জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় । চির সবুজ ক্যাম্পাসের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বছরের বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু থাকে। সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে জাহাঙ্গীরনগরকে অনেক সময় নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হলেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবময় অসংখ্য কীর্তি ও ইতিহাস । মেধাবী শিক্ষার্থী, স্বর্গসম প্রকৃতি এবং প্রতিভাবান শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি পরিবার গঠন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে এমন ১৯টি বিষয় তুলে ধরা হলো যা ইতিবাচক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে উপস্থিত করে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে সর্ব মোট ১৫ টি আবাসিক হল রয়েছে। এরমধ্যে ছেলেদের জন্য ৮ টি এবং মেয়েদের জন্য ৭ টি হল ।
![]() |
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক |
২। প্রাকৃতিক সেীন্দর্যর লীলাভূমি
![]() |
শীতকালীন পাখির জন্য জাবির দেশব্যাপী পরিচিতি রয়েছে |
৩। প্রজাপতি ও পাখি মেলা
বাংলাদেশের সর্ববৃহত্ এবং বিশ্বের অন্যতম বড় প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে । দেশের সর্বাধুনিক ও প্রাকৃতিক বাটারফ্লাই গার্ডেন। প্রজাপতি মেলা দেখতে প্রতি বছর ডিসেম্বরে জাহাঙ্গীরনগরে দেশের নানাপ্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে। দেশের প্রজাপতি গবেষণার প্রবাদপুরুষ অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন তুহিন প্রজাপতি মেলার আহবায়ক।
![]() |
প্রজাপতি মেলার আহবায়ক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন তুহিন। |
৪। এশিয়ার বৃহত্তম গবেষণা কেন্দ্র
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো একটি আকর্ষণ হচ্ছে ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র । এটিই কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত এশিয়ার সর্ববৃহত্ গবেষণা কেন্দ্র ।
এ গবেষণা কেন্দ্রে দেশের প্রতিভাবান গবেষকরা অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে গবেষণা কার্য সম্পাদনা করে থাকে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াত জীবন সঙ্গী ড ওয়াজেদ মিয়ার নামে এটির নামকরণ করা হয়েছে।
![]() |
ড ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র |
৫। পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাকেন্দ্র
বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগর যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ চিকিত্সাকেন্দ্র রয়েছে । দেশের স্বনামধন্য মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাসকৃত চিকিত্সকরা এখানে ২৪ ঘন্টা সেবা প্রদান করেন । তবে অনেক সময় ডাক্তারদের বিরুদ্ধে আন্তরিকতার ঘাটতির অভিযোগ এনে থাকেন শিক্ষার্থীরা। আবার চিকিৎসাকেন্দ্রে ঔষধও অনেক সময় পাওয়া যায়না। এম্বুলেনেন্সেরও্র অভাব রয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে থাকেন।
৬। দেশের একমাত্র নারী উপাচার্য
![]() |
অধ্যাপক ড ফারজানা ইসলাম |
৭। গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ত্ব
![]() |
প্রয়াত কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা হুমায়ূন ফরিদী ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী |
৮। যৌন নিপীড়ন সেল
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একমাত্র জাহাঙ্গীরনগরেই নারীর নিরাপত্তার জন্য যৌন নিপীড়ন সেল রয়েছে । এই সেলে অভিযোগ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীরা বিচার পেয়ে থাকেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি নারীর যৌন হয়রানী শীর্ষক কেইসগুলো সরাসরি উপাচার্যের তত্ত্বাবধানে থাকা এই নিপীড়ন সেলে পাঠিয়ে থাকেন। তারপর তথ্য , প্রমাণ ও সাক্ষীদের যাচাই বাছাই ও শনানীর পর সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। ২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে নারী নিপীড়নের অভিযোগে নিপীড়কদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
৯।সাংষ্কৃতিক রাজধানী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় বাংলাদেশের সাংষ্কৃতিক রাজধানী।বাংলাদেশের সংষ্কৃতি রক্ষায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অপরিসীম।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক সক্রিয় সাংষ্কৃতিক সংগঠন রয়েছে।এর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, বিতর্ক সংগঠন জেইউডিও, আনন্দন, নৃত্য সংগঠন কালবৈশাখী, জলসিঁড়ি, সুস্বর, ধ্বনি উল্লেখযোগ্য । একমাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়েই বছরে দুইবার নাট্যপার্বণ অনুষ্ঠিত হয়।এছাড়া হিম উত্সব, পাখি ও প্রজাপতি মেলা, বসন্তবরণ ও পয়লা বৈশাখ বিপুল উত্সাহ ও উদ্দীপনায় পালিত হয় ।
![]() |
পহেলা বৈশাখে জাবিতে মঙ্গল শোভাযাত্রা |
১০। চত্ত্বর ও ভাস্কর্যের বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চত্ত্বর ও ভাস্কর্য রয়েছে । এসব ভাস্কর্য বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতেই সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে দেখা যাবে অমর একুশে ।
স্বাধীনতাযুদ্ধের ত্যাগ ও সংগ্রামকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এটাতে।একটু এগিয়েই একটু ভিন্ন ধাঁচের এক বৃহত্ শহীদ মিনার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় গ্রন্থাগারের সামনে রয়েছে ভাস্কর্য সংশপ্তক । এক প্রতিবন্ধী মুক্তিযোদ্ধাকে এখানে দেখানো হয়েছে । নতুন কলা ভবনের পাশেই মুরাদ চত্ত্বর।বটতলা যেতে চোখে পড়বে কবির সরণী।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি রয়েছে।এছাড়া যাদের নামে হল তাঁদের সবার পাথরে খোদাইকৃত প্রতিকৃতি রয়েছে।রয়েছে মুন্নী ও জুবায়ের সরণী।পুরাতন কলা ভবনের সামনে রয়েছে মাটির তৈরি মৃৎমঞ্চ ।
![]() |
অমর একুশে , জাবি |
১১। বৈচিত্রময় নাম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন কেউ বাইরে থেকে আসে তখন এখানকার স্থানগুলোর বিচিত্র নামে অনেকেই বিমুগ্ধ হন , আবার অনেকেই হন বিস্মিত। এখানে রয়েছে টারজান পয়েন্ট ।মনে হতে পারে জঙ্গল ।কিন্তু এখানে চা ও ফুচকা পাওয়া যায় । একসময় চায়ের দোকানদার মেহেরের নামে পরিচিত ছিল মেহের চত্ত্বর । জাহাঙ্গীরনগরে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। অবাক হচ্ছেন? মওলানা ভাসানী হলের পাশের কুয়াশাঘেরা শীতল অঞ্চলকে বলা হয় সুইজারল্যান্ড।
এখানে লন্ডন ব্রিজও রয়েছে। পরিবহন চত্ত্বরের পাশে আছে সুপারিতলা । আল বেরুনী হলের পাশের লেকের নাম রঙপুকুর। তার সামনেই পিঠাচত্ত্বর। পিঠাচত্ত্বরে পিঠা ছাড়াও পাওয়া যায় সবজির চপ,পিঁয়াজু,বার্গার ও চা। এখানে রয়েছে বৃন্দাবন।
সুইমিংপুলের পাশের লেকের অপরপাশে রয়েছে মনপুরা দ্বীপ। এছাড়াও নতুন কলা ভবনের সামনের আড্ডা দেয়ার জায়গার নাম মহুয়াতলা , রয়েছে সপ্তম ছায়ামঞ্চ, পুরাতন কলা ভবনে রয়েছে হিজলতলা ।
![]() |
সপ্তম ছায়ামঞ্চ |
১২।দেশের সর্বোচ্চ শহীদ মিনার
![]() |
দেশের সর্বোচ্চ শহীদ মিনারটি অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে |
১৩। বটতলার খাবার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দর্শণার্থীদের কাছে পছন্দের জায়গা যেসব কারণে তারমধ্যে একটি হচ্ছে বটতলা । এখানে খাবারের সমাহার রয়েছে । বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সব ধরনের খাবার অত্যন্ত অল্প দামে এখানে পাওয়া যায় ।
এখানে টাকি মাছ, রুইমাছ, শ্যুঁটকিসহ শত প্রকারের ভর্তা পাওয়া যায় । বটতলার খাবারের মানও চমৎকার। বটতলা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য খাদ্যের সমাহার।
![]() |
বটতলার বিচিত্র রকম খাবার |
১৪।সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ
দেশের সবচেয়ে বড় খোলা মঞ্চের নাম সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ।মঞ্চনাটক উপভোগ করার জন্য মুক্তমঞ্চের চেয়ে উত্তম জায়গা পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আছে কি না সন্দেহ।
এক সঙ্গে প্রায় পাঁচ হাজার দর্শক মুক্তমঞ্চে নাটক দেখতে পারে ।নাটক ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন অনুষ্ঠান এ মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়।
![]() |
সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ |
১৫। দেশের বৃহত্তম হল
বাংলাদেশের বৃহত্তম হল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত।বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলকে এশিয়ার বৃহত্তম হলও বলা হয় ।
এই হলটিকে উপর থেকে দেখলে একটি প্রজাপতির মত দেখা যায় । বর্তমানে হলটিতে প্রায় ৩০০০ শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন ।
![]() |
মীর মশাররফ হোসেন হলের একাংশ |
১৬। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে অকৃত্রিম সম্পর্ক বিরাজমান । আবাসিক হওয়ার কারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছে পরস্পরের মুখ একদম পরিচিত।একারণে আনন্দ,বেদনা, প্রাপ্তি ও উল্লাসে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের যৌথ অবস্থান দেড়জুড়ে একটি দৃষ্টান্ত।
১৭। সাহিত্যজগত্
বাংলাদেশের বর্তমান সাহিত্য জগতের নেতৃত্ত্বে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা । আধুনিক বাংলা কবিতার কিংবদন্তি কবি ও অধ্যাপক খালেদ হোসাইন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করছেন ।
এছাড়াও কবি শামীম সিদ্দিকী, কবি শামীম রেজা,কবি শোয়াইব জিবরান, কবি রিলকি রশীদ, কবি অনিরুদ্ধ কাহালি সাহিত্যজগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র ।জেমকন সাহিত্য পুরষ্কার পাওয়া গল্পকার মেহেদি হাসান জাহাঙ্গীরনগরের ৩৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। ভাষা বিশারদ হায়াত মামুদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন।
![]() |
কবি খালেদ হোসাইন জাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষক |
১৮। মাশরাফি ও মুশফিকুর রহিমের বিশ্ববিদ্যালয়
![]() |
উপাচার্য এর কাছ থেকে সনদ নিচ্ছেন জাবি শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম |
১৯। জাবির ও একজন কিংবদন্তি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির স্যার
রসায়নের বিশ্বমানের শিক্ষক ও গবেষক অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির স্যারকে বলা হয় আধুনিক জাহাঙ্গীরনগরের রূপকার। তিনি সবচেয়ে বেশি ছাত্রবান্ধব উপাচার্য। তাঁর সময়ে বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জাবি সেশন জটকে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসে। তিনি একাডেমিক দিক দিয়ে অনেক বেশি এগিয়ে। শরীফ স্যার বর্তমানে জাবির এলামনাই এসোসিয়েশনের আহবায়ক এবং বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সদস্য হিসেবে কর্মরত। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে ঐক্যবদ্ধ রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
২০। জাহাঙ্গীরনগর ও বাংলাদেশ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে। ১৯৭০ সালে যদিও এটি নির্মাণ সম্পন্ন হয়। তবে ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারিকে জাবির প্রতিষ্ঠা দিবস ধরা হয় । এ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর ও বাংলাদেশের জন্ম একই সঙ্গে । প্রতি বছর যততম স্বাধীনতা অথবা বিজয় দিবস পালিত হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ও তত তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে । বাংলাদেশ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বড় হয় এক সাথে, মানবতার কল্যাণের নিমিত্তে।
সমাপনী
উপরের ছোট্র উনিশটি আলোচনায় জাহাঙ্গীরনগরকে ফুটিয়ে তোলার এক কঠিন চেষ্টা করা হয়েছে এখানে। আশা করি এই ইতিবাচক বিষয়গুলো জাহাঙ্গীরনগরকে আরো পরিচিত ও প্রসিদ্ধ করে তুলবে। এমন সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে আসলে যান্ত্রিক জীবন থেকে কিছুক্ষণের জন্য চলে যেতে পারেন স্বর্গীয় পরিবেশে । সময় ও সুযোগ করে ঢাকা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরের সাভারে অবস্থিত প্রায় সাতশ একরের এই ছোট্র পৃথিবীতে পরিবার ও সঙ্গী-সাথী নিয়ে বেড়াতে আসতে ভুল করবেননা আশা করি । জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েয় পক্ষ থেকে আপনাকে অগ্রীম শুভেচ্ছা ।