ধর্ম সম্পর্কে জানার প্রবণতা সেই ছোটবেলা থেকে । কোন একটি ধর্ম নিয়ে না, প্রায় প্রচলিত সব ধর্ম সম্পর্কে জানার আলাদা রকমের একটি শখ ছিল । সেই শখের প্রদীপ এখনো নিভে যায়নি ।
যে কোন বিষয়ে সেটা হোক বিজ্ঞান, অর্থনীতি, ভূগোল পরিষ্কার জ্ঞান না থাকলে সে বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকাটাই আসলে বুদ্ধিমানের কাজ ।
ধর্ম সে যেকোন ধর্মই হোক সে ধর্ম সম্পর্কে উপযুক্ত জ্ঞান অর্জন না করে তার প্রশংসা কিংবা নিন্দা কোনটাই করা উচিত নয় । কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট এর সম্পূর্ণ ভিন্ন ।
যেসব ছাগলপ্রজাতির মানবগোষ্ঠীর ধর্মের জ্ঞান অন্যকোন সমালোচকের বই থেকে নেওয়া সেগুলো কান পর্যন্ত দাঁত বের করে ধর্মকে কটাক্ষ করে ।
আবার ধর্মের ধ্বজাধারীরা প্রগতিশীলতা সম্পর্কে না জেনেই পুঁজিবাদী, নোংরা মানসিকতার নারীর শরীর ভোগীদের প্রগতির ধারক বলছে ।
এই দুই অংশকেই নিজেদের শুধরানোর প্রয়োজন । কারো সম্পর্কে বলতে গেলে তার সম্পর্কে আগে জানতে হবে, তারপর যাচাই, তারপর না হয় প্রকাশ করুন ।
একজন প্রকৃত নাস্তিক কখনো অপরের বিশ্বাসকে ঠোঁট বাঁকিয়ে আঘাত করেনা, অপরের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতাই মানবতা । ঠিক একইভাবে একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ কোন অবিশ্বাসীর অবিশ্বাসকে অযৌক্তিকভাবে বিতাড়িত করেনা ।
সব ছাড়িয়ে যায় কিছু অনুপ্রবেশকারী নাস্তিকদের কুকর্মে । এইসব অনুপ্রবেশকারী নাস্তিকতাকে লেবাস ধরে একটি বিশেষ ধর্ম ও ধর্মীয বিশ্বাসে আঘাত করে । এসব অনুপ্রবেশকারী নাস্তিক আসলে একটি ধর্মের উগ্র অনুসারী । তাই বিশেষ একটি ধর্ম ছাড়া পৃথিবীর আর কোন ধর্ম তাদের চোখের কাঁটা হয় না ।
এসব অনুপ্রবেশকারী অথবা ভোগবাদী যারা মনে করে ধর্মীয় শৃঙ্খলতা তাদের অবাধ যৌনস্বাধীনতা দেবেনা এদের কাছে শিবসেনা কখনো সাম্প্রদায়িক দল নয়, রেড আর্মি কখনো খ্রিস্টান মৌলবাদী নয় । এদের সব ক্ষোভ ব্রাদার হুড, তালিবান কিংবা আল কায়েদার উপর ।
নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণে বিচার করার ক্ষমতা এদের নেই, অথবা থাকলেও উগ্র সাম্প্রদায়িকতা এদের জ্ঞান বিলুপ্ত করেছে ।
এ কারণে যদি কেউ নিজেকে বড্ড একজন মরহুম বুদ্ধিজীবী হিসেবে প্রমাণ করতে চায় তবে তাকে কয়েক খন্ড চটি সাহিত্যে আবদ্ধ হয়ে থাকলে চলবেনা । এর বাইরে বেরিয়ে উভয়মতের বই, উভয়মতের সংবাদমাধ্যম এবং উভয়পক্ষের মতাদর্শ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত হতে হবে ।
তাতে গঠনমূলক সমালোচনাও হবে, আবার সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিরও অভাব হবেনা ।
শেষ করবো একটি তথাকথিত সাম্প্রদায়িক বইয়ের উক্তি দিয়ে । ইসলাম ধর্মের মূল গ্রন্থ কোরআনের একটি বাণী দিয়ে ।
' ..সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে , কারণ মিথ্যাতো বিলুপ্ত হওয়ারই। '[ বণী ইসরাঈল,৮১ ]
আমরা চাই পৃথিবীর সব মিথ্যা মিথ্যাবাদী সহযোগে বিলুপ্ত হয়ে যাক । এই মিথ্যা যদি ইসলাম ধর্মানুসারীদের থাকে তাও হোক, আর অন্যসব ছাগলবাদী, গরুবাদী, মগজজীবী, অনুপ্রবেশকারীদের
থাকলে তাও হোক ।
এ পৃথিবী সত্যময়, সত্যবাদীরাই এখানে থাকতে পারে । মিথ্যার ঠুনকো বেড়াজাল ভেঙে সত্য অচিরেই প্রতিষ্ঠিত হবে ।
সেই দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে চাই । বেঁচে থাকতেই হবে ।
0 Comments