সর্বশেষ

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের চুল কাটা ও চুলের সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক গুরুত্ব নিয়ে চুলালাপন

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ ছাত্রের চুল কেটে দেওয়া ও চুলের রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বিষয়ে চুলালাপন
~~~~
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারজানা ইয়ায়সমীন বাতেন মার্কা এ ধরনের 'শিক্ষক/শিক্ষিকা' দেশের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে পাওয়া যেতে পারে, অন্তত ভালো করে অনুসন্ধান করলে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন পেয়েছি, দেখেছি ও অন্যান্য বিভাগের বন্ধু-বান্ধবদের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় এদের সংখ্যা যে বিশাল এটি নিশ্চিত হয়েছি। মুখস্তবিদ্যাধারী ও বিশ্লেষণীক্ষমতাহীন একাডেমিক যোগ্যতার চরম ঘাটতির পাশাপাশি রূক্ষ, রূঢ় ও কর্কশ মানসিকতার এসব শিক্ষিকা/শিক্ষকরা ভালো করে পড়াতে পারতেন না। তবে তারা একটি কাজ চমৎকারভাবে করতে পারতেন---দুর্ব্যবহার ও তেলাসক্তিপরবর্তী একচোখা পক্ষপাতদুষ্টতা। 

প্রশ্ন করলে এরা ক্ষেপে উঠে, বই-খাতা-নোট-প্রজেক্টর দেখে ছাড়া এরা একটি একাডেমিক আলোচনা করতে পারেনা, এদের 'শিটের' বাইরে লিখলে নম্বর দেয়না, পোষ্যকোটা/স্বজনপ্রীতি করে, সময় মত ক্লাসে আসেনা আবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফ্যাসিস্ট আচরণ করতে সিদ্ধহস্ত থাকে। এদের এসব অশিক্ষকসুলভ আচরণকে চলমান রাখতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্য থেকেই কিছু দালাল/দালালনী 'ব্যাগ বহনকারী' তৈরি করা হয়৷ এরা মেরুদণ্ডসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপারে নেতিবাচক কথা ছড়ায়, স্ক্রিনশট শেয়ার করে ও কানভারী করে নিজেরা দুইটা নাম্বার পায় বা একটা চাকরি হয়তো! নেটফ্লিক্সের 'সেক্স এডুকেশন-সিজিন ৩' এর মুরডাল স্কুলের শিক্ষিকা হোপের 'ভালো ভবিষ্যতের মুলায়' এই তেলবাজির চক্র চলমান রয়েছে।
২)
আমরা যখন পড়তাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন আমার চুল বড় ছিলো। বেশিরভাগ সময় এই চুল কাটতে হতো আমাকে ভাইভা'র আগে। ভাইভা মানে হচ্ছে একেবারে কৃত্রিম একটা মানুষ! আমার এমন কথাও শুনতে হয়েছে যে,'এতো ভালো একটা ছেলে, অথচ চুল বড় রাখো!'। একজন করতেন কী, এক মিনিট দেরিতে এলেও কাউকে ঢুকতে দিতেন না। নিজে আসতেন ১০-৪০ মিনিট পরে৷ একদিন ইচ্ছে করে দেরিতে আসার কারণে আমাকেও দিলোনা। আমি মুখের উপর বলে দিলাম,'আপনি নিজেই ১০ মিনিট দেরিতে এসেছেন'! বলাবাহুল্য, ইনার কোর্সে আমাকে ২০ এ দিতো ৯, ৭ আর আমার তা দেখে যারা লিখতো তারাও পেতো ১৩-১৬। একবার আমি বিভাগের একজন কর্মচারী খায়নি এই কথা বলায় একজন রূক্ষ আচরণ করলেন। আমার অন্যায়, গরীব কর্মীরা খাবেনা এটা নিয়ে আমি বলার কে? খা মহিউদ্দিন নামের এক লোক ক্লাসে টিশার্ট ডিস এলাউ করলো। আমি একা প্রতিবাদ করলাম ও টিশার্ট পরেই আসতাম। একবার আমাদের এক সহপাঠী অসুস্থ, পরীক্ষা পরিবর্তন করবেনা একজন। আমরা সোজা কেউ পরীক্ষা দিলাম না (যদিও ফাঁকিবাজির পরীক্ষা পেছানোতে আমি থাকতাম না)।

আমি গেলাম দৈনিক প্রথম আলোতে আমার সিভি দিতে। প্রথম আলোর জনৈক উচ্চপদস্থ ব্যক্তি বললেন, এতো বড় ঝাঁকড়া চুল! সাংবাদিকতা করলে আরো পরিপাটি হতে হবে। বিরক্ত হয়ে চলে আসলাম! অথচ এই প্রথম আলো পত্রিকা তাদের কী একটা অসত্য ভাবমূর্তি দাঁড় করায় যে তারা প্রথাবিরোধী! মতিউর বা অনেকে নাকি ছাত্র ইউনিয়ন সংশ্লিষ্ট! কাজের কাজে তারা আর বিপ্লবী থাকেন না। তখন তাদের গোছানো পুতুল প্রয়োজন, যাদের ভেড়ার মত আইডিয়া/এজেন্ডা ইঞ্জেক্ট করা যায় বিনাপ্রশ্নে। 

৩)
যাহোক, চুল বড় ও প্রথাবিরোধী মনোভাব, বিপ্লবী মানসিকতার সঙ্গে একটি সম্পর্ক আছে বলেই অনেকে বলে থাকেন। এ বিষয়টি চে গেভারা থেকে আমাদের ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দুলানো নজরুল বা এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপেক্ষাকৃত অগ্রসর ও বিকল্পচিন্তাধারার ছেলেদের দেখা যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। যে মেয়ে চুল ছেটে রাখে তার মধ্যে প্রথা ভাঙার প্রবণতা থাকতে পারে (সিরাজ শিকদারের বোন শামিম শিকদারকে নিয়ে ছফার 'অর্ধেক মানবী, অর্ধেক ঈশ্বরী'র বর্ণনা দ্রষ্টব্য) ৷ এগুলো যদিও অতি ছাঁচে ফেলার চেষ্টা; কারণ, অনেকেই আছে ছেলে চুল বড় রাখে নিছক 'স্টাইলের জন্য' (বা কোনো সুপার স্টারকে অনুকরণ করে), আবার কোনো কোনো মেয়ে চুল ছোট করে নিজেকে আলাদা করার জন্য--বা স্টাইলিশ পৃথক সত্তার উপস্থাপনের জন্য। সমাজ বদলের ইচ্ছা তাদের একেবারেই থাকেনা। বরং পুঁজিবাদী সমাজের যৌনসর্বস্ব ভোগবাদে তারা গা ভাসিয়ে দিতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। খুবই ব্যতিক্রমী একটি অংশ আছে যারা 'অর্থের অভাবে চুল না কাটতে পারার জন্য চুল দাঁড়ি বড় রাখেন'। বাম্পন্থীদের, শিল্প ইত্যাদির সঙ্গে জড়িতদের মধ্যেও চুল রাখতে দেখা যায়। একটি সামান্য অংশ আছে ধর্মীয় কারণে বাবরী রাখেন।

৪)
ফলে চুল, একেবারেই নিখুঁত চুল থাকেনা। চুলের রাজনৈতিক অর্থনীতি বা সাংস্কৃতিক পরিধি বেশ জটিল ও বিস্তৃত। বড় চুল যে কেবল প্রথাভাঙার চিহ্ন তা নয়, বাংলাদেশের ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে চুলের উর্দু/হিন্দু শব্দটিকে 'হালকা/লাইট গালি/বিরক্তি/ক্রোধ/ক্ষোভ' ইত্যাদি প্রকাশ করতে ব্যবহার করে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আমার বান্ধবী বা পরিচিত নারীদের মুখেও এ গালি শুনে বেশ সংকোচ বোধ করতাম। এখন স্বাভাবিক হয়েছে এবং প্রায় সবাই এটি কম বেশি দেয়। একটি লিঙ্গনিরপেক্ষ গালি এটি। এই গালি কেবল মৌখিকভাবে ছড়িয়েছে তা নয়, এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখিত বা ভিডিওতেও হাজির হয়। হাল আমলে গজিয়ে উঠা সেলিব্রেটিদের আত্মিকেন্দ্রীক নাটক/ভিডিও/লাইভেও চুল গালি হিসেবে হাজির হয়।

৫)
চুলের সঙ্গে ঔপনিবেশিক দাসত্বের একটি সম্পর্ক আছে। যে ভদ্রমহিলা চুল কাটার অভিযোগে অভিযুক্ত (তার ভাষ্যমতে তিনি পরীক্ষা পেছাননি বলে ছেলেমেয়েরা ষড়যন্ত্র করেছে, যা সত্য হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু তা আমরা নির্ধারণ করতে পারিনি। কিন্তু প্রথম আলো তার প্রথম পাতায় সংবাদটির জায়গা দিয়ে শিক্ষিত শ্রেণির মগজকে চুলালাপে একটিভেইট করতে সমর্থ হয়েছে।) তার একটি ছবি ডেইলি স্টার ছেপেছে। সেই ছবি আমি গভীর মনোযোগের সঙ্গে দেখলাম! মূলত এই শিক্ষিকার চুলের দিকে আমি চেয়ে থাকলাম। দেখি তিনি চুল 'রঙ' করেছেন। তার চুলে বাঙালির হাজার বছরের নারীর কালো রঙ নাই।

নিওলিবারেল পৃথিবীতে আপনি অপরের ক্ষতি না করে যা ইচ্ছে করতে পারেন কিন্তু একজন শিক্ষক হয়েও যে/যিনি বা যারা চুল রঙ করেন তাদের আমার বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে ক্ষুরধার মনে হয়না। চুল মানে হচ্ছে আপনার নিজের পাওয়া অদ্বিতীয় চুল, নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক অনন্য বৈশিষ্ট্য আপনার চুল৷ আপনার জাতির যা আছে সবার প্রায় সেটি আপনার সাংস্কৃতিক ও নৃতাত্ত্বিক সম্পদ। কিন্তু আপনি চুলে রঙ করে শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থী বা শ্রেষ্ঠত্ববাদী পশ্চিমাদের মত করতে চাওয়ার মধ্যে চরম ঔপনিবেশিক দাসত্ব রয়েছে (জনপ্রিয় সংস্কৃতি দায় এড়াতে পারেনা)। পশ্চিম ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তার সাদা বা বাদামী চুলকে কেমিকেল মিশিয়ে প্রাচ্যের মানুষের মত 'কালো চুল' করবে? করে? করেছে? করেনি। 

দেশের থেকে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন যারা তাড়াবে তারা যদি স্বেচ্ছায় 'চুল কালার করে' সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে গা ভাসায় তাহলে আমাদের দেশের মাথা তুলে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যায়৷ একই সঙ্গে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (যদিও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই পশ্চিমে অনুরক্ত ছিলেন বলা যায়) অথবা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় করার বা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে 'সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন' বিভাগ রাখার কোনো মানে হয়না। জনগণের টাকায় বেতন-ভাতা খেয়ে জনবিরোধী পরসংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক দাসত্ব ও বুদ্ধিবৃত্তিক দীনতা ছাড়া আর কিছু আমি দেখিনা। এদেশে এরা শিক্ষক---খোঁজ নেন, বেশিরভাগ এমনই!

৬)
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কবলে পড়ে আমাদের নিজস্ব স্বকীয়তা আমরা হারাচ্ছি। আর ঔপনিবেশিক দাসত্বের কারণে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন একেবারে যেচে বসেছে। ফলে, আমরা মাথা তুলে দাঁড় করাতে পারছিনা। আমার স্কটিশ বন্ধু কোরা র‍্যামেইজের কথা আমি বলেছিলাম (পোস্ট পেলে কমেন্টে দিবো)। তার মেয়েরা কীভাবে স্কুলে মাথার চুলের কারণে 'মাইনরিটি হওয়ার ভয়ে চুলে রঙ করছে' এবং এতে সে শংকিত। আমাদের দেশে এই চুলে রঙ করা সাংস্কৃতিক অনুকরণ ও পুঁজিবাদী দাসত্ব যদি বেড়েই যায়---শিক্ষকদের মত 'আদর্শ ব্যক্তিত্বরা' (এ যুগে অযোগ্যতার দুষ্টুচক্র এর ফলে যারা এসেছে শিক্ষকতায় অনেকেই আদর্শ হওয়ার যোগ্য নয়) যদি তা চর্চা করে তবে কী হবে আমাদের ভবিষ্যতের তা ভেবে দেখেছেন কী? এখন ভাবার সময়।

৭)
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এই '১৪ শিক্ষার্থীর (ছাত্রের) চুল কেটে দেওয়া' সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদী রূপের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। নিজে চুলে রঙ করে, ভ্রু কেটে ইত্যাদি নানা ভাবে পরসংস্কৃতির দাস/দাসী হচ্ছেন অথচ অন্যের বড় চুল দেখলে আপনি ক্ষেপে যাচ্ছেন (যেকোনো কারণে), এটা শঠতা, এ আচরণে কোনো সততা নেই।

ডেইলি স্টারে দেখলাম তদন্তের স্বার্থে উক্ত নারী শিক্ষক দায়িত্বপ্রাপ্ত পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন (শিক্ষকতা থেকে নয় কিন্তু, চাকরি আছে!)। তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন আরো কয়েকজন, এক নারী সম্ভবত এ কমিটির নেতৃত্বে। তদন্ত নিরপেক্ষ হোক এবং কোনো ধরনের বায়াসনেস যেন না আসে সেটিই প্রত্যাশা৷ 

এই পুরো ঘটনাটির ব্যাপারে মোটাদাগে পর্যবেক্ষণ কী?

√সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলমান। বাংলা ভাষায় শিক্ষা দিতে বই নেই পর্যাপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মুখস্ত করে এসে পশ্চিমের বা ভারতের বইয়ের জ্ঞান আমাদের সামনে ঢেলে দিচ্ছে, তারা শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন অনেকেই। এতে ভারতীয় ও পশ্চিমাদের প্রতি আমাদের কোমলমতি ছাত্রদের দাসত্বের মনোবৃত্তি গড়ে উঠছে। অথচ আমাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি মৌলিক জ্ঞান উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত
√পশ্চিমা সাংস্কৃতিক আধিপত্য আমাদের শিক্ষকদের/শিক্ষিতদের গ্রাস করেছে। পশ্চিমে গিয়ে থালাবাসন ধোয়া বা ব্রিটিশ কাঠামোর পেয়াদা, পাইক, কেরানীর পোস্টের সমীহ বেড়ে যাচ্ছে এ জন্যই
√ক্ষমতা পেলে শিক্ষক নামধারীরাও চরমভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। একজন উপসচিব পর্যায়ের আমলার সিগনেচারে উপাচার্য নিয়োগ হলেও আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রত হচ্ছেনা। শিক্ষক নিয়োগে চরম দুর্নীতির কারণে মেধাবীরা আমলাদের অধীনে চলে যাচ্ছে বলে ভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক ও বস্তুবাদী ফ্রন্টে আমলাদের কাছে কোণঠাসা হতে হচ্ছে, কারণ যার শিক্ষক হওয়ার কথা সে তো অভিমানে আমলা হয়েছে বা আমলাদের অধীনে চাকরি করছে আর যার কেরানী হওয়ারও যোগ্যতা নেই সে পদলেহন, লবিং, রাজনীতি বা মেরুদণ্ডহীনতা করে শিক্ষকতার মত সুমহান পেশাকে প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত করে অমর্যাদা করছে!
√তরুণ-তরুণীদের মধ্যে আমরা আশার আলো দেখতে পাই। কিন্তু তাদের বিপ্লবীসত্তা ও প্রশ্ন করার মানসিকতা ধ্বংস করা হচ্ছে
√এদেশের যারা 'কালচারাল হেজিমন' অর্থাৎ 'সাংস্কৃতিক নেতা/নেত্রী' তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা বা তাদের নেটওয়ার্ক এর আওতাধীন এবং এদের বেশিরভাগ এ জাতির ভাষা ও সংস্কৃতি, পোশাক, পণ্য, সঙ্গীতে প্রতি অনুরক্ত নয়। তারা শিক্ষকতার মত একটি মহান পেশাকে 'দাপ্তরিক চাকরি' বানিয়ে আমাদের প্রজন্মের মানসিক গঠনকে ক্ষতিগ্রস্ত, বাঁধাগ্রস্ত ও অপরিপক্ব করছে৷ এর ফলে আমাদের জাতির ভবিষ্যতে টিকে থাকার যে জ্বালানি তা শেষ হয়ে যাচ্ছে। 

এখনই সময় এসব নিয়ে ভাবার। কিন্তু ভাববে কে? ভাবার সময় যদিও পাওয়া যায়না বারবার---এ কথাটি যারা বুঝবে তারাই সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও পশ্চিমের (পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা, পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্য ও উত্তর ভারত) প্রতি নিজেদের মানসিক দাসত্বকে শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চুলকালাম ঘটনা আমাদের এসব বিষয়ে মনোযোগী হতে আহবান জানাচ্ছে। না হলে চুলকালাম তুলকালাম করে তুলতে পারে আমাদের নিদারুন মুমূর্ষু  চুলাকেডিমায়াকে...। 
ছবি/ ডেইলি স্টার
#চুলালাপ #চুলকালাম #রবীন্দ্র #বিশ্ববিদ্যালয়
পাঠ অনুভূতি

Post a Comment

0 Comments