সর্বশেষ

মানবী রূপে এসে তুমি স্বর্গ দেখালে

সেই বিরক্তির শহরেই দেখা হলো আমাদের
মানুষের কোলাহলে;
প্রথমেই মুখ ছুঁয়ে নিশ্চিত হলাম মানবীই সে
তারপর কত কথা,কত হাঁটা,কত ঘোরা রঙিন সব অনুভবে,
ত্রিচক্রে কেটে গেল সেকেন্ডের পর সেকেন্ড
আঙ্গুলে ছুঁয়ে আঙুল,কাঁধে কাঁধ,হৃদয়ে রক্তাক্ত হৃদয়।


অসহ্য বৈরী পরিবেশেও এ শহরকে আজ ভাল লেগেছে,
কর্কশ কাকের স্বর এসেছে কুহু হয়ে,
কাঠবিড়ালী দেখা দিয়েছে মানববিড়ালীরে শিশুসুলভ আহ্লাদ দেখতে,
স্বর্গসুঘ্রাণের মুগ্ধতায় শুদ্ধ হয়েছে সীসাযুক্ত বাতাস,
শ্রাবণের শেষপথে নগরে বসন্তের আকস্মিক আগমন,
প্রাণে প্রাণে ঘর্ষণ,চোখে ঠোঁটে অভিনব আকর্ষণ
আবেগোচ্ছ্বাসে মায়ার সমুদ্রে হাসিমুখে সলীলসমাধী হলো
আমার।আর যত অপ্রাপ্তি জীবনের তা মুহূর্তে পূর্ণতায় ঘুচে গেল
ভালবাসা দিতে নিতে ভাল থাকা শেখালে
মানবী রূপে এসে তুমি পার্থিব স্বর্গ দেখালে ।

এখন যদি স্বেচ্ছায় নির্ঘুম থাকে রাত্রিরা,
যদি বন্ধুত্ত্বের আহবান জানায় তারারা,
যদি ঘিরে রাখে আশপাশ বেলি ফুলের স্নিগ্ধতা,
যদি গোলাপী সুখের দল করে আমায় ঘরছাড়া,
তবে তুমি এক বিন্দু অপরাধবোধ করোনা।
শোন নীল,
তুমি আত্মা,তুমি মরণ,চাওয়া-পাওয়া,তুমি জীবনের সাথে জীবনের মিল।
( ৭ আগস্ট ২০১৫, মিথিলা সূচনা)
পাঠ অনুভূতি