সর্বশেষ

বঙ্গবন্ধু হত্যা ক্ষমতালোভী সেনাবাহিনী ও বামপন্থীদের যৌথ প্রকল্প


বাংলাদেশের মত সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরাশক্তি হতে সময় লাগার কারণ এ রাষ্ট্রের জন্মের মাত্র ১০ বছরের মধ্যে দেশের সবচেয়ে ত্যাগী, মেধাবী ও পরিশ্রমী নেতা-কর্মী-নীতিনির্ধারকদের হত্যা করা হয়েছে। এই আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ দেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও নির্মমভাবে স্বপরিবারে খুন করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের এদেশীয় দোসররা।এই হত্যার রাজনীতি আর থেমে থাকেনি। তা চলেছে এবং একের পর এক এ রাষ্ট্রের একেকটি স্তম্ভকে ভেঙে দিয়েছে। এসব কিছুই হতোনা যদিনা ১৯৭৫ সালের সেই কালরাত্রিটা না আসতো। বঙ্গবন্ধুর মত জাতীয়তাবোধসম্পন্ন রাষ্ট্রনায়ক ক্ষমতায় থাকলে এদেশের উপর কাছের বা দূরের কোন শক্তি খবরদারি করার সাহস পেতোনা। সে কারণে তাঁর মৃত্যুর পর সকল পক্ষই চুপ করে ছিল। সে কারণে সেনাবাহিনীর সেই খুনী কুলাঙ্গাররা পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রদূত থেকে জাতিসংঘে পর্যন্ত চাকরি করেছে।
শোকের মাস। এ মাস শিক্ষা দেয়, উর্দি পরা লোকগুলো সাঁজোয়া নিয়ে যখন নিজ জাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তখন জাতি কয়েক শ বছর পিছিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার দায় ক্ষমতালোভী সেনাবাহিনী ও বামপন্থীদের যৌথ প্রকল্প ছিল যে ব্যক্তি সহস্র বছরের পর বাঙালির জাতি রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটালো তৎকালীন সেনাবাহিনীর ঐ পিশাচগুলো কিভাবে পারলো সেই ব্যক্তিকে খুন করে ফেলতে? ওরা কি মানুষের বাচ্চা ছিল?

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার শত্রু ছিল তৎকালীন বামপন্থী ও সেনাবাহিনী। গণবিরোধী এই দুই পক্ষ এক হয়ে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে (এক পক্ষ নৈরাজ্য তৈরি করে হত্যার মঞ্চ তৈরি করে, আরেকপক্ষ বর্বরভাবে হত্যা করে) পৈচাশিক উল্লাস করেছিল এব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশী বাঙালির ভাগ্যের উপর দীর্ঘদিনের জন্য কালিমা এঁকে দিয়েছিল যে কারণে প্রাকৃতিক সম্পদ ও জনসম্পদ থাকার পরেও আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারিনি। অমানবিক সেনা শাসন ও জনপ্রতিনিধি তথা রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করার এই পশুসুলভ আচরণের ব্যাপারে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র ১৯৫ পাতায় বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘পাকিস্তানে যে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছে, তাতেই আমাদের ভয় হলো। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে গুলি করে হত্যা করা যে কত বড় জঘন্য কাজ তা ভাষায় প্রকাশ করা কষ্টকর। আমরা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি তারা এই সমস্ত জঘন্য কাজকে ঘৃণা করি।’

বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন অনুৎপাদনশীল সেনাবাহিনীকে উৎপাদনশীল করতে, গরীব-দুঃখীর জন্য কাজ করাতে, ছাত্রদের গ্রামে পাঠিয়ে কাজ করাতে, কৃষককে দেশের সবচেয়ে সম্মানিত নাগরিকে পরিণত করতে। তাঁর কারণেই ভোগবাদীরা তাঁর বিরোধীতা করে। সিআইএ, মোসাদ, আইএসআই এর ম্যান্ডেট নিয়ে এসে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে মানুষের নেতাকে হত্যা করতে যারা পেরেছিল এই আগস্টের কোন এক ভোররাতে তাদের প্রতি খোদার অভিশাপ পড়বে। তারা এই দুনিয়ায় হয়েছে অপদস্থ, অপমানিত ও তাদের নাম নেয়ার মত কেউ নেই এবং মৃত্যুর পরের দুনিয়ায়ও এই জালিমদের কঠিন শাস্তি হবে স্রষ্টার কাছে এই প্রার্থনা করি। আগস্ট মাসে নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি

পাঠ অনুভূতি