ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনালে প্রতারণার অভিযোগ:খেলা বর্জন
মঈনুল ইসলাম রাকীব,প্রাইমখবর
ফরিদপুর:প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার ফরিদপুর অঞ্চলের ফাইনাল খেলায় প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক পর্যায়ের ফাইনাল খেলা দেখতে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক হেলাল উদ্দিন আহমেদ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলম।
উপজেলা পর্যায়ের ধাপ অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ পর্যায়ের ফাইনালে ওঠে গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়া উপজেলার গিমাডাংগা টুংগীপাড়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শরিয়তপুরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে দুপুর বারোটায় শিশু ফুটবলারদের খেলা শুরু হয়।কিন্তু খেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দুইদলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বয়স ও শারিরীক গঠনের তীব্র পার্থক্য দেখা যায় ।খেলাটি হয়ে যায় শিশু-বুড়োর খেলা।
খেলায় শরীয়তপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এমন একাধিক খেলোয়াড় খেলতে নামায় যারা অনেক পূর্বেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ধাপ অতিক্রম করেছে।খেলার শুরু থেকেই টুংগীপাড়ার সকল শিক্ষকেরা শরীয়াতপুরের বয়োজেষ্ঠ খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে আপত্তি জানায়।এ আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা)মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।একাধিকবার তার কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করা হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেন গোপালগঞ্জের শিক্ষকেরা।
শরীয়তপুরের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র বলে বারবার অভিযোগ করেন টুংগীপাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা।তারা আলিম নামের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রকে হাতেনাতে ধরে ফেললেও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তখন কোন ব্যবস্থাই নেননি অবৈধ এ দলটির বিরুদ্ধে।
একপর্যায়ে টুংগীপাড়া থেকে আগত দলটি খেলতে অপারগতা জানায়।এ অবস্থায় খেলার ফলাফল ছিল শরীয়তপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২ এবং টুংগীপাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১ গোল।খেলার এই পর্যায়ে মাঠে চরম অরাজক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।এই অবস্থায় প্রতিবাদ করে মাঠ ত্যাগ করে এবং খেলা বয়কট করে টুংগীপাড়ার দলটি।জেলা প্রশাসক বিজয়ী ঘোষণা করেন শরীয়তপুরের দলটিকে।
তীব্র আপত্তি জানায় টুংগীপাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এবং তারা খেলোয়াড় প্রতারণার অভিযোগ একটি অভিযোগপত্র দিয়ে মাঠ ত্যাগ করে।
নিজেদের ট্রফি না নিয়েই যখন চলে আসে টুংগীপাড়া থেকে আগত দলটি তখন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক এ ঘটনার তদন্ত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।ক্ষুব্ধ টুংগীপাড়ার শিক্ষক ও শুভাকাঙ্খীরা শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ফরিদপুর জেলার অতিরিক্ত প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলমের দিকে সুস্পষ্ট প্রতারণার অভিযোগ এনে তাদের বিচার দাবী করেন।প্রতিযোগিতার ফরিদপুর অঞ্চলের নির্বাহী প্রধান ও ফরিদপুর জেলা প্রশাসক হেলাল উদ্দিন এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করবেন বলে আশ্বস্ত করেন ।
এমআইআর
0 Comments