সর্বশেষ

মেজর জিয়া থেকে রাষ্ট্রপতি:আজ ছিল শেষ দিন

একজন মানুষ।
একটি কালো চশমা পরা সেনা কর্মকর্তা ।
একজন সত্‍ রাষ্ট্রপতি -
যিনি নিজ হাতে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন বাংলাদেশ স্বাধীন করার অভিপ্রায়ে।
জিয়াউর রহমান ।।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ঘটনার আকস্মিকতায় বারবার নায়ক(কারো কারো কাছে খলনায়কও বটে)হয়ে উদিত হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।
১৯৮১ সালের ৩০ মে মেজর জেনার মঞ্জুর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি সংক্ষিপ্ত ও ক্ষুদ্র অভ্যুথ্থানে এই জননেতার জীবনাবসান ঘটে।
তিনি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে।
সেই থেকেই তিনি হঠাত্‍ আলোয় আলোকিত !
ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম এর পতনের মধ্য দিয়ে তিনি আবারো ফিরে আসেন পাদপ্রদীপে।
এবার তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।
ক্ষমতা স্থায়ী করার জন্য তার বিরুদ্ধে নির্বিতারে সেনা কর্মকর্তা ও সেনা সদস্য হত্যার দৃঢ় অভিযোগ রয়েছে যদিও।
তবে একথা অনস্বীকার্য মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্তই তিনি বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর করতে চেয়েছিলেন।তিনি ছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা ।তিনি সংবিধানে ইসলামের কিছুটা ছায়া ফেলেছিলেন(বর্তমান নব্য বাকশালীরা যা উঠিয়ে দিয়েছে)।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে সারা দেশ শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল।তাঁর নামাজের জানাযায় অগণিত সাধারণ জনতা এসেছিল এবং তত্‍কালীন সময়ে কোন রাষ্ট্রনায়কের জানাযায় এত বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হয়নি।এটা তার জনপ্রিয়তার একটি উদাহরণ হতে পারে।
অতি অপ্রীয় হলেও এটাই সত্য যে,
জিয়া সামরিক ঘটনার প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রনায়ক হয়েও বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেন।
সেকারণেই তাঁর ৩১তম শাহাদাত্‍বার্ষিকীতে অকৃত্রিম শ্রদ্ধ ও ভালবাসা জানাতে একটুও দ্বিধাবোধ করছিনা।
কেউই ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে নয়।জিয়াও নন !সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে তিনি ভুল করতে পারেন,তবে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন।তিনি খুবই সাধারণ মানের জীবনযাপন করতেন এবং দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিকে প্রশ্রয় দিতেন না।সেনা ক্যু দমনে নৃশংসতা ছাড়া তাঁর জীবনে জনবিদ্বেষী কোন কাজ তিনি করেছেন বলে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়না।তাই সর্বোপরি তাঁকে একজন নিষ্ঠাবান রাষ্ট্রনায়ক বলা যেতে পারে।
জিয়াউর রহমানের সততা ও আত্মমর্যাদাবোধ প্রতিটি রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রপরিচালনাকারীদের রাজনৈতিক আদর্শ হলে দেশে উন্নত হবে এবং বহিঃশত্রুরা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে সাহস পাবেনা।
জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি,সেই সাথে কামনা করছি অশুভ শক্তির কবল থেকে বাংলাদেশের মুক্তির।
পাঠ অনুভূতি

Post a Comment

0 Comments