এটা আমার কথা নয় । জরিপ করে দেখুন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে । অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির স্যার জাবির পরতে পরতে গেঁথে রয়েছেন- বিশ্বাস, আস্থা, দায়িত্ত্ববোধসম্পন্নতা, শিক্ষাবান্ধবতা, অভিভাবকত্ত্ব ও ভালবাসার কারণে । শরীফ স্যার ও তাঁর খ্যাতি-অবদানকে যতই ঢেকে রাখার চেষ্ঠা করা হোক সত্য জাবির প্রতিটি ইট-বৃক্ষ-প্রাণ-মানব তা চিৎকার করে বলবে । কারণ সত্যই বিজয়ী হয় । আর অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির সত্য, সততা, মেধা, দায়িত্ত্ববোধ ও প্রকৃত অভিভাবকত্ত্বসুলভ ব্যক্তিত্ত্বের কারণেই বিজয়ী । সত্যিকার বিজয়ী ।
#উপাচার্য #প্রথমআলো #অধ্যাপকশরীফএনামুলকবির #জীবন্ত #কিংবদন্তি