ঝাপসা বনে একাকী হাঁটি আবছা আঁধারে,
জলের পরে জল আসে, রুক্ষ কঠিন জোয়ার
অস্ফুট কথা বলতে কেঁপে কেঁপে ওঠে স্বর ।
মায়ার বনের মায়াবতী, মায়া দিবে কী আমাকে ?
ছিন্ন গল্পে ভিন্ন ছোঁয়া, শূন্য মনের শুদ্ধতা
জানে যে সবাই কখনো কোথাও বাসেনি এত ভালো,
সেও জানে,কী যেন বিষে লোপ পেয়েছে সব আলো !
অল্প কথায় স্বল্প দেখা, স্বপ্নে মায়ার যন্ত্রণা !
যে চোখে মায়া, যে ঠোঁটে ছায়া, যে হাসির সরলতা
সীমাহীন অপরাধ,পাপ করে এসে শুভ্র সাজলে
বেশতো ছিল ভালো,কেন তবে তা আবার বাজালে ?
যে বুকেতে রাখলে মাথা মায়াবতীর অসীম মায়া ।
বড় অসহায়, অনাথ হৃদয়, চোখে পানির অসময় বন্যায়
এদিকে দেখোতো,মনে কী পড়েনা সেই সে কথা ,
আমাকে ছেডে যাবেনা কখনো,দিবেনা কখনো মনেতে ব্যথা ?
কত সবো আর,মায়াবতী বলো ? একটু কী তোমার পোড়েনা হৃদয় ?
আস্থার ব্যস্ততা , ধুলিস্মাত্ স্বপ্নটা, ছেঁড়াবুড়া বিধ্বস্ত আমি
তুমি বলেছো খুব বিনয়ে ,সবকিছু হোক নতুন করে শুরু,
মেনে নিয়েছি,বলেছি তবে 'থেকো শুদ্ধ',কুঞ্চিত কেন ভ্রূ ?
তুমিতো ঠিকই খেলছো দারুন, নিরবে কেঁদে বিস্মিত হই,জানো কী তা মায়াবতী ???
খুব দূরে, সব প্রহরে, প্রতিদিন কিছুটা করে চলে যাচ্ছি
তুমি জেনে রেখো পৃথিবীতে শত প্রচেষ্টায়ও কেউ হয়না সুখী ,
নিষ্পাপ,সত্যিকার, অতীতবিহীন এক আমাকে করে দুঃখী ।
মায়ার বাঁধন ছিঁড়ে হয়ে যাচ্ছে এই সেদিনের স্মৃতিগুলো কষ্টের বিস্মৃতি ।
জেগে থাকি রাত, ঘুমহীন আঘাত, হাহাকার সর্বক্ষেত্রে
কেটে যাবে যাক, এই জীবনের সব সময়-সুযোগ
তবু অপেক্ষায় থাকবো মায়ার, থাকবেনা অভিযোগ ।
দুষ্প্রাপ্য আশা, ভেঙেনাকো বাসা , খুব দ্রুত ফিরে এসো আপন ঘরে ।
যত পারো বাঁধো আমায় মায়ার জালে,
আমাকে পাবেনা তুমি আর কোনকালে !
কালের গভীরে আমি মিশে যাবো,
সেইসব কান্নার ফোঁটায় ফোটঁটায় খুঁজে নিও ও
আমার ছোঁয়ার ও কান্নার ফোঁটা দিয়ে একটি ছোট্র এলবাম করো ।
আমাকে বাঁচিয়ে রেখো নিউরণের অস্পৃশ্য জগতে ।।
[প্রতি স্তবকের প্রথম লাইন ও শেষ লাইন অর্থে ও ছন্দে সংযুক্ত । মাঝখানের দুইটি লাইন পারস্পরিক সম্পর্কিত ।
শেষের স্তবক নিয়ম বহিভূত ।
শেষের কথাগুলো কোন নিয়মের তোয়াক্কা করেনা ! ]
0 Comments