সর্বশেষ

জার্মানির হামবুর্গের বিপ্লবীরা চায় জি-২০, পুঁজিবাদ ও বিশ্বায়নের পতন


জার্মানির হামবুর্গে যে এতবড় একটি আন্দোলন হচ্ছে সেটি বিশ্ব মিডিয়া ও তাকে অন্ধভাবে অনুসরণ করা আমাদের মিডিয়ার কাভারেজ দেখে হাসি পেয়েছে। হামবুর্গের আদর্শটা এরা রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করেছে। এরা কারা? এরা হচ্ছে পুঁজিবাদী ও ভোগবাদী এবং তাদের পোষ্য গণমাধ্যম। মূলত হামবুর্গের প্রতিরোধ ছিল পুঁজিবাদ ও পুঁজিবাদের বড় সন্তান (আরো সন্তান আছে, যেমন ফেমিনিজম, এনজিও, বৈশ্বিক সংবাদ মাধ্যম ইত্যাদি) বিশ্বায়নের বিরুদ্ধে। (ভিডিও: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশী তরুণরা কি ভাবছে?) কিন্তু মিডিয়া আমাদের দেখিয়েছে ‘ হামবুর্গে জি-২০ সম্মেলন বিরোধী বিক্ষোভ’’, এমন কি প্রথম আলোর যে সরাফ আহমেদ নিউজ করছে সে তো ‘দাঙ্গা-হাঙ্গামা’ লিখেছে এ বিপ্লবকে। শুধু কি তাই এ প্রতিরোধ যে ‘পুঁজিবাদ ও বিশ্বায়নের বিরুদ্ধে’ তা পুঁজিবাদী প্রথম আলো বা তার প্রতিবেদক লেখেনি। (অবিশ্বাস্য ভিডিও: সেই ফরহাদ মজহার গান গাচ্ছেন...) কারণ হয় অনুবাদ করছে পুঁজিবাদী বিবিসি বা রয়টার্স বা এএফপি থেকে অথবা আন্দোলনের নৈতিক কারণ বুঝার সক্ষমতা নেই অথবা ইচ্ছে করেই বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছে। একই কাজ এদেশের প্রায় সব মিডিয়ায় দেখলাম! লজ্জার ব্যাপার।
(ভিডিও: দেশের প্রথম নারী উপাচার্য ভয়াবহ ছাত্র বিক্ষোভের মধ্যে নাজেহাল)
হামবুর্গের বিপ্লবী ওরা আন্দোলন করছে আমাদের মত দেশে পৃথিবীর সম্পদের সুষম বণ্টনের জন্য, আমাদের সম্পদ লুটতরাজ ঠেকানোর জন্য, আমাদের মত দেশগুলোকে যুদ্ধক্ষেত্র বানিয়ে মানুষ হত্যার উৎসব বন্ধ করার জন্য আর আমরা সে ঘটনা জানিইনা। (ভিডিও: একটি ছেলে ইভটিজিং করে মেয়েদের। একদিন তার বোনকে ইভটিজিং করে কেউ। তারপর?)) আমাদের মিডিয়া নাকে সরিষার তৈল দিয়ে সে ঘটনা বাজেভাবে কাভারেজ দিলো। যেভাবে দিলো তাতে আমাদের নায়ক ও বিপ্লবী জার্মান কমরেডদের ভিলেন হিসেবেই যেন ফুটিয়ে তুলেছে রক্তচোষা, মুনাফাখোর বুর্জোয়া ব্যবসায়ীদের কুকুর হিসেবে পরিচিত সংবাদমাধ্যম। সংবাদ প্রবাহের এই করুণ দৃশ্য দেখে লজ্জা লাগে!
(ভিডিও: এক নজরে ফরহাদ মজহারকে নিয়ে যত বিতর্ক)
২।
হামবুর্গের বিপ্লবীদের মধ্যে আবালবৃদ্ধবণিতা সকলেই ছিল। চলেছিল প্রতিবাদী র‌্যাপ, জম্বি মিছিল, মৌন মিছিল, শ্লোগান, করতালি এবং পুঁজিবাদের পতনের হুংকার ধ্বনি। (ভিডিও: কাব্যনাট্য বাংলাদেশ, বাঙালি , বাংলা) বাংলাদেশের যেসব ভন্ড বামপন্থী পরিচয় দিয়ে আমেরিকা গিয়ে বাস করতে চায় এরা সেই বিপ্লবী না। এরা পুঁজিবাদী আমেরিকার মিডিয়া হেভি ডটকমের ক্যামেরা পারসনকেও পিটানি দিয়েছে। এরা ভোগবাদে বিশ্বাসী না। যে মূল কারণ ছিল হামবুর্গের আন্দোলনের তা হচ্ছে:
 (ভিডিও: টেঁটা দিয়ে মাছ কোপানো! অসাধারণ)
  • পুঁজিবাদের পতন ঘটানো। ওদের মত পুঁজিবাদ এই বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।
  • বিশ্বায়ন নামের পুঁজিবাদ সহায়ক জিনিসকে প্রতিরোধ করা। তবে ওরা শরণার্থীদের পক্ষে। রেসিস্টদের সাথে ওদের পার্থক্য ওরা বিশ্বায়ন চায়না কারণ এর মাধ্যমে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলো অন্যান্য রাষ্ট্র থেকে সম্পদ লুটে নিচ্ছে।
 ভিডিও: আঁখি আলমগীরকে খুঁজছেন? এখানে বিষাক্ত আঁখি!
  •  হামবুর্গের প্রতিবাদীরা পুঁজিবাদী ইহুদীবাদী বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ এই দুইটি কথিত আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাকে শোষণের হাতিয়ার মনে করে। সে কারণে তাদের উপস্থিতি হামবুর্গে হতে পারেনা।
  • ওরা জি-২০ ভুক্ত দেশের নেতা যেমন পুতিন বা ট্রাম্পকে সেদেশের মানুষের প্রতিনিধি ভাবেনা। এ কারণেই এদের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ। ট্রাম্পের জলবায়ু নিয়ে ধাপ্পাবাজি ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহারও তাদের বিক্ষুব্ধতার কারণ।
 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই ভ্যানচালক ইমাম কেমন আছে?
  • ওরা পৃথিবীর সকল যুদ্ধের অবসান চায়। ওদের মতে, জি-২০ ভুক্ত দেশগুলো পৃথিবীতে যুদ্ধ জিইয়ে রাখছে তাদের পুঁজিবাদী অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে।
  • ওরা মনে করে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের জি-২০ পার্টনারদের নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বাঁধিয়ে নিউ ওয়াল্ড অর্ডার তৈরি করতে চাচ্ছে। আফগানিস্তান , ইরাক, সিরিয়ায় আগুন জ্বালানোর জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জি-২০ ভক্ত দেশের নেতারা জড়িত বলে হামবুর্গ বিপ্লবীরা মনে করে। তাই এই প্রতিবাদ। (ভিডিও: বঙ্গবন্ধুর কবর, সমাধি, পৈতৃক নিবাস: টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ)
  • ওরা ওয়ার অন টেরর নামের আমেরিকা ও ইউরোপীয় ষড়যন্ত্রকে গরীবদের উপর চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধ বলে মনে করছে। ওরা পুঁজিবাদ পরিচালিত বিশ্বের ব্যাংক, মিডিয়া, রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীকে পৃথিবীর দরিদ্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলে বিশ্বাস করে।  তাই War on Terror হামবুর্গের রাস্তার বিপ্লবীদের কাছে মূলত War on Poor। গ্রুপ অব টোয়েন্টি বা জি-২০ হচ্ছে পৃথিবীর গরীব-দুঃখির সম্পদ লটুকারী দানব। হামবুর্গ এই দানবদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে।
 ভিডিও: ডোনাল্ড ট্রাম্প, বাংলাদেশী ভার্সন, হাসতে হাসতে মরলাম)
এখন বলেন ৬-৯ জুলাই বাংলাদেশের কোন গণমাধ্যম এই তথ্য দিয়েছে? আমেরিকা, ব্রিটেনের কোন গণমাধ্যম দিয়েছে? দেয়নি। কারণ ওসব মিডিয়া যারা নিয়ন্ত্রণ করে সেই পুঁজিবাদীদের বিরুদ্ধেই হামবুর্গের ২০ হাজার মানুষ গর্জে উঠেছিল। 
কিছু শ্লোগান দেখা যাক যা হামবুর্গের বিপ্লবী জনতা দিয়েছিল। জনতার মতে জি-২০ ভুক্ত পুঁজিবাদী দেশগুলোই এই পৃথিবীর অর্থনৈতিক বৈষম্যের মূল কারণ। সমগ্র পৃথিবীর সম্পদ এই ২০ টি রাষ্ট্র (আসলে ১৯ টি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাষ্ট্র নয়) রাষ্ট্র ভোগ করছে বা লুট করছে এবং পৃথিবীর বিরাট একটি অংশকে তাদের ন্যায্য সম্পদ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করছে। বিশ্বায়ন নামের সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদ এই পৃথিবীকে দোযখ বানিয়ে দিয়েছে বলে আন্দোলনকারীদের বিশ্বাস। তাই আন্দোলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল:
ভিডিও: মুজিববাহিনী ও গণবাহিনীর উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর বিরল ভাষণ

Welcome to Hell..


এছাড়াও জার্মান ভাষায় তারা যেসব শ্লোগান দেয় তা হচ্ছে:

(ভিডিও: বাংলাদেশের সত্যিকার সুপারম্যান, এ কি দেখলাম?
পুঁজিবাদের পতন হোক


পুঁজিবাদের পত হবেই, কিভাবে হবে সেটি সিদ্ধান্ত নাও

(ভিডিও: ছেলেটি অন্ধ, তাই কণ্ঠ নিয়ে আসছে স্বর্গ থেকে)
বিশ্বায়ন নিপাত যাক


মানবতা মুক্তি পাক


সম্পদের সুষম বণ্টণ করো


খুনীদের জন্য হামবুর্গের মাটি সাক্ষাৎ দোযখ ইত্যাদি।


বিশ্ব সংবাদমাধ্যম যেমন সিএনএন, এবিসি, বিবিসি. সিবিএস. এপি, রয়টার্স, এএফপি হামুবর্গের স্পিরিটকে হত্যা করেছে পুঁজিবাদ ও বিশ্বায়নবিরোধী অবস্থানকে বিশ্ব অডিয়েন্সের কাছে গোপন রেখে। আরটির মূল ওয়েব সংস্করণেও তেমন কাভারেজ দেয়নি যেভাবে পোলান্ডে ট্রাম্পের পক্ষের মিছিলকে দিয়েছিল। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা গেছে কাতারের সেই আল জাজিরাকে। আন্দোলনকারীদের বেশ কাভারেজ দিয়েছে। (ভিডিও: জোড়া ধর্ষণের প্রতিবাদে মিছিল) ভারত ও পাকিস্তানের গণমাধ্যম পশ্চিম থেকে প্রাপ্ত তথ্যকে দিয়েই সংবাদ করেছে। ফলে এত বড় একটি আন্দোলন বিশ্বের বহু মানুষ বুঝতেই পারেনি। এর কারণ এজেণ্ডা সেট করে এই আন্দোলনের সংঘর্ষই কেবল প্রচার করেছে বৈশ্বিক সংবাদ এজেন্সিগুলো যার মালিক কিছু পুঁজিবাদী। যে কারণে সংঘর্ষ হয়েছে তা তো বললোনা। কেন বললোনা? কারণ তাতে এই বিশ্ব ভোগবাদী সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে আন্দোলনকারীরা। (ভিডিও: ওয়েইস কুরানী, আমি একটা জিন্দা লাশ) ওয়াল স্ট্রিটের আমরাই ৯৯ শতাংশ আন্দোলনের পর এমক চমকপ্রদ, কার্যকর, বিস্ময়কর পুঁজিবাদবিরোধী আন্দোলন কয়টা হয়েছে? একটাও হয়নি। হামবুর্গ তাই হৃদয়ে গেঁথে রবে আমাদের এই বৈষম্যে ভরা পৃথিবীর ২০ পুঁজিবাদী রাষ্ট্রনায়ককে চ্যালেঞ্জ করার জন্য। ভালবাসি হামবুর্গ, ভালবাসি পুঁজিবাদবিরোধী বিপ্লবীদের, ভালবাসি বিশ্বায়ন নামের সাম্রাজ্যবাদীদের পতনের বীণ বাজানো বাঁশিওয়ালাদের। পুঁজিবাদ বিরোধী এ বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক। (ভিডিও: এই ভিডিওটা দেখলে জাকির নায়েক ও আপনি একসাথে আত্মহত্যা করবেন!



কথিত শিল্প বিপ্লব নামের পুঁজিবাদের উত্থান হয় ইউরোপে। জার্মান নির্মাণ, কারখানা , ছাপাযন্ত্র, গাড়ি, কল এই পুঁজিবাদকে পেলেপুষে বড় করে। পরে সারা পৃথিবীতে বুর্জোয়া ভোগবাদীদের উত্থান ঘটে। সেই জার্মানিতেই পুঁজিবাদবিরোধী আন্দোলনের শুরু। (ভিডিও: পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, শুনতে পাচ্ছেন? ফেরদেীসি মজুমদার) ফোর্থ রাইখ কি তবে হামবুর্গের হাতেই হলো? ইতিহাস সাক্ষী, জার্মানীর কোন একটা অংশ যদি জেগে ওঠে তা সমগ্র ইউরোপকে কাঁপিয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে তুরস্ক হয়ে তা সারা প্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় পুঁজিবাদী পৃথিবীর কথিত নিয়ন্তাদের যেভাবে হামবুর্গের জনতা চপেটাঘাত করলো তা কি বিশ্বে পুঁজিবাদের পতনের সূত্রপাত হিসেবে কাজ করবে? বিশ্বায়নপন্থী পশ্চিমা মানসিক দাসরা অবশ্য এ ব্যাপারে জানেইনা। তারা হয়তো সিএনএন বা বিবিসি দেখানো পৃথিবী ছাড়া আর কোন পৃথিবী চেনেনা...করুণা হয় এদের জন্য! (ভিডিও: যারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে টাকা দিয়ে চাকরী চান এই ভিডিওটি তারা দেখবেন একবার))
পাঠ অনুভূতি