সর্বশেষ

কার্ল মার্ক্স হেরে যায় এসময়


জোয়ারের মধ্যেই ভাঁটা এসেছে মার্ক্স, তুমি খোঁজোনি সময়ের অভাবে
যে আমৃত্যু সংগ্রামতত্ত্ব শিখিয়েছে ধরাকে
শখানেক বছর তা দুর্দান্ত প্রতাপে চলেছে কিছু অঞ্চলে,দিয়েছে সাম্য
প্রলেতারিয়েত গেয়েছে জীবনের গান,করেছে মিশ্রিত কান্না-হাসি-রম্য
যদিও তোমার কাঁধে বন্দুক রেখে মানুষ হত্যাও কম হয়নি, সেই বলশেভিকদের বর্বর গণহত্যা কিংবা
চেচেন, আফগান, বসনিয়ার জাতি নিধন, পোলান্ড আর জার্মানীতে খুন বা এই বাংলায় জাসদের রক্তখেলা
সেসব আজ বলবোনা, তোমার তাত্ত্বিক পরাজয়ের টুঁটি চেপে ধরবো
আজ শুধু মার্কস তোমার হেরে যাওয়ার কিছু কথা বলবো।

(ইভটিজিং? চান?)CLICK TO WATCH
আহা! তারপর পুঁজিওয়ালাদের দৌরাত্ম এলো,
বিপ্লবী কমরেড গায়ে দিল স্যুট আর টাই,
বডিস্প্রের আধিপত্য নেতার ঘামের গন্ধকে দূর করলো
সহস্র আলোকবর্ষ দূরত্ত্ব তৈরি হলো শ্রমিক ও কমরেডের
সাম্যবাদ গণতন্ত্রের নষ্ট গর্ভে পতিত হলো
আর তারপর মার্ক্স তোমার শ্রেণীসঙ্ঘাত যাদুঘরে চলে যায়,
টকশোতে চলে যায়, চায়ের দোকানে চলে যায় আর
দ্বান্দ্বিক যত বার্তা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালের গায়ে প্রলেতারিয়েত বেশে ঝোলে-
আর উপহাস করে, আর হাহাকার করে।

যে মার্ক্স বলেছিলে মুক্তির কথা, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা
তার নামসর্বস্ব অনুসারীদের মধ্যেই আফিমের ভয়াবহ নেশা,
এ নেশা ঘোরের, গাঁজার, নারীর ও ক্ষমতার
হিজিমনির হ ও বোঝেনা, আগ্রাসন ও সাম্রাজ্যবাদ সম্পর্কে অজ্ঞ মার্ক্সবাদী
অথবা মার্ক্সের সংগ্রাম, যুদ্ধ ও সংঙ্ঘাতে অবিশ্বাস তীব্র-
গুরু এঙ্গেলকে তারা জানেনা
মার্ক্সের অশরীর উদ্ধত বুঝি করতে তাই আত্মহত্যা
বুর্জোয়ার সাথে ঘুমায় এক খাটে মজদুরের শ্লোগানদাতা
মার্ক্স নেই, মার্ক্সবাদ জরুরি বিভাগে-গণতন্ত্র ও বিশ্বায়নপন্থী সাম্রাজ্যবাদ
ধারালো কাস্তে দিয়ে একের পর এক সমাজতন্ত্রের ব্যবচ্ছেদ করায়
লাল কমরেডহীন কার্ল মার্ক্স উফফ প্রকাশ্যে হেরে যায় এসময়।

[আজ ৫ মে। ১৮১৮ সালের এই দিনে কার্ল মার্ক্স ধরায় আসেন।সমাজতন্ত্রের অন্যতম জনক,দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ ও শ্রেণীসংগ্রাম তত্ত্বের প্রবক্তা জার্মান মনীষি কার্ল মার্ক্সের আগমনে বিশ্বে আলোড়ন তৈরি হয়।সুদক্ষ নেতৃত্ত্ব ও গণবিচ্ছিন্ন কমরেডদের কারণে হারতে বসা মার্ক্সবাদ নিয়ে কষ্টের সীমা নেই।অথচ সমাজতন্ত্রে সম্পদের সুষম বন্টণের যে কথা বলা হয় তা মন্দ ছিলনা। সাম্যবাদের হাল ধরার কেউ নেই যেন।হাতুড়ি বা কাস্তে প্রতীকে এখন আর কেউ গর্বিত হয়না। কেউ কৃষক হতে চায়না।কেউ শ্রমিক হতে চায়না। কেউ কৃষক-শ্রমিকের কথা ভাবেনা।]
May 5, 2015 at 11:06pm 
পাঠ অনুভূতি