সর্বশেষ

রোজা, সিয়াম, রমজান: গুরুত্বপূর্ণ প্রিয়-অপ্রিয় কথা


সিয়াম, রোজা ও প্রয়োজনীয় অপ্রিয় কথা
......................................................................
আসছে রমজান মাস, সিয়াম পালনের সময়। ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ মাস। মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য মানুষ এই এক মাস সিয়াম সাধনা করবে। সিয়াম ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। মানব সমাজে সিয়ামের গুরুত্ব ও প্রভাব অপরিসীম। সিয়াম এমন একটি ইবাদত যা পৃথিবীর তাবৎ পূর্ববর্তী উম্মতদের উপর অত্যাবশ্যক করা হয়েছিল।

সিয়াম নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে ও অতিরঞ্জন রয়েছে। সিয়াম সম্পর্কে কিছু কথা জানা অতি প্রয়োজন।


সিয়াম আসলে কি?
..........................

সিয়াম একটি আরবী বহুবচন শব্দ । এর একবচন হচ্ছে সওম। এর অর্থ বিরত থাকা। একসঙ্গে ৩০ দিন বিরত থাকতে হয় বলে পবিত্র কোরআনে একে সিয়াম বলা হয়েছে। সিয়াম একটি ফরজ বা অবশ্য করণীয় ইবাদত। কোরআনের সুরা বাক্বারার ১৮৩ নং আয়াতে আল্লাহ সাওম ফরজ করার কথা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন। এ আয়াতে আছে:


“হে বিশ্বাসীরা, তোমাদের উপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে যেরূপ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।”


এই আয়াতে আল্লাহ এটাও জানিয়ে দিয়েছেন এইভাবে অবশ্য পালনীয় সাওম কেবল মুহম্মদ স এর উম্মতদের না অন্যদের জন্যও ফরজ করেছেন। তাকওয়া মানে হচ্ছে আল্লাহভীতি অর্থাৎ সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করার সুযোগ পাই।

ইসলামী পরিভাষা অনুযায়ী সিয়াম হচ্ছে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার(পান+আহার) ও যাবতীয় ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকা। অনেকে রয়েছেন ইন্দ্রিয় তৃপ্তি বলতে তারা কেবল যেীনসুখকেই বুঝে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে শব্দটি ব্যাপক অর্থ বহন করে। সাওম পালন অবস্থায় আপনি ও আমি কিছু খাবোনা, জৈবিক কাজ করবোনা এটা স্বাভাবিক কিন্তু যদি আপনি ইন্দ্রিয় শব্দটির ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটান তবে মিথ্যা না বলা, অপরের ক্ষতি না করা, যেীনচিন্তা না করা, চোগলখুরী ও গীবত পরিহার করা, অট্রহাসি ও তামাসা পরিহার করা এ বিষয়গুলো চলে আসবে। সুতরাং একটু বড় করে বললে, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একটি নির্দিষ্ট সময় খাদ্যগ্রহন ও ইসলামী শরীয়াতে নিষিদ্ধ সব ধরনের কর্ম ও চিন্তা থেকে বিরত থাকাকেই সাওম বলা হয়। একটানা একটি মাস এ প্রক্রিয়াকে সিয়াম সাধনা বলা যায়।

তাহলে রোজা কি ??
...........................

সত্যি বলতে ইসলামী শরীয়াতের পরিভাষায় রোজা বলে কোন কিছুর স্থান নেই। রোজা ফার্সি শব্দ। এর অর্থ উপবাস থাকা, না খেয়ে থাকা। আর সাওম অর্থ বিরত থাকা। আমাদের উপমহাদেশসহ পারস্যপ্রভাববলয়ে থাকা অঞ্চলগুলোয় এ শব্দটি অনপ্রবেশ করেছে কারণ তখন শাসনকার্য পরিচালিত হতো ফার্সি ভাষায়। পবিত্র কোরআনে রোজা বলে কিছু নেই, সেখানে রয়েছে সাওমের কথা।

একটি ছেলে ফোনে নোংরা কথাবার্তা বলে রাতের বেলা মজা করে সাহরি খেয়ে ফজরের সালাত আদায় না করে ঘুমিয়ে বেলা ২ টায় ঘুম থেকে উঠে কানে এয়ারেফোন লাগিয়ে হিন্দিগান শুনে, ইভটিজিং করে, নারীর দিকে খারাপভাবে তাকিয়ে সন্ধ্যাবেলায় দেদারছে ইফতারী খেয়ে কথিত রোজা বা উপবাস থাকতে পারে, কখনোই সাওম নয়। একইভাবে একটি মেয়ে রাত ১২ টা থেকে শুরু করে ৩ টা পর্যন্ত ফোনে কথা বলে, উগ্র পোষাক পরে ফরজ লঙ্ঘন করে, ল্যাপটপ বা ফোনে হিন্দি সিনেমার পোশাকহীন নায়িকা ও নায়ককে দেখে সন্ধ্যায় ভরপেটে রূহ আফজা খেয়ে ইফতারী করে রোজা বা উপবাস থাকতে পারে, সেটা সিয়াম সাধনা নয়। পানাহার থেকে বিরত থেকে ইন্দ্রিয় তৃপ্তি করে বেড়ালে সেটা সাওম হতে পারেনা।

আপনি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে না খেয়ে আছেন ঠিক আছে, তবে ঠিকই ডেটিংয়ে গিয়ে বিএফ ও জিএফ পরস্পরের সঙ্গে কথা বলে ইন্দ্রিয় তৃপ্তি নিচ্ছেন, আপনি হয়তো হাতও ধরবেন কিংবা আরো কিছু......।এরপরেও আপনি কিভাবে ভাবতে পারেন আপনি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করছেন? বরং আপনি সিয়াম সাধনা না করে ব্যভিচার সাধনা করেছেন। আপনি সিয়াম সাধনাকারী বা কারিনী নন, আপনি উপবাসকারী বা কারিনী।


একইভাবে সাহরী খেয়ে সারাদিন যদি মিথ্যা ও অন্যান্য পাপাচার করে বেড়ায় কেউ তবে তার সাওম হবেনা। আপনি সুদ খাচ্ছেন আবার সাওম ও পালন করছেন এটা ইসলামে সম্ভব নয়। আপনি চাঁদাবাজি, ঘুষ, চাকরী বাণিজ্য, জমি দখল, অবিচার, মিথ্যা অপবাদ বা নগ্নতা ও অশ্লীলতা করে বেড়াবেন আর সাহরী খেয়ে সিয়াম সাধনা করবেন এটা হবেনা। আপনার এ রোজা বা সাওমের আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে বোখারী শরীফে এসেছে:


“ যে মিথ্যা কথা ও অন্যায় কাজ থেকে কিরত থাকতে পারলোনা, তাকে পানাহার থেকে বিরত রেখে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।”

সুতরাং আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে সিয়াম সাধনা করার মানসিকতা দেন,না খেয়ে থাকা বা উপবাসের না।

সত্যি সত্যি কে খারাপ আর কে ভালো ?
................................
একটা অতি অপ্রিয় কথা শুনবেন? এই যে রমজান মাস এই মাসে আপনি খারাপ না ভালো এটা বুঝে ফেলা যায় সহজে। এবং আপনি যদি বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন তবে আপনি আপনার আশেপাশের ছদ্মবশেী ভদ্রলোক ও মহিলার আসল মুখোশটি এই সিয়াম সাধনার মাসে উন্মোচন করতে পারেন। সব মাসের মধ্যে কেবলি এই মাসটিতে আল্লাহ সত্যিকার ভালো ও খারাপদের চিহ্নিত করার সুযোগ দিয়েছেন। কিভাবে?

মানুষ স্বভাবতই নিজের অপরাধ স্বীকার করতে চায়না। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর সে মিথ্যা বলে, চুরি করে, লুট করে, অপদখল করে, দুর্নীতি করে, ব্যভিচার করে শয়তানের উপর দোষ চাপিয়েছে বা চাপাতে চায় । অন্তরে সুপ্ত ধারণা রাখে যে, এই আকামের ভার শয়তানের উপর উঠিয়ে দিলে বেঁচে যাবো। কিন্তু রমজান মাসে এই শয়তানীর কোন অবকাশ নেই, নেই সুযোগও। এটি কোরআন নাযিলের মাস। এ মাসে সব শয়তাদের বেঁধে রাখা হয়। অর্থাৎ আপনার মিথ্যাচার, অসততা ও ব্যভিচারের দায় বা ভাগ এখন আর শয়তানের দিকে উঠিয়ে তে পারছেননা। এই মাসে যা যা করবেন তার জন্য আপনি দায়ি। সুতরাং সাধু পুরুষ ও সাধু নারী উভয়ই সাবধান। আকাম কুকাম করে ইচ্ছেমত নোংরামীর মজা লুটবেন আপনি আরো দোষ  চাপাবেন ইবলিশ বা তার বংশধররে উপর সেটা আর সম্ভব না। আপনার সত্যিকার রূপটি এই মাসে ফুটে উঠবে। ও হ্যাঁ, শয়তান যে বাঁধা থাকবে এ মাসে তার সুষ্পষ্ট দলিল নিচে দেখুন।

“যখন রমজান মস আসে তখন জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং দোযখের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়।”

[বোখারী, হাদীস নং ১৮০০ ও মুসলিম হাদীস নং ১০৭৯] 

এই হাদীসে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রমজান মাসে সব পাপের দায়ভার কেবল মানুষের। শয়তান শৃঙ্খলিত থাকার কারণে মানুষকে সে কুপ্ররোরচনা দিতে পারেনা। তাই এ মাসের একটি ভালো কাজের অজস্র মূল্য। অতএব প্রস্তত হন নিজেকে বিচার করার জন্য্। মানদন্ড আল্লাহ তো নির্ধারণ করেই দিয়েছেন।

সিয়ামের সামাজিক ও মানবিক গুরুত্ব
........................................................
সিয়াম সাধনার সামাজিক ও মানবিক গুরুত্ব অসীম। সিয়াম সাধনার ফলে সমাজে এক ধরনের ন্যায়ের ভারসাম্য তৈরি হয়। যারা ধনী তারা না খেয়ে থেকে গরীবের দু:খকে উপলব্ধি করতে পারে। সিয়াম সাধনাকারী সমাজকে নিরাপদ রাখে। যে সমাজে সিয়াম পালনকারীর সংখ্যা বেশি সে সমাজে অপরাধ ও অরাধীর সংখ্যা কম। সিয়াম একটি বৃহৎ জনসমষ্টির মধ্যে গণন্যায়বোধ জাগ্রত করে।এর মাধ্যমে ভ্রতৃত্ববোধ সুদৃঢ় হয়।

প্রকৃত তাকওয়ার ভিত্তিতে সিয়াম সাধনা করা হলে সেটা রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে পারে। এই এক মাসে মানুষ যতটা সংযমী থাকে এ থেকে শিক্ষা নিয়ে সারা বছর যদি সেভাবে চলে তবে সমাজ, দেশ ও পৃবিীতে শান্তির অভাব হতোনা।

একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে সিয়াম মানুষের শারীরিক প্রক্রিয়াকে সুস্থ্য রাখতে সহায়তা করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে অটোফ্যাগি রয়েছে যা মানুষের দেহকে অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর কণিকা থেকে সুস্থ রাখে সেই অটোফ্যাগির সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরণ সিয়াম সাধনা।
এ মাসে একটি পূণ্যের অনেক মূল্য বলে সমাজের বিত্তবানরা এসময় দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ান। তবে সিয়ামের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করে রমজান মাসের এই আচরণ বাকী সময়ে করাটাই প্রকৃতপক্ষে সিয়াম সাধনার শিক্ষা।


সিয়াম আমাদের না খেয়ে থেকে শিখতে বাধ্য করে কিভাবে আফ্রিকার মানুষগুলো না খেয়ে আছে, কেন তাদের পাশে দাঁড়তে হবে, কেন বহুতল ভবনের নিচের তলা বস্তিতে চিৎকার করে শিশু কাদেঁ, কেন তাদের খাদ্য দিতে হবে। সাওম ও যাকাত এভাবে পস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে যায়।

সিয়াম সাধনার অদ্বিতীয় প্রাপ্তি
............................................

পৃথিবীর সব ভাল কাজের প্রতিদান আছে এবং তা কি আল্লাহ মুহম্মদ স এর মাধ্যমে তা জানিয়ে দিয়েছেন। তবে আপনি জেনে বিস্মিত হবেন একমাত্র ইবাদত সাওম যার কি প্রতিদান আল্লাহ তা বলে দেননি। এর মানে হচ্ছে সিয়াম সাধনার গুরুত্ব এতই বেশি এবং মহান আল্লাহ সিয়াম পলনকারীদের এমন প্রতিদান দেবেন যা অন্য কাউকে দেবেননা। এ বিষয়ে মহানবী এর থেকে আবু হোরায়রা রা জানান আল্লাহ বলেন:
“সিয়াম ব্যতীত বনী আদমের প্রত্যেক আমল তাদের জন্য, কারণ তা (সিয়াম) আমার (আল্লাহর) জন্য, আমি এর প্রতিদান দেবো।” 

একটি মাস নিয়ত করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সিয়াম পালন করে কেন আমি আপনি ও আমরা এই অদ্বিতীয় প্রতিদান নেবোনা?আমাদের সকলকে আল্লাহ এই অপ্রকাশিত, অমূল্য ও অদ্বিতীয় পুরষ্কার প্রাপ্তির সযোগ দিক।

এ ছাড়া রমজান মাসে গুনাহ মাফের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।উপযক্ত পদ্ধতিতে যারা আহার ও যেীনতৃপ্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখবে তাদের বিগত জীবনের সকল পাপ ক্ষমা করে দেওয়ার কথা বলা আছে। হাদীসের মাধ্যমে আল্লাহপাক জানিয়েছেন:

“ যে ব্যক্তি বিশ্বাস ও পূণ্যের আশায় রমজান মাসের সিয়াম পালন করবে তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।"

[বোখারী, মুসলিম-আবু হুরায়রা রা থেকে বিবৃত ]

অতএব, আল্লাহ আমারে সকলকে সিয়াম পালন করার সুযোগ ও সামর্থ দিক।

কয়েকটি সতর্কতা
.........................

১। মনে রাখবেন সিয়াম পালন করতে গিয়ে সালাত ছেড়ে দেবেননা। সালাত এবং সিয়াম উভয়কে একসঙ্গে করতে হবে। কোনটিকে আপনি খাটো করে দেখতে পারবেননা ইসলামের দৃষ্টিতে। ইসলাম খুব সরল ও সহজ এবং আপনাকে সালাত ছেড়ে দিয়ে সিয়াম সাধনা বা সিয়াম ছেড়ে সালাত করার অনুমতি দেয়না। অতএব সিয়াম ও সালাত উভয়ই পালন করুন আল্লাহকে খুশী করতে। 

২। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা সাওম থাকবেনা এটাই স্বাভাবিক। তারা তদের মত করে কাজ করবে, খাবে। কখনোই তাদের আঘাত করে কিছুই বলবেননা।


৩। যারা অসুস্থতাজনিত কারণে বা যেকোন কারণে সাওম থাকবেননা তারা সিয়াম পালনকারীর সঙ্গে অহেতুক ঝগড়া,আড্ডা বা তাদের সামনে ধূমপান করবেননা।সবচেয়ে ভাল হয় আড়ালে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করলে।


৪। গালিগালাজ ও অশ্লীল কথাবার্কা থেকে দূরে থাকুন।কেউ এমন করতে আসলে সিয়াম পালনকারীর বলা উচিত “আমি সাওম রাখছি”।


৫। যারা পাতলা ফিনফিনে, টাইট ও কুরুচীপূর্ণ পোশাক পরেন তারা এ মাসে অন্ততপক্ষে সংযমী হোউন, এ মাসে শয়তান নেই-আপনার আসল রূপ দেখা যাবে। 


৬। তারাবীহ সালাত নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি না করে যেটা পড়ে তাকে বাধা দিবেননা। হাদীসে ৮, ১২ ও ২০ রাকাআত এই তিনটির কথাই রয়েছে।


৭। অশ্লীল সিনেমা দেখা, মেয়ে ও ছেলের পরস্পরের দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকানো থেকে বিরত থাকুন।


৮। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে সাওম রাখুন দেখবেন কষ্ট হবেনা। ইফতার করার সময় মোনাজাত ধরে আল্লাহর কাছে নিপীড়িত মুসলমান, পিতামাতা ও নিজের জন্য প্রার্থনা করুন। সারাদিন কষ্টকরে সিয়াম সাধনার পর আল্লাহ সাওম পালনকারীরর দোয়া কবুলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।


৯। সময় পেলেই গল্প করা, টিভি দেখা বা ঘুমানো বাদ দিয়ে বেশি করে কোরআন পড়ুন। এর অনেক ফযিলত। কোরআন আপনার জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে যদি একে বেশি করে পাঠ করেন। যারা আরবী পড়তে পারেননা তারা অন্যদের তেলাওয়াত মনযোগ দিয়ে শুনতে পারেন বাংলায় অর্থসহ।সময় পেলে বিশ্বস্ত কারো মাধ্যমে বাংলা কোরআনের অনুবাদ পড়তে পারেন এবং পড়ার সময় নিশ্চিত বিশ্বাস রাখুন আল্লাহ মূর্খদের মত অজ্ঞ নন, তিনি বাংলা ভাষাসহ সব ভাষা বোঝেন। 

[এবং উপরের সব বিষয়ে আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন, তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী]

আল্লাহ, রাহমানুর রহীম আমাদের সকলকে সুস্থ রেখে প্রকৃত সিয়াম সাধনার পরিপূর্ণ তাওফিক দিন। আমিন।
(২০১৪ সালে লিখিত)
পাঠ অনুভূতি

Post a Comment

0 Comments