Rise of Empires: Ottoman ও ইউরোপীয়দের পরাজিত ইতিহাসের কথা
~~~.
নেটফ্লিক্স এর Rise of Empires: Ottoman দেখলাম৷ ইতিহাসকে কীভাবে নিজেদের চশমায় দেখা যায় সেটি অনুধাবন করার জন্য আপনার কোনো কিছুকে আসমানী কিতাব হিসেবে ধরে নেয়া যাবেনা---সেটি নেটফ্লিক্স ইতিহাস হিসেবে আপনাকে খাওয়াতে চাইলেও।
নামটি দেখে মনে হতে পারে পুরো উসমানী সাম্রাজ্য নিয়ে ডকুড্রামাটি নির্মিত। আসলে এটিতে সুলতান দ্বিতীয় মোহাম্মদ কর্তৃক তৎকালীন রোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল বা ইস্তানবুল বিজয়কে তুলে ধরা হয়েছে। বস্তুত এটিই ছিলো রোমান সাম্রাজ্যের সর্বশেষ ও সবচেয়ে শক্তিশালী দুর্গ---যা এর আগে ২৩ টি অভিযানেও কেউ দখল করতে পারেনি। কিন্তু দ্বিতীয় মোহাম্মদের দৃঢ়চিত্ত মানসিকতায় কনস্টান্টিনোপল জয় করে তুর্কিরা।
সেই পরাজয়ের দাগ আজো ইউরোপীয়ানদের বুকে থকথক করে। ফলে 'হায়া সোফিয়া'-কে ফের মসজিদ করা হলে সেটি ইউরোপীয়দের পূর্বপুরুষদের পরাজয়ের সেই পুরোনো ইতিহাসটিকেই সামনে আনে। আর এ কারণেই মিলিয়ন ডলার খরচ করে ইতিহাস বিকৃতির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। নেটফ্লিক্স সেই পশ্চিমা প্রোপাগাণ্ডার শৈল্পিক বাজারজাতকারী।
সুলতান দ্বিতীয় মোহাম্মদের পিতা মুরাদ তার সন্তানকে সব দিক থেকে যোগ্য করে তুলেছিলেন যা ডকুড্রামায় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় মোহাম্মদ কম করে হলেও ইউরোপের ৫-১০ টি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারতেন। প্রচুর বই পড়েছেন। তিনি ছিলেন সে সময়ে তুর্কির শ্রেষ্ঠ অস্ত্র বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী এবং সমর চালনায় পারদর্শী শাসক। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সচ্চরিত্রবাণ এবং ধর্মনিষ্ঠ ব্যক্তি। এসব কিছুই নাই সেখানে। ইতিহাসের কোনো দলীল নেই অথচ লোকটিকে ভীষণ রূঢ় দেখানো হয় কিন্তু দুনিয়ার কোনো ইতিহাসেই দেখানো যাবেনা যে কনস্টান্টিনোপল জয় করে মোহাম্মদ তাদের অত্যাচার করেছেন। বরং ইউরোপীয় ইতিহাসেই মোহাম্মদের এই বদান্যতাকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করা হয়েছে। নেটফ্লিক্স ইতিহাসবিদদের বর্ণনায় মোহাম্মদের এক চুল দোষ না পেলেও নিজেদের চিত্রায়ণে তা তুলে ধরেছে! বিশ্রি ব্যাপার!
আমার আরো কিছু পর্যবেক্ষণ আছে। অসুস্থতার কারণে পুরো লিখতে পারলাম না। নোক্তা আকারে লিখে রাখলাম। সময় পেলে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
১। তুর্কি সেনাদের সবচেয়ে সাহসী অংশ হিসেবে ধর্মান্তরিত খ্রীস্টানদের কথা বলা হয়েছে অথচ এটা সবাই জানে যে, তুর্কিরা যোদ্ধা হিসেবে প্রসিদ্ধ। এমনকি চেঙ্গিস খাঁ কেও তুর্কিরা তাদেরই জ্ঞাতি বংশীয় ভাই মনে করে। নেটফ্লিক্স তুর্কি মুসলিমদের হাতে সর্বশেষ রোমান বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতনকে মেনে নিতে না পেরে এ মিথ্যাচার করেছে। তুর্কিরা সে সময়ের পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক ছিলো---জ্ঞান ও বিজ্ঞানে।
২। কনস্টান্টিনোপলের দুর্ভেদ্য দেয়াল ভাঙতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গোলন্দাজ বাহিনী নিয়ে আসে মোহাম্মদ। সে নিজেই ডিজাইন করে বড় বড় কামান৷ কারণ, মোহাম্মদ ছিলেন একই সঙ্গে সমর বিশেষজ্ঞ এবং অস্ত্রবিদ্যা ও অস্ত্রনির্মাণে পারদর্শী। এইখানে নেটফ্লিক্স হাঙ্গেরি থেকে কামান বানানো এক খ্রীস্টানকে নিয়ে আসে যে চরিত্র ইতিহাসে নেই। অথচ হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজের সঙ্গে ওসমানী তুর্কিদের বিশাল গোলযোগ। তৎকালীন ইউরোপের ক্রসেডের নেতৃত্ব দিতো হাঙ্গেরি, অন্যদিকে জেরুজালেমের রক্ষক ও খেলাফতের বাহক তুর্কি সাম্রাজ্য! নেটফ্লিক্স কী পরিমাণ বাজে ইন্টেনশন থেকে হাঙ্গেরিকে দিয়ে কামান বানিয়ে মোহাম্মদের বাহিনীতে যুক্ত করলো---তাও হাঙ্গেরিয়ান টাকা বেশি পাওয়ার জন্য নাকি এ প্রযুক্তি দিয়েছে। এর উদ্দেশ্য এটা বোঝোনো যে, হাঙ্গেরির প্রযুক্তি ছাড়া তুর্কি নেতৃত্বাধীন মুসলিমরা ইস্তানবুল জয় করতে পারতোনা যা পুরাই ইতিহাস বিকৃতি!
৩। এরই ধারাবাহিকতায় নেটফ্লিক্স মারা বলকোভিচ নামের এক সার্বিয়ান নারীকে আনে যে ছিলো সুলতান মুরাদের দ্বিতীয় স্ত্রী। দেখানো হয়, ছোটবেলায় দ্বিতীয় মোহাম্মদের মা মারা গেলে মারা তাকে নিজের আদর স্নেহ দিয়ে বড় করে। অথচ ১৪৫৩ সালে কনস্টান্টিনোপল আক্রমণের আগে ১৪৪৯ পর্যন্ত মোহাম্মদের মা বেঁচে আছেন। এমন ঐতিহাসিক অসত্য কেন তুলে ধরলো? এর কারণ, সার্বিয়ান সাম্রাজ্য রোমান সাম্রাজ্যের সঙ্গে ছিলোনা বলে তুর্কিরা রোমানদের পরাজিত করেছে এই ইম্প্রেশন তৈরি করা। অথচ রোমানদের পক্ষে ইতালির ভেনিস, স্কটিশ, হাঙ্গেরি, সার্বিয়া, ফরাসী মোটামুটি সবাইই সৈন্য বা রসদ পাঠিয়েছিলো। পরাজয়কে মানতে না চাওয়ার জন্য পশ্চিমের এই রঙচঙ মেখে মিথ্যাচার যে সার্বিয়ান মারা মোহাম্মদের গুপ্তচর ছিলো এবং সে খেলাফতকে ইউরোপে ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা পালন করেছিলো---যদিও সে খ্রীস্টান।
৪। বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ছিলো সত্যিকার রোমান সাম্রাজ্য। একাদশ কনস্টানটিনের রক্তধারা অগাস্টাস থেকে এসেছে৷ অর্থাৎ রোমের পোপের চেয়ে লেজিটিমেট রোমান বেশি ছিলো একাদশ কনস্টান্টিনোপল। অথচ এখানেও অর্থডক্স ও ক্যাথলিক দ্বন্দ্ব আনে। কিন্তু ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখবেন পোপ নিজেই সৈন্য পাঠিয়ে খাদ্য পাঠিয়ে কনস্টান্টিনোপল রক্ষার চেষ্টা করেছে৷ এই ডকুড্রামায় তার আংশিক দেখানো হয়েছে যেন পুরো ক্যাথলিক জগত আসলে উসমানীয়রা পারতোনা! অথচ উসমানীরা কয়েক বছর পর গ্রিস পর্যন্ত দখল করে নেয়😄। ইউরোপীয় সভ্যতার আদিভূমি গ্রীস ছিলো উসানি তুর্কি খেলাফতের সামান্য একটি প্রদেশ।
৫। দেখবেন নির্লজ্জের মত একাদশ কনস্টান্টিনোপলকে দয়ালু, শান্ত, ধর্মপরায়ণ দেখানো হয়েছে আর দ্বিতীয় মোহাম্মদকে নিষ্ঠুর, কম প্রজ্ঞাবান, একরোখা! অথচ বিদ্যা, বুদ্ধি, নিষ্ঠায় মোহাম্মদ অনন্য ছিলেন। তাঁর সময়ে এমনকি কনস্টান্টিনোপল তথা ইস্তানবুলে ধর্মীয় সম্প্রীতি অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে উত্তম ছিলো।
আর খলিল পাশার সঙ্গে মোহাম্মদ এর দ্বান্দ্বিক ক্যামিও এবং উজির পাশার দ্বিতীয় মোহাম্মদের শিক্ষক হওয়া, ইউরোপীয় ধনকুবের লৌকাসের সঙ্গে পাশার গুপ্ত সম্পর্ক একদম ঐতিহাসিক মিথ্যাচার।
৬। আবারো মিথ্যাচার করা হয় যে, দেয়াল ভাঙতে যে মাটির তলদেশ থেকে সুড়ঙ্গ করা হয় সেখানে 'সার্বিয়ান দাসদের' ব্যবহার করা হয় যা ঐতিহাসিক মিথ্যাচার। প্রথমত ওসমানী খেলাফতের সময় দাসপ্রথা একেবারেই ছিলোনা। সে সময় বরং ইউরোপে এই দাসপ্রথা ব্যাপক। সার্বিয়াকে এই নেটফ্লিক্সের শোতে ফোকাস করার কারণ, বর্বর সার্বিয়ানদের দ্বারা বসনিয়াক মুসলমানদের ধর্ষণ ও গণহত্যাকে জাস্টিফাই করা---যেহেতু সার্বিয়াও তুর্কি সাম্রাজ্যের আওতায় আসে কিছু সময় পর। অথচ তুর্কি সিনেমা ফেতিহ ১৪৫৩ তে দেখবেন মুসলমান সেনারাই গর্ত খুঁড়ছে---এমনকি সার্বিয়াও কখনো এই দাবি করেনি যে তাদের দাস করে এই কাজ তুর্কি করেছে।
৭। খ্রীস্টানদের শাসকদের অপেক্ষাকৃত দয়ালু দেখানো হয়েছে। অথচ প্রাচীনকাল থেকে এ পর্যন্ত খ্রীস্টানদের বর্বরোচিত কর্মের অজস্র প্রমাণ আছে। এই তো সেদিন আফগানিস্তান, ইরাকে গণহত্যা চালিয়ে এলো ক্রুসেড নামেই--বুশ, ব্লেয়ার প্রভৃতি যুদ্ধাপরাধী। অতীতে কলোনির নামে আফ্রিকায়, এশিয়ায় গণহত্যা চালিয়েছে খ্রীস্টানরাই। আনা নামের যে তুর্কি তবে খ্রীস্টান মেয়েকে দেখানো হয়েছে তার ব্যাপারে ইতিহাসে কিছু আছে? নেই। সুলতান মোহাম্মদের অদ্বিতীয় দয়া ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও আনার দিকে তাকিয়ে এসেছে এই কথিত ডকুড্রামাটিতে---কী নিষ্ঠুর মিথ্যাচার!
৮। মুসলিম খলিফা বা শাসক দলবদ্ধ নামাজের নেতৃত্ব দেন। অথচ দ্বিতীয় মোহাম্মদ একা নামাজ পড়ছেন এটা দেখানো হয়। আপনি ইতিহাস ঘাঁটলে দেখবেন, অল্প সময়ে তুর্কি যে পুরো পৃথিবীতে কর্তৃত্ব করে এর কারণ এদের সে সময়ের নেতারা সাধারণের সঙ্গে মিশে যেতো। যুদ্ধে পালাতো না, নেতাই সবার আগে থাকতো। আর কনস্টান্টিনোপল বিজয়ে সুলতান মোহাম্মদ প্রতিটি লড়াইয়েই সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। আমাদের বাংলাদেশে ১২০৪ সালে তুর্কি ইখতিয়ার আসেন, এই লোকও যুদ্ধে সবার আগেই ছিলো। এ কারণে এদের জন্য সৈন্যরা জীবন দিয়ে এগিয়ে যেতো। এরা এমনকি পরাক্রমশালী পারস্য সাম্রাজ্যকেও করায়ত্ত করেছিলো!
৯। আপনি ডকুড্রামাটি মনোযোগ দিয়ে দেখলে দেখবেন, কনস্টান্টিনোপল রক্ষার দায়িত্বে থাকা ইতালিয়ান ভাড়াটে সেনা ও তার দলের বীরত্বকে দারুনভাবে তুলে আনছে। একের পর এক তুর্কিবংশীয়দের তারা হত্যা করছে। এমনকি উন্মুক্ত মঞ্চে প্রথম মুখোমুখিতে এদের একজনও মরেনি এই গাঁজাখুরি কথাও বলে। আপনি সতর্ক হয়ে না দেখলে আপনার মনে হবে, এ কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের আসল হিরো রোমান বাহিনী! উসমানী তুর্কিদের বীরত্বকেও তেমন দেখায়নি, আবার তাদের দুর্দান্ত সমরদক্ষতা, পরিকল্পনাকেও নিরপেক্ষভাবে দেখায়নি। নৌযানকে স্থলপথ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চমৎকার ভাবনায়ও গালাটার খ্রীস্টান শাসকের কৃতিত্ব দিতে এই মিথ্যা চরিত্রকে নিয়ে আসে! ইউরোপীয়দের পরাজিত ইতিহাসকেও গ্লোরিফাই করার এই প্রোপাগাণ্ডা আজকের না। পারস্যদের হাতে ধোলাই খাওয়া গ্রীকদের পরাজয়কে দ্যা ৩০০ সিনেমার মাধ্যমে এমনভাবে তুলে ধরেছে---যেন উনাদের পরাজিত আব্বুরাই ইরানীদের হারিয়েছিলো!
ইতিহাসের ধারাবাহিকতা মাথায় রাখবেন। কেন ইরান বা তুরস্কের স্থিতিশীলতা, পারমাণবিক সক্ষমতা ইত্যাদি ইউরোপ বা আমেরিকা বা ইসরায়েল মানতে পারেনা তা একটু ক্রিটিক্যালি ভাববেন। ওরা আমাদের মত ভুলোমনের না। ওরা জানে ইরান অতীতে কী করেছিলো, ওরা জানে তুর্কি অতীতে ওদের ইউরোপকে কীভাবে তছনছ করেছিলো। ইসরায়েল জানে ইরানীরা এসে জেরুজালেমে ফের ঘাঁটি গাড়তে চায়। এ জন্য ওরা ইরানকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল রাখতে চায়।
১০। পুরো ডকুড্রামার কস্টিউমটা নিখুঁত হয়নি। আমরা সবাই জানি তুর্কিরা লাল পোশাক পরে যুদ্ধ করতে। অথচ ক্ষুদ্র জেনিসারি ছাড়া আর কোনো লাল পোশাকই ছিলোনা। সুলতানকে ইউরোপীয় রাজার স্টাইলে পোশাক পরানো হয়েছে। লাল বর্ণ তুর্কিদের লালের প্রতি যে ভালো লাগা তা নেই। আবার তুর্কিরা যে সমৃদ্ধ সুর ও যুদ্ধের ডামাডোল তৈরি করেছিলো তাও অনুপস্থিত। সালাউদ্দিন আইয়ুবি যিনি শেষ ক্রুশেডে ইউরোপীয় খ্রীস্টানদের পরাজিত করেন, যে ছিলো দ্বিতীয় মোহাম্মদের অনুপ্রেরণা সেটি নিয়ে আলাপ নাই, একটি লাইনও নেই।
১১। তবে মোহাম্মদ (স) যে কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এবং এটি যে দ্বিতীয় মোহাম্মদের ইস্তানবুল বিজয়ের জ্বালানি ছিলো এটি জোরেসোরে আলাপ না হলেও উল্লেখ করেছেন। দ্বিতীয় মোহাম্মদ প্রায় সব ইউরোপীয় ভাষা জানতেন, ওদের ইতিহাস পড়েছেন। তিনি দেখতেন, কোনো প্রাচ্যশক্তি স্থায়ীভাবে ইউরোপে আঘাত করতে পারেনি, ইউরোপীয়রাই কেবল প্রাচ্য লোপাট করেছে। দ্বিতীয় মোহাম্মদ এ কারণেই রোমান সাম্রাজ্যকে টার্গেট করলেন। তিনি পশ্চিমাদের সর্বকালের যে গৌরব সেই রোমান সাম্রাজ্যকেই ধূলায় মিশিয়ে দিলেন এর ১১০০ বছরের ইতিহাসের সেরা রাজধানী কনস্টান্টিনোপল জয় করে। তিনি আলেকজান্ডার প্রাচ্য জয় করেছেন বলে এর প্রতিজবাবে পশ্চিম জয় করেছিলেন---এটা অনেক ঐতিহাসিক বলতে চান। সুলতান দ্বিতীয় মোহাম্মদের দেখানো পথে হেঁটে পরবর্তী প্রায় ৫০০ বছর ইউরোপের নানা জায়গায় তুর্কিরা চলে যায়। আজ যে, বসনিয়া, কসোভো, দাগেস্তান, আলবেনিয়া ইত্যাদি দেখা যায় এরা মূলত তুর্কি শাসনামলে ইসলামের ছোঁয়া পায়।
ইতিহাস তার আপন গতিতে পথ চলে৷ কিন্তু অনেকেই ইতিহাসের গতিপথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। নেটফ্লিক্স এর এই ডকুড্রামাটিকেও আমার তাই মনে হয়। ফলে আপনারা যখন দেখবেন একে আসমানী বাণী ভাববেন না। পশ্চিমারা তথা ইউরোপ তার পরাজিত ইতিহাসকেও বিজয়ের রঙিন রাঙাতে চায়, সে বলতে চায় Fall of Constantinople কিন্তু আপনি ইউরোপের দৃষ্টিতে ইতিহাসকে পাঠ করবেন কেন? আপনি বলবেন Conquest of Constantinople এবং আপনি পড়বেন প্রাচ্যের মহানায়ক 'বিজয়ী সুলতান দ্বিতীয় মোহাম্মদের' দুর্দান্ত বিজয়ের সোনালী ইতিহাস।
0 Comments