যারা ইনিয়ে বিনিয়ে জাতীয়তাবাদেয় বিরোধীতা করেন তারা প্রকাশ্যেই
পশ্চিমাপন্থী।জাতীয়তাবাদ ছাড়া স্বাধীনতা ও সাম্য প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। এখন
পশ্চিমা মানসিক ইনটেলেকচুয়াল দাসগুলো আপনাকে আমাকে বোঝাবে যে,জাতীয়তাবাদ
একটি সংকীর্ণ ধারনা। এর কারণ তার স্কলারশিপটা আনতে বিদেশযাত্রার বৈধতা অথবা
বিদেশে সেটেলড হওয়ার অপ্রকাশিত মনোবাসনা। অথচ পশ্চিমা বিভিন্ন জাতি যেমন
মার্কিন বা ব্রিটিশ বা জার্মান বা রাশিয়া কিন্তু তাদের জাতীয় স্বার্থেই
কথিত তৃতীয় বিশ্ব থেকে মেধা ও শ্রম সস্তায় অথবা বিনামূল্যে লুফে নিচ্ছে। তারপর
তাকে নাগরিকত্ত্ব দিয়ে রেখে দিচ্ছে। যদি বিশ্বায়নপন্থীরা একটি এককেন্দ্রিক
বিশ্বব্যবস্থার ইউটোপীয়ান চিন্তা ছড়াতে পারে তবে তাদের উত্পাদিত পণ্যগুলো
বিনাশুল্কে পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাবে।জাতীয়তাবাদ যদি টিকে থাকে তবে এটা
অসম্ভব। এখানেই জাতীয়তাবাদের সঙ্গে পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরোধ।একেকটি
জাতি একেকটি স্বতন্ত্র স্বত্বা। এইসব স্বত্বা নিজেদের ব্যাপারে সচেতন না হলে
তার অধিকার ও স্বাধীনতা লুটে নেবে বলদর্পীরা। সুতরাং জাতীয়তাবাদ টিকে থাকা
প্রয়োজন।জাতীয়তাবাদ অপর জাতিকে ঘৃণা করতে শেখায়না,প্রতিটি জাতির আত্ম
উপলব্ধি ও জাতীয় অধিকার আদায়ের পথ দেখায়। জাতীয়তাবাদের জয় হোক।
২১.১০.২০১৫
২১.১০.২০১৫