- (সম্প্রতি কবি ব্রাত্য রাইসু আব্দুল হাকিমের কবিতা ও ভাষা প্রশ্নে তার সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অবস্থানকে তথাকথিত নিওলিবারেলিজমের যুগে অকার্যকর বলে “তর্ক” তৈরি করেছেন।তার কবি আব্দুল হাকিম বিরোধী সেই সব পোস্টের বিভিন্ন জায়গায় আমার মত ও পরের একটি স্ট্যাটাসকে নোট হিসেবে রেখে দিলাম। আমার অবস্থান এখানে পরিষ্কার। ভাষার প্রশ্নে আব্দুল হাকিমই ছিলেন সঠিক,যৌক্তিক ও নির্ভুল।আব্দুল হাকিমের কবিতা ও মত ছিল স্বাধীনতা ও স্বকীয়তার সঙ্গে বিজড়িত। তিনি তৎকালীন সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ভাষা দিযে তৈরি হিজিমনির বলয় ভাঙতে কলম ধরেছিলেন। কবি আব্দুল হাকিম আদি ভাষাসৈনিক,তিনি সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম কবি যিনি ভাষার মাধ্যমে চালানো সাংষ্কৃতিক আগ্রাসন অনুধাবন করে এর বিরুদ্ধে শোচ্চার হয়েছিলেন। কবি আব্দুল হাকিমের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। )
“...যেই দেশে যেই বাক্য কহে নরগণ
সেই বাক্য বুঝে প্রভু আপে নিরঞ্জন ।
যে সব বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি ।
দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায়
নিজ দেশ ত্যাগী কেন বিদেশ ন যায় ।”
#ব্রাত্য রাইসু
- সাধের আব্দুল হাকিমগিরি -
"দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে না জুয়ায়
নিজ দেশ ত্যাগী কেন বিদেশে না যায়" - আব্দুল হাকিম
smile emoticon
যারা আজকে বিশ্বের নানা দেশে নাগরিক হইছেন, তারা যারা বাংলায় কথা বলেন, কত তাদের সংখ্যা—সেই সব বাংলাভাষী বিদেশী নাগরিকদের বাংলায় কথা বলার কারণে ধইরা ধইরা বাংলাদেশে ফেরত পাঠাইলে আব্দুল হাকিমগিরি টুঁইটা যাবে বাংলাভাষীদের।
বাংলাভাষীরাই বরং বাংলাদেশে ইংরাজি ভিন্ন অপরাপর ভাষাভাষীদের সুযোগ সুবিধা রদ কইরা দিয়া দাবায়া রাখতেছে। অবশ্য ওদেরকে এখনো হাকিমের প্রেসক্রিপশন অনুসারে জোর কইরা বিদেশ যাওনের চাপ দেওয়া হয় নাই। বা হয় নাই বলা যায় না—ঊর্দুভাষীদের পাকিস্তানে রপ্তানি করার জনপ্রিয় দাবিদাওয়ার লগে তো আব্দুল হাকিম সুন্দর ম্যাচ করে।।#ব্রাত্য_রাইসু ১৮/১০/২০১৫
#মঈনুল রাকীব
আব্দুল হাকিম বঙ্গে জন্মে যারা বাঙলাকে হিংসা করে বা অবজ্ঞা করে সেইসবের উদ্দেশ্যে এই কথা বলেছেন বলে মনে হয়,এটি ছাঁচিকরণ করে সবার উপর আরোপ করা আব্দুল হাকিমের মত না। হতে পারে আপনার মত তার উপর চাপাচ্ছেন।আর তিনি বলেছেন যদি বাঙলাদেশে থেকে এই দেশের ই ভাষা ন পছন্দ হয়ে সাম্রাজ্যবাদী আরবী,ফার্সী পছন্দ হয় তবে সেসব দেশে গেলেই পারে ।এখানে আপনার সমস্যা কি?সাম্রাজ্যবাদ বিরোধীতা করে আব্দল হাকিম অন্যায় করে ফেলেছে?কি যে যা তা বলেন মাঝে সাঝে!
(এর উত্তর তিনি সরাসরি দেননি। নিচের মন্তব্য করেন আরো যারা মন্তব্য করে তারাসহ সকলের উদ্দেশ্যে)
#ব্রাত্য রাইসু:
বাংলাদেশী উর্দু ও অন্যান্য ভাষীদের দেশী ভাষা বাংলা। আব্দুল হাকিমের ফ্যাসিবাদী প্রেসকিপশন তাদের উপরে বর্তায়। আপনারা কেবল বাংলাভাষীদের সুবিধা অনুসারে প্রেসকিপশনটারে কাটছাট কইরা নিতেছেন।
এক দেশে বহ ভাষার ব্যাপারে আব্দুল হাকিম জিন্নাহপন্থী।
(উনার পরে আমি এভাবে লিখেছি।)
#মঈনুল রাকীব
বিদেশে যারা ভিন্ন ভাষা শিখে থাকছে তারা আব্দুল হাকিমগিরির আওতায় একদম পড়েনা। আব্দুল হাকিমগিরি আসলে সেইসব পাবলিকের উপর বর্তায় যারা 'বাংলা মাতৃভাষা হওয়ার পরেও অন্য ভাষাকে গুরুত্ত্ব দেয়'।যারা বিদেশে যায় তারা বাংলাকে কম গুরুত্ত্ব দেয় এমন কাউকে দেখিনা।আর সাহিত্যে তো আব্দুল হাকিমগিরি আরো বেশি চলে।গণ ভাষা ছাইড়া যারা তত্কালীন আরবী ফার্সী ইত্যাদি বহিরাগত ভাষায় সাহিত্য চর্চা করছে এবং ধর্মান্ধ আল্লাহর প্রিয় ভাষাতত্ত্ব দিয়েছে তাদের চপেটাঘাত করেছে আব্দুল হাকিম।আপনি যে ব্যবহারিক বা আঞ্চলিক ভাষায় সাহিত্য চর্চা করেন সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে সেটি ও আব্দুল হাকিমগিরি,কারণ আব্দুল হাকিম মাতৃভাষা বা দেশি ভাষা যা ই বোঝাক তারমধ্যে কথ্য ভাষা পড়বেই। আব্দুল হাকিমের কবিতাটি ছিল প্রতিবাদ।সেই সময়ের বাংলাকে অবজ্ঞাকারীদের প্রতি।কিছুতেই ফ্যাসিবাদ না।শোষিতের প্রতিবাদকে ফ্যাসিবাদ বলাই সবচেয়ে বড় ফ্যাসিবাদ।কোথাও নেই যে তিনি বলেছেন অন্য ভাষা শেখা বা চর্চা করা যাবেনা।বাংলা ভাষাকে হিংসাওয়ালাদের হাকিম কড়া ভাষায় ধীক্কার দিয়েছেন।হাকিমের কবিতা অনুবাদ করে ইংরেজরাও সেদেশের নাগরিক যারা ইংরেজিকে অবজ্ঞা করে অন্যভাষা যেমন স্প্যানিশ চর্চা করে তাদের উপর প্রয়োগ করতে পারে ।এইখানে ফ্যাসিবাদ নাই ,এইখানে আছে পরিষ্কার প্রতিবাদ। এক দেশে বহু ভাষা চলার ব্যাপারে হাকিমের আপত্তি নেই।চাকমা,মারমা ভাষায়ও নেই,তার আপত্তি আছে চাকো ও মারমা কোন ব্যক্তি চাকমা বা মারমা ভাষার প্রতি অবজ্ঞা করার ক্ষেত্রে।কেউ যদি চাকমা ভাষা শিখে তাকে সম্মান করে ইংরেজি বা বাংলা ভাষা শেখে বা কোন বাঙালি যদি বাঙলাকে মূল্যায়ন করে ইংরেজি বা চৈনিক ভাষা শেখে তাতে আব্দুল হাকিমের কোন আপত্তি নেই। এক দেশে বাস করে সেদেশের ভাষায় কথা বলেও সে ভাষাকে যারা অবজ্ঞা করে তাদের ব্যাপারে হাকিমের বক্তব্য ও চিরকাল কাজে দেয়া প্রেসক্রিপশন ওটি।জিন্নাহ ছিলেন হাকিমবিরোধী শিবিরের অগ্রদূত যে নিজের ভাষা ছেড়ে পরের ভাষাটারে আরেকজনের মাথায় চাপায়া দিতে চাইছে।হাকিম চাপায় দিতে চায়না,চাপায় দেয়া হিজিমনিকে কষে চপেটাঘাত করে।আব্দুল হাকিমের জয় হোক। অবুঝ আব্দুল হাকিম বিরোধীর সুমতি বা মতি বা বুঝ হোক।
(এই মন্তব্যের জবাব তিনি দেননি। পরে কিছুক্ষণ পরে নিম্নোক্ত স্ট্যাটাসগুলো দেন।)
Bratya Raisu
October 18 at 3:26pm
- যেভাবে আব্দুল হাকিম ও জিন্না একই -
আব্দুল হাকিম বা জিন্নাহ দুই জনই দেশ বলতে কী বোঝায় তা জাইনাই দেশের জন্যে ভাষা নির্দিষ্ট করেন। ভাষা সাম্রাজ্যবাদী হিসাবে বাংলায় যেমন আব্দুল হাকিম পূজনীয় পাকিস্তানে জিন্নাহ পূজনীয়ই হবেন। নিজের দেশে নিজের ভাষা বলতে শাসক শ্রেণীর ভাষাই বোঝায়। পরাধীন দেশ যখন স্বাধীন হয় তখন সে নতুন শাসক শ্রেণীর ভাষা সাম্রাজ্যবাদ চাইপা বসে অন্যান্য ভাষাগোষ্ঠীর উপর। ভাষাকে দেশের বাইরে ব্যক্তির বা গোষ্ঠীর স্বাধীনতার জায়গা থিকা দেখতে পারা দরকার। চাপায়া দেওয়া দেশপ্রেম ও ভাষাপ্রেমের সবক দিতেছেন আব্দুল হাকিম এবং জিন্নাহ উভয়েই।
#ব্রাত্য_রাইসু ১৮/১০/২০১৫
"দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে না জুয়ায়
নিজ দেশ ত্যাগী কেন বিদেশে না যায়" - আব্দুল হাকিম
smile emoticon
এক দেশে বহ ভাষার ব্যাপারে কবি আব্দুল হাকিম জিন্নাহপন্থী।
#ব্রাত্য_রাইসু ১৮/১০/২০১৫
- ভাষাপ্রশ্নে আব্দুল হাকিম ও জিন্নার জাতীয়তাবাদী অবস্থান -
আব্দুল হাকিম বা জিন্নাহ দুই জনই দেশ বলতে কী বোঝায় তা জাইনাই দেশের জন্যে ভাষা নির্দিষ্ট করেন। দেশ বলতে তারা জেলা শহর বা পরগণা বোঝান নাই। "নিজ দেশ ত্যাগী কেন বিদেশে না যায়"—বলছেন হাকিম। 'বিদেশে' কথাটায় মনোযোগ দিতে হবে। ভাবেন, দেশী ভাষা ছাইড়া অন্য ভাষা গ্রহণ করলে ইনি, হাকিম, তাকে বিদেশে পাঠায় দিবেন! দেওয়ার আগে জন্ম লইয়া খারাপ কথা শোনাইবেন। কী ভয়ানক। দেশরক্ষার ভাষা সাম্রাজ্যবাদী হিসাবে বাংলায় যেমন আব্দুল হাকিম পূজনীয় পাকিস্তানে জিন্নাহ পূজনীয়ই হবেন। ঊর্দু ভাষাভাষীদের সাধের জিন্নাহ এক দেশ দুই পাকিস্তানের জন্যে দেশী ভাষা হিসাবে ঊর্দুই চান। এই চাওয়া আব্দুল হাকিমের প্রেসকিপশেনরই চাওয়া। জিন্নাহ কেন দেশ বলতে তৎকালে কেবল পশ্চিম পাকিস্তান বোঝাইবেন তা বলেন দেখি! নিজের দেশে নিজের ভাষা বলতে শাসক শ্রেণীর ভাষাই বোঝায়। পরাধীন দেশ যখন স্বাধীন হয় তখন সে নতুন শাসক শ্রেণীর ভাষা সাম্রাজ্যবাদ চাইপা বসে অন্যান্য ভাষাগোষ্ঠীর উপর। এইভাবে এখন বাংলা ভাষার মাধ্যমে জনাব আব্দুল হাকিম দেশের অন্যান্য ভাষা ব্যবহারকারীদের টাইট দিতে থাকেন।
২.ভাষারে দেশের বা রাষ্ট্রের বাইরে ব্যক্তির বা গোষ্ঠীর স্বাধীনতার জায়গা থিকা দেখতে পারা দরকার। ইংরাজি মাধ্যমে বা চাকমা মাধ্যমে বা ঊর্দু মাধ্যমে বা হিন্দি মাধ্যমে যারা পড়াশোনা করতে চান তাদের সে সুযোগ দিতে হবে। স্বাধীন দেশে ভাষাপ্রশ্ন পরাধীন দেশের মত কইরা হবে না। দেশী ভাষা ত্যাগ কইরা দেশে থাকলে তারে বেজন্মা বা জারজ বলাটা শাসক গোষ্ঠীর হিংস্রতা।
চাপায়া দেওয়া দেশপ্রেম ও ভাষাপ্রেমের ছবক দিতেছেন আব্দুল হাকিম এবং জিন্নাহ উভয়েই। উভয়কে বয়কট।(প্রথমটার এডিটেড অংশ)
(এরপরে তার পোস্টে নিম্নোক্ত মন্তব্য করি।)
#মঈনুল রাকীব
আব্দুল হাকিম এবং জিন্নাহ দুইজন ভিন্ন ব্যক্তিত্ত্ব। ভাষার ব্যাপারে দুইজনের অবস্থান সম্পূর্ণ পৃথক ও স্বতন্ত্র।আব্দুল হাকিম শাসক ছিলেন না,প্রলেতারিয়েত ছিলেন।প্রলেতারিয়েতের ভাষা অবজ্ঞাকারীদের তিনি নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ করেছেন।জিন্নাহ বুর্জোয়া ছিলেন।তিনি শোষণের জন্য এমন ভাষা চয়েস করেছেন যা তার নিজেরই মাতৃভাষা ছিলনা।সত্য হচ্ছে সেই সময়ে আব্দুল হাকিমদের উপর যারা আরবী ফার্সি সংষ্কৃত চাপায় দিতে চাইছিল তারা এবং জিন্নাহ গং এক পার্টি।আব্দুল হাকিম ছিলেন সঠিক পথে এবং এখনো ভাষা অবজ্ঞাকারীদের ব্যাপারে তাঁর অবস্থান শতভাগ নির্ভুল।বরং আব্দুল হাকিম বিরোধীতাই জিন্নার সম কাতার ।
(এই মন্তব্যের জবাবও তিনি দেননি।পরে তার সঙ্গে এ ব্যাপারে আর কথা হয়নি।একদিন দিন পর আমি আমার টাইমলাইনে এই স্ট্যাটাসটি পোস্ট করি।)
ভাষা প্রশ্নে আব্দুল হাকিমই সঠিক
.............................................
"যে সবে বঙ্গে জন্মি হিংসে বঙ্গবানী
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি''
বাঙলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রতিবাদী কবি আব্দুল হাকিম যারা বাঙলা ভূখন্ডে জন্ম নিয়ে বাঙলা ভাষাকে হিংসা করে তাদের ধীক্কার দিয়েছেন।নিজ দেশের ভাষাকে অবজ্ঞাকারী পরগাছাদের তিনি ছেড়ে কথা বলেননি।আব্দুল হাকিমের এই অবস্থান শতভাগ সঠিক।তত্কালীন যুগে বাঙলাসহ দেশিয় বা কথ্য ভাষাকে অবজ্ঞা করে যারা আরবী,ফার্সি,সংষ্কৃত ভাষায় কথা বলতো বা সাহিত্য রচনা করতো তারা ছিল শিকড়ত্যাগী,আগাছা এবং বুর্জোয়া।ঠিক যেমন বর্তমান যুগে বাঙলাকে রেখে ইংরেজি বা হিন্দিকে গুরুত্ত্ব দেয় একজাতীয় আগাছা।বাঙলা ভাষা ও আব্দুল হাকিম ছিলেন প্রলেতারিয়েত।ধর্ম ও বর্ণের অযুহাতে বাঙলাকে অবহেলা করত যেসব কালপ্রিট আব্দুল হাকিম তাদের গাল জুড়ে কষে থাপ্পড় মেরেছিলেন।ঠিক যেমন ১৯৫২ তে জিন্নাহর গাল জুড়ে সালাম-বরকত থাপ্পড় মেরেছিল।আব্দুল হাকিম কোথাও ভিন্ন ভাষা চর্চা বা শেখায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি,যারা তাঁর ভাষাকে অবজ্ঞা করে তাঁরই ভূখন্ডে থেকে,খেয়ে বা পরে তাদের বেজন্মা বলে গালি দিয়েছেন।একজন প্রলেতারিয়েত হিসেবে তিনি সেই গালি দেয়ার পূর্ণ অধিকার রাখেন।এটাকে নিয়ে জলঘোলা করে হালে পানি দূরে থাক বাতাসও পাওয়া যাবেনা।ভাষার প্রশ্নে মহান আব্দুল হাকিম ও সালাম-বরকত-জব্বার-রফিক-শফিউর সমঅবস্থানে এবং সমব্লকে আছেন।আব্দুল হাকিমের কবিতা ছিল প্রতিবাদ,তত্কালীন শোষকদের বিরুদ্ধে।আব্দুল হাকিম মাতৃ ও দেশি ভাষা সুরক্ষার আদিসৈনিক।ভাষা প্রশ্নে আব্দুল হাকিমের বিরোধীতা ও জিন্নাহর উর্দুবাদ সমর্থন করা এক কথা।আব্দুল হাকিম ভাষা শেখা ও চর্চায় যে অবস্থানে ছিলেন তা জাতীয়তাবাদী অথবা আন্তর্জাতিকতাবাদী উভয় দৃষ্টিভঙ্গীতে সহিহ,নির্ভুল,যৌক্তিক। যেসব মূর্খ বলে আরবী বা সংষ্কৃতয় ছাড়া আল্লাহ বা ঈশ্বর দোয়া কবুল করেনা তদেরকে দাঁতভঙ্গা জবা দিতে আবদুল হাকিম বলেন,স্রষ্টা সকল ভাষা বুঝতে সক্ষম।অতএব কোন ধরনের কথাবার্তা,তর্কফর্ক আব্দুল হাকিমের শক্ত অবস্থানের অবধারিত বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টায় সফল হবেনা।আব্দুল হাকিম নিপীড়িত'র কন্ঠ,ভাষা প্রশ্নে ধর্মব্যবসায়ীদের ত্রাস এবং বিশ্বায়নের নামে অন্যের ভাষা ও সংষ্কৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারাকারী বা তাঁর সমর্থকদের যমদূত।পৃথিবীর তাবত্ দেশি ভাষা বেশি করে চর্চা হোক।আব্দুল হাকিম চর্চা হোক।মাতৃভাষা হিংসাকারীদের উপর আব্দুল হাকিমের কবিতা ছুঁড়ে দেয়ার সংষ্কৃতি চলছে,চলুক।
পৃথিবীর সকল নিপীড়িত জনগোষ্ঠী আব্দুল হাকিমের নীতি ও মতকে ধারন করুক। তা না হলে বৃহত কিছু সাম্রাজ্যবাদী ও উত্তর উপনিবেশবাদী শক্তির কাছে ক্ষুদ্র দেশ ও জাতিগোষ্ঠী তার ভাষা ও সংষ্কৃতি হারাবে। আমরা সেটি চাইনা। আমরা চাই মাতৃভাষাসহ সকল দেশি ভাষা সম্মানের সঙ্গে ব্যবহৃত হোক। তারপর যত ইচ্ছে ভাষা জানতে চায় জানুক। কিন্তু বাঙলাকে সম্মান দিয়েই সেটি করতে হবে।ধন্যবাদ।
1 Comments
ভাইগন, আমার এত জ্ঞান এর দরকার নাই...কেউ আমাকে সিম্পল বাংলা শব্দ "হিংসা" এর অর্থ'টা বুঝান।
ReplyDeleteআমিতো জানি, হিংসা করে আরেকজনের ভালো কিছু দেখে-যেই জিনিসটা নিজের ভিতরে নাই...
এখন বাংলা একটা ভাষা যেমন পৃথিবীর আরো যেকোনো ভাষার মত...
এখন এইখানে হিংসা'র কি আছে...??
আমার তো মনে হয় উনি নিযে হয় হিংসা শব্দের সঠিক ব্যাবহার'ই জানতো না। যেমনটি অনেকে ইংরেজী জানলেও কোন শব্দটা কোথায় ইউযুয়ালী ব্যাবহার হয় বা অ্যাপ্রোপ্রিয়েট হবে সেইটা না জানা...।
তাহলে বুঝা যাচ্ছে উনি নিজেই নিজের মাতৃভাষার সঠিক ব্যাবহার জানতো না অন্য ভাষার দখল সম্পর্কেতো সহজেই অনুমেয়।
সেই হিসাবে উনিই হিংসুক এবং পরশ্রীকাতর ছিলো হয়তো।।
কি বলেন আপনারা।