এইটা #জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়। এইখানে বাসে নাম দিয়ে নিজের সস্তা কচুর জ্ঞান ফলানো
লাগেনা। আমরা ক্যাম্পাসের বাইরে “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়” নামেই পরিচিত
হতেই গর্ববোধ করি। এই #দুর্বার
ফুর্বার নাম দিয়ে আঁতেলগিরি জাবিতে চলবেনা।তারপরেও কোন ধৃষ্টতায় কারা
ক্যাম্পাসের বাসের নাম পরিবর্তন করেছে? এটা দেশের অন্য কোন খাও, দাও, পড়ো,
পাস করো, ৬-৭ বছর এক রুমে থেকেও কেউ কাউকে না চিনে হাসিমুখে বিদায় নেয়া
মার্কা ইউনিভার্সিটি না।এই খানে একটা সংষ্কৃতি আছে। আমরা এই ক্যাম্পাসকে
বাংলাদেশের সাংষ্কৃতিক রাজধানী বলে ডাকি।এখানে ৫ বছর পর হল ছাড়তে গেলে ছোট
ভাইরা মন খারাপ করে। বটতলার মামা থেকে চেীরঙ্গীর খালা, পিঠাচত্ত্বরের
কাওসার থেকে ট্রান্সপোর্টের মোবারক ভাই মন খারাপ করে।সেই শত শত ভীড়ের
মধ্যেও ছোট্র করে লেখা জাহাঙ্গীরনগর চিনতে একদম ভুল করেনা ঢাকা থেকে
ক্যাম্পাসে ফেরা ছাত্রছাত্রীরা।তোমরা বেয়াদবের দল, জাবিকে ভালবাসলে আলাদা
করে নাম দিয়ে জাবির পরিবহন ব্যবস্থাকে চিহ্নিত করতে হতোনা। কয়দিন পর তোমরা
হে আঁতেল বেয়াদবপাল, জাবিতে কি স্কুল আর কলেজ ড্রেস প্রচলন করবা?নাকি
তোমাদের পিঠে একটা করে সিল মেরে পরিচয় লিখে দিবে“আমি জাবিতে পড়ি” , কারণ
তোমাদের আচরণ জাবির সাথে যায়না, যাচ্ছেনা।তোমাদের জাহাঙ্গীরনগরে বহিরাগত
মনে হয়। জাবি দীর্ঘ নি:শ্বাস ছাড়ে তোমাদের ধারাবাহিক অনাচার দেখে।
২।
বাইরে থেকে এই ক্যাম্পাসে কিছু আরোপ করার বাজে চিন্তা যারা করে তারা জাবিকে হৃদয়ে ধারণ করেনা। তারা এখানে যে সংকর অসুস্থতা শুরু করেছে তার ব্যাপারে এখনই প্রতিবাদ জানাতে হবে।যতদূর শুনেছি ওরা প্রশাসনের কোন ধরনের অনুমতি ছাড়া এই বহিরাগত সস্তা নামকরণ দেয়ার কাজটি করেছে।প্রশাসনের কাছে এদের শাস্তি দাবি করছি। প্রত্যেকটা সমাজের নিজস্ব একটি মূল্যবোধ, নিয়ম ও নীতি রয়েছে।এগুলো সঠিকভাবে না মেনে চললে ঐ সমাজের শান্তি ও শৃঙ্খলা নষ্ট হয়।বড়দের সম্মান থাকেনা।সমাজের বদনাম হয় অন্য সমাজের কাছে। জাবি একটি পৃথক সমাজ। এখানের সামাজিক নীতিগুলো গত কয়েক বছরে যেভাবে ভেঙে পড়েছে তা আশঙ্কাজনক। এই ক্যাম্পাস প্রায় এখন জাহাঙ্গীরনগরের না।আমি অনেক সিনিয়রকে এটা বলতে শুনেছি। এটা যেন কোন যান্ত্রিক, ভালবাসাশূন্য, স্নেহহীন ও শ্রদ্ধা বিবর্জিত অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের অনুলিপি।অবিলম্বে বাসের গা থেকে এই সস্তা নাম তুলে ফেলে দেয়া হোক।আমরা ক্যাম্পাসকে ধারন না করা কোন আত্মকেন্দ্রিক, ভোগবাদী বহিরাগত মানসীকতার বহি:প্রকাশ আমাদের বাসগুলোয় কিংবা ক্যাম্পাসের কোথাও দেখতে চাইনা।এই ক্যাম্পাস এখনো আমাদের, চিরকাল আমাদের।আমাদের মা জাহাঙ্গীরনগর।মায়ের শরীরের কোন অংশে হাত দিয়ে তাঁকে ক্ষতবিক্ষত করতে চায় যারা সেই শিকড়ত্যাগী নষ্টদের অধিকারে যাওয়া থেকে তাকে রক্ষা করতে হবে।
৩।
ক্যাম্পাসে একটি প্রশাসন আছে। তাদের অনুমতি ব্যতিরেকে এরা কিভাবে ক্যাম্পাসের একটি বাসের নাম পরিবর্তন করলো?প্রশাসনিক নিয়ম ভেঙে এরা অপরাধ করেছ।আমরা চাই এই ধৃষ্টতাপূর্ণ অপকর্ম যারা করেছে তাদের জবাবদিহি করা হোক।নাম পরিবর্তন করার বা কোন নাম দেয়ার দায়িত্ত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনের দায়িত্ত্বে থাকা কর্মকর্তাদের। তাদের না জানিয়ে এরা কারা যারা এহেন কুকীর্তি গড়লো? এর আগে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন জাহাঙ্গীরনগরে এসে ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক লেকগুলো কৃত্রিম বানিয়ে নিজে বিভিন্ন নাম দিতে ফলক গড়েছিল। জাবির শিক্ষার্থী, শিক্ষকরা মিলে তার এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করেছিল। সেই ফলকগুলো এখনো পড়ে আছে। যারা বাসের নাম পরিবর্ন করেছেন তারা একটি দেখতে পারেন কষ্ট করে।এখন যারা বাসের নাম পরিবর্তন করলো বা সামনে আরো করতে চাচ্ছে তারাও গর্হিত অপরাধ করেছে।এই অপরাধীদের জবাবদিহির ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগরকে হৃদয়ে ধারণ করা প্রত্যেক বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সরব প্রতিবাদ জানানোর এখনই সময়।মনে রাখবেন, এই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়টি-ই বাংলাদেশের হাজার বছরের সংষ্কৃতির পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, হৃদ্যতা,স্নেহ-প্রেম, গান, উৎসবকে ধরে রেখেছে।তাই জাহাঙ্গীরনগরকে এই ভোগবাদী , আত্মকেন্দ্রিক সর্বগ্রাসী (অপ)প্রজন্মের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।এরা সব কিছু ভেঙেচুরে ফেলবে। সে সুযোগ তাদের দেয়া যাবেনা। তাই চলুন, সবাই এক যোগে অবিলম্বে বাসের নাম পরিবর্তনের এই হীনচক্রান্তকে নস্যাৎ করার দাবি জানাই।
#নামপরিবর্তনকেনাবলুন #জাবি #বাঁচান #ওরাকারা?
২।
বাইরে থেকে এই ক্যাম্পাসে কিছু আরোপ করার বাজে চিন্তা যারা করে তারা জাবিকে হৃদয়ে ধারণ করেনা। তারা এখানে যে সংকর অসুস্থতা শুরু করেছে তার ব্যাপারে এখনই প্রতিবাদ জানাতে হবে।যতদূর শুনেছি ওরা প্রশাসনের কোন ধরনের অনুমতি ছাড়া এই বহিরাগত সস্তা নামকরণ দেয়ার কাজটি করেছে।প্রশাসনের কাছে এদের শাস্তি দাবি করছি। প্রত্যেকটা সমাজের নিজস্ব একটি মূল্যবোধ, নিয়ম ও নীতি রয়েছে।এগুলো সঠিকভাবে না মেনে চললে ঐ সমাজের শান্তি ও শৃঙ্খলা নষ্ট হয়।বড়দের সম্মান থাকেনা।সমাজের বদনাম হয় অন্য সমাজের কাছে। জাবি একটি পৃথক সমাজ। এখানের সামাজিক নীতিগুলো গত কয়েক বছরে যেভাবে ভেঙে পড়েছে তা আশঙ্কাজনক। এই ক্যাম্পাস প্রায় এখন জাহাঙ্গীরনগরের না।আমি অনেক সিনিয়রকে এটা বলতে শুনেছি। এটা যেন কোন যান্ত্রিক, ভালবাসাশূন্য, স্নেহহীন ও শ্রদ্ধা বিবর্জিত অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের অনুলিপি।অবিলম্বে বাসের গা থেকে এই সস্তা নাম তুলে ফেলে দেয়া হোক।আমরা ক্যাম্পাসকে ধারন না করা কোন আত্মকেন্দ্রিক, ভোগবাদী বহিরাগত মানসীকতার বহি:প্রকাশ আমাদের বাসগুলোয় কিংবা ক্যাম্পাসের কোথাও দেখতে চাইনা।এই ক্যাম্পাস এখনো আমাদের, চিরকাল আমাদের।আমাদের মা জাহাঙ্গীরনগর।মায়ের শরীরের কোন অংশে হাত দিয়ে তাঁকে ক্ষতবিক্ষত করতে চায় যারা সেই শিকড়ত্যাগী নষ্টদের অধিকারে যাওয়া থেকে তাকে রক্ষা করতে হবে।
![]() |
এভাবেই এরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ বছরের সংষ্কৃতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বাসের নাম পরিবর্তন করার ধৃষ্টতা প্রদর্শন করছে। |
ক্যাম্পাসে একটি প্রশাসন আছে। তাদের অনুমতি ব্যতিরেকে এরা কিভাবে ক্যাম্পাসের একটি বাসের নাম পরিবর্তন করলো?প্রশাসনিক নিয়ম ভেঙে এরা অপরাধ করেছ।আমরা চাই এই ধৃষ্টতাপূর্ণ অপকর্ম যারা করেছে তাদের জবাবদিহি করা হোক।নাম পরিবর্তন করার বা কোন নাম দেয়ার দায়িত্ত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনের দায়িত্ত্বে থাকা কর্মকর্তাদের। তাদের না জানিয়ে এরা কারা যারা এহেন কুকীর্তি গড়লো? এর আগে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন জাহাঙ্গীরনগরে এসে ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক লেকগুলো কৃত্রিম বানিয়ে নিজে বিভিন্ন নাম দিতে ফলক গড়েছিল। জাবির শিক্ষার্থী, শিক্ষকরা মিলে তার এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করেছিল। সেই ফলকগুলো এখনো পড়ে আছে। যারা বাসের নাম পরিবর্ন করেছেন তারা একটি দেখতে পারেন কষ্ট করে।এখন যারা বাসের নাম পরিবর্তন করলো বা সামনে আরো করতে চাচ্ছে তারাও গর্হিত অপরাধ করেছে।এই অপরাধীদের জবাবদিহির ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগরকে হৃদয়ে ধারণ করা প্রত্যেক বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সরব প্রতিবাদ জানানোর এখনই সময়।মনে রাখবেন, এই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়টি-ই বাংলাদেশের হাজার বছরের সংষ্কৃতির পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, হৃদ্যতা,স্নেহ-প্রেম, গান, উৎসবকে ধরে রেখেছে।তাই জাহাঙ্গীরনগরকে এই ভোগবাদী , আত্মকেন্দ্রিক সর্বগ্রাসী (অপ)প্রজন্মের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।এরা সব কিছু ভেঙেচুরে ফেলবে। সে সুযোগ তাদের দেয়া যাবেনা। তাই চলুন, সবাই এক যোগে অবিলম্বে বাসের নাম পরিবর্তনের এই হীনচক্রান্তকে নস্যাৎ করার দাবি জানাই।
#নামপরিবর্তনকেনাবলুন #জাবি #বাঁচান #ওরাকারা?
0 Comments