সর্বশেষ

৭১ জার্নালে কাসেম বিন আবুবাকার: রবিন আহসান ও ফারজানা রূপাকে যৌক্তিক চপেটাঘাত





৭১ জার্নালে কাসেম বিন আবুবাকার ছিলেন আজ। উপস্থিত ছিলেন শ্যামল দত্ত ও রুহুল আমি গাজী। বাসা থেকে যুক্ত হয়েছিলেন রবিন আহসান। কিছু বিষয় একদম পানির মত পরিস্কার হয়েছে আজ। সে বিষয়ে একটু সামান্য আলোচনা করবো। একাত্তর টিভিতে ২৮ এপ্রিল দিবাগত রাতের একাত্তর জার্নালে কথা বলেন কাসেম বিন আবুবাকার। সেখানের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা যাক। (ভিডিও দেখুন:মসজিদে হিজাব পরে এসে টিউলিপ সিদ্দিক যা বললেন | TULIP SIDDIQ SPEECH IN MOSQUE )

উপস্থাপিকা ফারজানা রূপার অভদ্রতা


একাত্তর জার্নালের উপস্থাপিকা ফারজানা রূপা অভদ্র ও অসভ্যের মত বৃদ্ধ লোকটিকে অপমানজনক প্রশ্ন দিয়ে শুরু করেছে। এমন কি তাঁর নামটি পর্যন্ত সঠিকভাবে বলতে যে পারেনা সে এসেছে তাঁকে প্রশ্ন করতে। দেশের মিডিয়া নাকি ‘চটুল প্রেমের লেখক’ বলে এই প্রশ্ন করেছে ঐ উপস্থাপিকা। কাসেব সাহেব বলেছেন, চটুল বলতে আপনি ক বোঝাতে চেয়েছেন। ফারজানা বলেন, সেটি আপনি বলুন। আচ্ছা, বাংলাদেশের কোন মিডিয়ায় কাসেম বিন আবুবাকারের লেখাকে চটুল বলা হয়েছে? ফারজানা রূপা কোথা থেকে পেয়েছে এই কথা? পেলেও একজন বয়স্ক ও জনপ্রিয় লেখককে চটুল প্রেমের গল্প লেখার যৌক্তিকতা জানতে চাওয়ার মত অসভ্যতা কোথা থেকে শিখেছে ফারজানা রূপা? লেখক কি লেখেছে তার যৌক্তিকতা উনার কাছে বলতে হবে? তুমি তাঁকে পাঠ করে সমালোচনা করতে এসেছো? না পড়ে পান্ডিত্য জাহিরের মত বাজে মানসিকতা আর কতদিন হে বাজেপাল?(ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন:কেন বাংলাদেশে পয়লা বৈশাখ উদযাপন জরুরি? PEOPLE'S REACTION)এই বেয়াদব মহিলা আয় রোজগারের ব্যাপারেও প্রশ্ন করেছে। কাসেম বারবার বলেছে, যারা অনৈতিক জীবন ধারণ করছে তাদের নৈতিকতা শিক্ষা দিতে উপনস্যাসের আশ্রয় নিয়েছি। কোন লাভের জন্য নয়। সে তার চরিত্রগুলো দিয়ে সমাজে নৈতিকতা আনতে চায়। কিন্তু ফারজানারা তা মানতে চাননা। কি নোংরা মানসিকতা! অন্য দিকে একাত্তর টেলিভিশন লোকটার নামের বানানটিও ঠিক মতো লেখেনি। নিম্ববিত্ত লেখক এবং নিজেদের পশ্চিমা স্কেলে পড়েনি বলে তাঁর প্রতি এই অবহেলা! এর জন্যই এদেশে কোন দিন পশ্চিমের পদলেহনকারীদের বুদ্ধিবৃত্তিক বা প্রায়োগিক জায়গা হয়নি।





প্রকাশক রবিন আহসানের অথর্বতা(VIDEO WATCH: তাক লাগানো ফুলকুচি দিয়ে মাছ কোপানো| | কোচ দিয়ে মাছ ধরা) রবিন আহসান নামের লোকটিকে আমি ভাবতাম বুদ্ধি জ্ঞান আছে। কিন্তু এই রকম একটি অথর্ব লোক কিভাবে নামকরা প্রকাশক নামে পরিচিত এটাই আমার মাথায় ঢুকছেনা। কাসেম বিন আবুবাকার নাকি একটি প্রজেক্ট ছিল। কার প্রজেক্ট বদমাশ ? এদেশের সেক্যুলার স্টুপিডগুলো আজীবন পশ্চিমের দাসত্ব করেছে। সেই দাসত্ব শুরু হয়েছে হুমায়ূন আজাত থেকে, চলছে রবিন আহসান পর্যন্ত। স্বীকার তো করতেই হয়েছে রবিন আহসানকে যে , এই লোকের বই লাখ লাখ বিক্রি হয়েছে এবং তা একটি রেকর্ড। তো এই রেকর্ডধারী লোকটার কথা এএফপিতে না আসার আগে আলোচনায় আনেননি কেন হে? আরেকটা ব্যাপার রবিন আহসানের নির্বোধ ও আক্কেলহীনতার প্রমাণ দিয়েছে। ‘বোরখা পরা সেই মেয়েটি’ এই বইটি কাসেম বিন আবুবাকারের , এই কথাগুলো বারবার বলেছেন রবিন। এবং বাংলাদেশে মেীলবাদ বিস্তারে কাসেম বিন আবুবাকারের দায় আছে বলে অভিযোগ রবিন আহসানের।



শ্রাবণ প্রকাশনীর মালিক ও বইনিউজের সম্পাদক এই রবিন আহসানের মুখে চপেটাঘাত করে আবুবাকার বলেন, ঐ বইটি আমার লেখা নয়, ওটি মিতুলের বই। রবিন আহসান জানেই না যে বইটি কার লেখা। অথচ সেই বইয়ের ভিত্তিতে কাসেম বিন আবুবাকারের বিুরদ্ধে অপপ্রচার চালায় রবিনরা। কি যে করুণ অবস্থা এই ওয়েস্টার্ণদ সেক্যুলার স্টুপিডগুলো! বারবার হেফাজত আর প্রধানমন্ত্রীর সাথে কাশেমকে সংযুক্ত করতে চাচ্ছেন তিনি। অথচ একবারের জন্যও বলেন না, তারা সেক্যুলার নামধারী পশ্চিমের দাসেরা কেন কাসেম বিন আবুবাকারের পাঠকদের জন্য কিছুই প্রকাশ করেন নি? কাসেম যে প্রেম করাচ্ছে, চুমু খাওয়াচ্ছে এটাকে আধুনিকতা মনে না করে কেন অন্য কিছু ভাবা হচ্ছে? কাসেম যে মুসলমান সাহিত্যিক এবং তা যে ইসলামের সাথে নাও মিলতে পারে তার চিন্তা নেই কেন রবিন গংদের?
মুসলমানদের কার্যক্রম ও ইসলামকে গুলিয়ে খিচুড়ি বানিয়ে আজিজ মার্কেটের টিশার্টের সাথে শরবত আকারে খেয়ে যে বদ্ধমনা তৈরি হয় তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই লোকটা। খুবই সম্মান করতাম। এখন দেখি একটুও চিন্তার দক্ষতা বা ক্ষমতা নেই। আচ্ছা, পশ্চিম পশ্চিম করা রবিন আহসান, পশ্চিমা মিডিয়া তথা এএফপি বা ডেইলি মেইলে নিউজ পাবলিশের আগে তারে নিয়ে কেন ভাবেন নি আপনি? আপনারা? কেন তারে সুশীল সাহিত্যবলয়ে জায়গা দেননি? কেন এত বই বিক্রি হয় জেনেও তা এতদিন গোপন রেখেছেন? কাসেমের নৈতিকতাকে ভয় পান?


ফারজানা রূপাকে কাসেম বিন আবুবাকারের যৌক্তিক চপেটাঘাত কাসেম বিন আবুবাকারকে ফারজানা রূপা প্রশ্ন করেন, তার গল্পে অসাম্প্রদায়িকতা আছে কি না? খুশিতে যখন বাকবাকুম হবে বেয়াদব ফারজানা রূপা তখনই কাসেম বলেন,আমি যে সাম্রপ্রদায়িক নই আমার শরিফা নামের বইটা পড়লে বুঝতে পারবেন। হিন্দু-মুসলিমরা কিভাবে মিলেমিশে বন্ধুত্ত্বের হিসেবে গ্রামে বাস করে তা ওতে আছে। (ক্লিক করুন ভিডিও দেখতে: বাংলাদেশের সকল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ও সমাধান) তিনি নিজের লেখা একটি বইয়ের নাম উল্লেখ করে বলেন, আমরাও যখন গ্রামে ছিলাম তখন একবারে একটা পেয়ারাকে দুজনে হিন্দু-মুসলমান আমরা কামড়াকামড়ি করে খেয়েছি। বুঝলেন? আমাদের মধ্যে কোন রকমে এসব (ফারজানা ও রবিনদের জীবীকা চলে যে সাম্প্রদায়িকতা বিক্রি করে সেসব) আসেনি। তাছাড়া যারা প্রকৃত মুসলমান, প্রকৃত ধার্মিক, যারা আল্লাহকে ভয় করে তারা কোনদিন কারো ক্ষতি করতে চায়না। এসময় মুখে কষে বুুদ্ধিবৃত্তিক থাপ্পড় খেয়ে ফারজানা রূপা কাসেম সাহেবকে কথা বলা বন্ধ করে দেন। কি অসভ্যতা। একটা বুড়ো লোককে রাত বারোটায় জাগিয়ে নিজেদের এজেন্ডা অনুযায়ী বিব্রতকর প্রশ্ন করবে, অথচ তাকে উত্তর শেষ করতে দেবেনা। এর নামি বঙ্গীয় সেক্যুলার ভণ্ডামী। অথচ একটি বারের জন্যও রবিন আহসান কিংবা অন্যদের কথা বলা থামিয়ে দেয়নি ফারজানা রূপা। তিনি একাত্তর জার্নালের উপস্থাপিকা নামের কলঙ্ক।


কাসেম বিন আবুবাকার রাজনীতি করেনি ও আলেম-ওলামার লাইন ধরেনি কাসেম বিন আবুবাকারকে রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আমি কোন রাজনীতি করিনা। কোন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নই। কারো বিরোধীতাও করিনা। হেফাজতে ইসলামের রাজনীতি সমর্থন করেন কি না এই অভদ্র প্রশ্নর জবাবে কাসেম বলেন, আমি তাদের ফলো বা সাপোর্ট করিনা, তাদের বিরুদ্ধেও কিছু বলি নাই। (সেন্টমার্টিন দ্বীপের মিডিয়ার আড়ালের এক রূপ দেখতে চান? এই লিংকে যান)


সব শেষে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাসেম বিন আবুবাকার বলেন, আমি লেখালেখি দিয়ে নৈতিকতা ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রচার করতে চেয়েছি। স্কুল কলেজ ভার্সিটির ছেলেমেয়েদের চরিত্রবান করতে চেয়েছি। নৈতিকতা ও মূল্যবোধ জাগাতে চেয়েছি তাদের মধ্যে। কিন্তু আলেম-ওলামারা এটাকে পছন্দ করেনা। উনারা এটার বিরুদ্ধে।


(আঁখি আলমগীরের সারা গায়ের বিষের জ্বালা দেখতে এখানে ক্লিক করুন) এই হচ্ছে একজন কাসেম বিন আবুবাকার। একজন সহজ-সরল মানুষ। একজন সত্যিকাল ভাল মানুষ। তাঁর ফুটন্ত গোলাপ বা বিলম্বিত বাসর বা শবনম না পড়ে তাঁকে অপমান ও অপদস্থ করার পাঁয়তারা করলে এভাবেই চপেটাঘাত খাবেন। সুতরাং , সাধু সাবধান। এদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করবেননা। মানুষের ভালবাসা ও পছন্দকে মূল্যায়ণ করতে শিখুন। গরীবের গরীব লেখককে সম্মান করুন। অন্যকে সম্মান না করলে সম্মান পাবেন কোথায়?
পাঠ অনুভূতি