সর্বশেষ

মহাকালের মহাপুরুষ

অনন্ত নক্ষত্রবীথিতে তুমি
অন্যভূবনে
চলে গেলে দরজার ওপাশে,
একটি দেয়াল গড়ে দিয়ে
তোমার ও আমার মাঝে ।।

তুমি আমায় ডাকো নিকো
ছুটির নিমন্ত্রণে,
ময়ুরাক্ষী নদীতে
দেবী অথবা নলিনী বাবুর
সঙ্গে স্নান করতে ।।।
কৃষ্ণপক্ষের কৃষ্ণগহবরে
হারালে তুমি
কোথাও কেউ নেই
শুভ্র হয়েছে সবুজ বন
আকাশ থেকে পড়েনিকো জরি ।।

হে সম্রাট,তুমি নির্বাসনে
জোছনা কী দেখতে পাও,
দেখতে যেভাবে শঙ্খনীল কারাগারে ?

রেখে গেলে রহস্য
অমিমাংসিত
হিমুরা খালি পায়ে
তাই ঘুরছে,
চারদিকে হলুদ আর হলুদ !!
রূপারা এখন আর তা দেখেনা ।।

কত দেখা,কত কথা
কত অনুভূতি
হঠাত্‍ ই শনি নয়,শনি
আগুনের পরশমণি ।।


নন্দিত তুমি এ ধরাতে,
নরকের পিশাচ তা বোঝেনা ।।
মাতাল হাওয়ায়
মেতে থাকে তবু
মাতাল হাওয়া চেনেনা ।।।।।
তুমি হুমায়ুন,তুমি
কেড়ে নিয়েছো হৃদয়ের সবটুকু ভূমি ।।
আমি সাধারণ অতি,
হতে চাই হিমু ,শুভ্র ও মিসির আলী ।।
চলে গেলে,
শ্রাবণ মেঘের দিনে ।
আমিও চলেছি সেদিনের দিকে
তোমার অবস্থান দেখতে
অনন্ত নক্ষত্রবীথিতে ।।।
[আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার
মহান হুমায়ুন আহমেদ স্মরণে আমি ]
পাঠ অনুভূতি

Post a Comment

0 Comments