সর্বশেষ

সংবাদমাধ্যমে ধর্ষক সাফাত,ধর্ষক নাঈম লিখুন































সংবাদমাধ্যমে ধর্ষক সাফাত,ধর্ষক নাঈম লিখুন। জাতির কাছে কলঙ্কিত করুন ঐ ধর্ষকদের, সাংবাদিকগণ। বাংলাদেশে বিদ্যমান সমাজব্যবস্থা ধর্ষিতা নারীর অনুকূলে নয়। এখানে নারীরা Muted Group এবং ধর্ষিতা নারী হচ্ছে Most Oppressed Muted Group। Muted Group হচ্ছে সমাজবিজ্ঞানের পরিভাষায় সেই মানবগোষ্ঠী যারা সমাজের মূলধারার ক্ষমতার কাঠামোর অংশ নয়, যারা অধিকার প্রাপ্তির সমতা পায়না। বাংলাদেশে ধর্ষিতা নারীর প্রতি অবজ্ঞা ও ঘৃণা প্রকাশ করতে দেখা যায়। তাই এখানে যৌন নিপীড়ণের শিকার হয়েও অনেক নারী মুখ খোলেনা। সেখানে ধর্ষণের মত একটি ব্যাপারে কোন নারী অভিযোগ দিলে তা অবশ্যই আমলযোগ্য এবং বলা যায় শতভাগ সত্য। কারণ DNA টেস্টের চ্যালেঞ্জ উত্‍রানোর কথা ভেবে এবং সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই নারী ধর্ষণের অভিযোগ দিয়েছে। রাজধানীর বনানীতেও তাই নিশ্চিত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে অর্থ ও ক্ষমতার বলে যেন ধর্ষকদ্বয় ও তাদের সহায়তাকারীরা নিস্তার না পায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে Social Media তে Public Trial এর মাধ্যমে ধর্ষকদের ফাঁসি দিতে হবে।
গণমাধ্যম ও সোস্যাল মিডিয়ায় অবশ্যই এই ধর্ষকদের নামের আগে ধর্ষক সাফাত, ধর্ষক নাঈম, ধর্ষক সাদমান লিখতে হবে। সামাজিকভাবে ওদের Face কে ঘৃণিত করতে হবে। প্রচলিত আইনে বিচার পেতে দেরি হলেও জনতার আদালতে ওদেরকে অপমানিত করতে হবে, ওরা যে অমানুষ তা ঘোষণা করতে হবে। যে বন্ধু মেয়ে দুইটাকে ঐ পিশাচদের কাছে রেখে পালিয়েছে তারাও ধর্ষক। অন্য যে দুটি মেয়ে এই ধর্ষকদের সঙ্গে ছিল ওরাও ধর্ষক। এদের সকলের ফাঁসি চাই।
এই মুহূর্তে ঢাকার ঐ দুটি মেয়ে হচ্ছে সমগ্র মানবতার প্রতিনিধি। ওরা প্রলেতারিয়েত। ওদের পাশে দাঁড়ান। ওরা অনেক বড় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন শক্তিশালী অসম যুদ্ধের ডাক এই প্রথম এসেছে ঐ দুটি মেয়ের কাছ থেকে। ওদের যেসব গণমাধ্যম অসমর্থন করবে ওরা খারাপ। ওদের পাশে যারা থাকবেনা তারা মন্দ। আপনার ভেতরে যদি কোন সুপ্ত ধর্ষক না বাস করে তবে ঐ মেয়ে দুইটির পক্ষে সোচ্চার হন। ওরা মায়ের জাতি। আজ ওরা ন্যায় বিচার না পেলে কাল আপনার মেয়ে, কন্যা , স্ত্রী, ভাগ্নী, বান্ধবী কেউ পাবেনা।
বাংলাদেশের সকল পিচাশ ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো হোক। প্রতিটি ধর্ষক অমানুষ। ধর্ষক অমানুষদের প্রতা ন্যূনতম সহানুভূতি পোষণ করা পাপ...। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রতিরোধে শামিল হন। মূলধারার গণমাধ্যমে এসব ধর্ষকদের পিতাদের প্রভাববলয় আছে। তাদের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে বা প্রকাশ করলে আপন জুয়েলার্সের বিজ্ঞাপন থেকে টাকা আসবেনা। আমি আপনি মুনাফালোভী নই। আমাদের Alternative media এই Facebook, Twitter , Youtube এবং এই প্লাটফরমের শক্তিকে কাজে লাগান। প্রত্যেক দিন আপনার টাইমলাইনে এসব কুলাঙ্গার ধর্ষকদের বিরুদ্ধে লিখুন। And then come to the streets , organize human chain protest and demand justice for all the rape-victims... এই বিপ্লবই ঐ মেয়ে দুইটির অসম লড়াইকে শক্তিশালী করবে এবং ওদের ন্যায় বিচার প্রাপ্তিই এই এলিট সন্ত্রাসীদের জন্য একটি হুঁশিয়ারী হবে যে;
'কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়'।
চলুন, ধর্ষণ মুক্ত সমাজ এবং ধর্ষক মুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিবাদী হয়।
পাঠ অনুভূতি