হুমায়ুন আহমেদের একটি ছোটগল্পের গ্রন্থ পড়ছি।গ্রন্থের নাম'আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রন'।বেশ কয়েকটা গল্প একেবারে যাচ্ছেতাই,মনে হচ্ছে আমি এর থেকে ভালো লিখতাম।
গ্রন্থের নামকরণ করা হয়েছে আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রন নামের গল্পের নামে।গল্পের কাহিনী চমত্কার,হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মত।মীরা নামের এক টাকাওয়ালার মেয়ে আর শওকত নামের একটা প্রাইভেট টিউশনি করা এতিম ছেলের প্রেমের অসমাপ্ত গল্প।
গল্পে দেখা যায়,মীরার বিয়ে ঠিক।বিয়ের কিছুদিন পূর্বে সে তার বাবার সাথে মাছের বাজারে যায়।তার পছন্দ ছিল চিংড়ি মাছ।কিন্তু চিংড়ি মাছ পাওয়া গেলোনা ঐদিন।তখন মীরার পছন্দের পাবদা,আইড়,ইলিশ ও দেশি কই পাওয়া গেল।গল্পকারের ভাষায়:
চিংড়ি পাওয়া গেলনা,তবে টাটকা পাবদা পাওয়া গেল।কানকো নড়ছে এমন একটা আইড় মাছ পাওয়া গেল।বড় বড় কই পাওয়া গেল।চাষের কই না,দেশি কই।শেষটায় মাঝারি সাইজের একটা ইলিশ মাছও কেনা হল।
এটুকু আরেকবার পড়ুন।
মেয়ে তার সেই দরিদ্র ছেলেটাকে নিমন্ত্রন করেছে।মা এতে ক্ষেপেছেন!কাঁদতে কাঁদতে মীরার বাবার কাছে এলে তিনি বলেন:
তোর মা'কে বল দেখিয়ে দেবে।চিংড়ি রান্না খুব সহজ।প্রতিভা ছাড়া এই মাছ খারাপ রান্না করা যায় না।
এখানেই শেষ নয়।গল্পের শেষটাও চমক দিয়ে শেষ হয়েছে।চমকের নমুনা :
আফতাব সাহেব ছেলের পিঠে হাত রাখতে রাখতে বললেন,আমার মেয়েটা খুব কাঁদছে।এত কান্নার কী আছে বুঝলাম না ।সে আজ জীবনের প্রথম চিংড়ি মাছ রান্না করেছে।খেয়ে দেখ তো কেমন।
কিছু কী এখনো ধরতে পেরেছেন???
0 Comments