গুলতেকিন এখন হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর চার বছর পর যা করছে এটাকে অসুস্থ
আচরণ মনে হচ্ছে।কারণ হুমায়ূন বেঁচে থাকতে তাঁকে নিয়ে কিছু বলেননি
তিনি।তারপরেও তার কথাকে বিশ্বাস করা যেতে পারে এই জন্য যে তিনি দীর্ঘদিন
মিডিয়া ও খ্যাতিকে প্রশ্রয় না দিয়ে দূরে ছিলেন।এখন ওয়েব পোর্টাল তাকে উস্কে
দিয়ে হোক অথবা স্বেচ্ছায় হোক তিনি চাপ ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ করেছেন।এই
সাক্ষাত্কার পড়ে কিছু উগ্র নারীবাদী হুমায়ূনসহ তাবত্ পুরুষ জাতিকে
গালিগালাজ ও দোষারোপ করছে।এটাও চরম অসুস্থ আচরণ।নারীবাদ যে একটা বর্ণবাদ
এটা এরা বারবার প্রমাণ করে দেয়।
২।
এই মুহূর্তে শাওনের অবস্থানটা জানার জন্য টিআরপি ও ক্লিক প্রত্যাশী মিডিয়া হন্যে হয়ে রয়েছে।তবে শাওন এ ব্যাপারে নিরব থেকে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন।
৩।
যেকসল অসুস্থ নারীবাদী গুলতেকিনের প্রতি হুমায়ূনের কথিত অবিচারে আহত হয়ে পুরুষদের গালি দেয় তারা কিন্তু সমঅপরাধী শাওনকে কিছুই বলেনা।এক নারীর সংসারে আরেক নারীর অনুপ্রবেশ কেন নারীবাদে নিন্দনীয় হবেনা?কারণ নারীবাদ অন্ধ বর্ণবৈষম্য কাঁধে নিয়ে বেঁচে আছে।
৪।
শাওন এবং হুমায়ূন বিয়ে করে সংসার করেছেন।সুস্থ জীবনযাপন করেছেন।এটা নিয়ে নিন্দার কি আছে?শাওন যদি বাপের বয়সীকে বিয়ে করে সুখে থাকে তাতে আপনার কি আসে যায়?কিংবা হুমায়ূন মেয়ের বয়সী কাউকে বিয়ে করলেও বা আপনার কি?এর কোন নৈতিক নিষেধাজ্ঞা তো নেই।বরং এই বিয়ে করে সুস্থভাবে জীবন ধারন না করে অবৈধভাবে গোপনে পরকীয়া,ব্যাভিচার নোংরামী করলে খুব 'সাহিত্যিক ও শৈল্পিক কুকর্ম'হতো তাইনা?নোংরামী না করে তারা বিয়ে করেছে অথচ সেটাই যদি নিন্দার হয় তবে সমস্যাটা তাদের নয়,আপনাদের হে জনাব/হে জনাবা।
৫।
আপনারা রবীন্দ্রনাথের ভাবীর সাথে করা নোংরামী মেনে নেন,নজরুলের বউ ছেড়ে পালানো মেনে নেন,আজাদের বাজে শব্দ মেনে নেন,তসলিমার পশুর মত নোংরাভাবে যৌনতা উপভোগ মেনে নেন আর একজন হুমায়ূনের দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেন না ।এটাকেই বলে অসুস্থতা।দেশের সাহিত্যিক সমাজে আড়ালে আবডালে যে পরকীয়া ও পরচর্চা চলে তার মধ্যে থেকে হুমায়ূন ও শাওন একটি পরিচ্ছন্ন জীবন উপহার দিয়েছেন।এইদিক থেকে তারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।
৬।
শাওন এখন যেটি করছে তা হচ্ছে হুমায়ূনের একচেটিয়া অধিকারস্বত্ত্ব সে ভোগ করছে।মিডিয়া থেকে শুরু করে নুহাশ পল্লী সব জায়গায়।এটা নিয়ে সমালোচনা হতে পারে ,তাদের বিয়ে নিয়ে না।কারণ দীর্ঘদিন সুখে জীবনযাপন করে তাদের বিয়ের যৌক্তিকতা প্রমাণ করেছেন হুমায়ূন ও শাওন।সত্যি বলতে এখন মিডিয়ায় শাওন যেমন নিরাবেগী হয়ে হুমায়ূন সম্পর্কে কিছু বলে সেটি আমার কাছে কেমন যেন কৃত্রিম মনে হয়।এটার জন্য আমার পর্যবেক্ষণের দূর্বলতা দায়ি হতে পারে।কারণ শাওনকে একজন অভিনেত্রী হিসেবেই চিরদিন পেয়েছি,হুমায়ূনের স্ত্রী শাওনকে পেয়েছি মৃত্যুর পর।যে হুমায়ূন টেলিভিশনসহ মিডিয়াকে এড়িয়ে চলতেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাওন মিডিয়ায় এসে সেই হুমায়ূন নিয়ে আলোচনা করেন ।কি আর বলার আছে!দেখা ছাড়া।
৭।
হুমায়ূন আহমেদের পরিবারকে বুঝতে হবে,হুমায়ূন তাঁদের পৈত্রিক বা বৈবাহিক সম্পত্তি কিন্তু হুমায়ূনের নৈতিক স্বত্ত্বা তাঁর পাঠককুল ও তার ভক্তকুলের।কারণ হুমায়ূনকে গড়েছে একেকজন হিমু,মিসির,রূপা,মায়াবতী।তো তাদের প্রিয় লেখকে নিয়ে যা তা করলে বা লিখলে তারাও এর যৌক্তিক প্রতিউত্তর দিতে সক্ষম।আপনি গুলতেকিন তাকে ফেলে নিভৃত জীবনযাপন করেছেন এবং এখন তার নিন্দা করছেন এটা অসুবিধাজনক আচরণ।আবার শাওন যে তাকে নিয়ে মিডিয়ায় আসেন এটাও হুমায়ূনীয় আচরণ না।আবার যেসকল পোর্টাল ঘরের খবর পরের করতে এইসব সাক্ষাত্কার প্রকাশ করছেন তারাও নৈতিকতার জালে আটকে যাবেন।বেঁচে থাকতে তাঁকে নিয়ে মেতে থাকা পোর্টাল এখন মৃত্যুর পর তাঁকেই বলীর পাঁঠা করছে এটা দুঃখজনক।
#হুমায়ূন #আহমেদ দিন শেষে একজন মানুষ। #গুলতেকিন , #শাওন ও তাদের পক্ষ নেয়া উগ্র নারীবাদীরাও মানুষ।গুলতেকিনের সাক্ষাত্কার নেয়া ও প্রকাশ করার দলটিও মানুষ। মানুষ মাত্রই ভুল।তো এই ভুল নিয়ে পড়ে থেকে আরো ভুল না করে সামনের সঠিক ও সৃষ্টিশীল কিছু নিয়ে পড়ে থাকাই উত্তম নয় কি?খোঁচা দিলে এই দুনিয়ায় প্রত্যেক পুরুষ ও প্রত্যেক নারীর অসংখ্য দোষত্রুটি ও ফাঁকফোকর বেরিয়ে আসবে।মানুষগুলো নিজের ভুলের ব্যাপারে জন্মান্ধ না হলে পৃথিবীটা স্বর্গ হতে একটুও দেরি হতোনা।
২।
এই মুহূর্তে শাওনের অবস্থানটা জানার জন্য টিআরপি ও ক্লিক প্রত্যাশী মিডিয়া হন্যে হয়ে রয়েছে।তবে শাওন এ ব্যাপারে নিরব থেকে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন।
৩।
যেকসল অসুস্থ নারীবাদী গুলতেকিনের প্রতি হুমায়ূনের কথিত অবিচারে আহত হয়ে পুরুষদের গালি দেয় তারা কিন্তু সমঅপরাধী শাওনকে কিছুই বলেনা।এক নারীর সংসারে আরেক নারীর অনুপ্রবেশ কেন নারীবাদে নিন্দনীয় হবেনা?কারণ নারীবাদ অন্ধ বর্ণবৈষম্য কাঁধে নিয়ে বেঁচে আছে।
৪।
শাওন এবং হুমায়ূন বিয়ে করে সংসার করেছেন।সুস্থ জীবনযাপন করেছেন।এটা নিয়ে নিন্দার কি আছে?শাওন যদি বাপের বয়সীকে বিয়ে করে সুখে থাকে তাতে আপনার কি আসে যায়?কিংবা হুমায়ূন মেয়ের বয়সী কাউকে বিয়ে করলেও বা আপনার কি?এর কোন নৈতিক নিষেধাজ্ঞা তো নেই।বরং এই বিয়ে করে সুস্থভাবে জীবন ধারন না করে অবৈধভাবে গোপনে পরকীয়া,ব্যাভিচার নোংরামী করলে খুব 'সাহিত্যিক ও শৈল্পিক কুকর্ম'হতো তাইনা?নোংরামী না করে তারা বিয়ে করেছে অথচ সেটাই যদি নিন্দার হয় তবে সমস্যাটা তাদের নয়,আপনাদের হে জনাব/হে জনাবা।
৫।
আপনারা রবীন্দ্রনাথের ভাবীর সাথে করা নোংরামী মেনে নেন,নজরুলের বউ ছেড়ে পালানো মেনে নেন,আজাদের বাজে শব্দ মেনে নেন,তসলিমার পশুর মত নোংরাভাবে যৌনতা উপভোগ মেনে নেন আর একজন হুমায়ূনের দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেন না ।এটাকেই বলে অসুস্থতা।দেশের সাহিত্যিক সমাজে আড়ালে আবডালে যে পরকীয়া ও পরচর্চা চলে তার মধ্যে থেকে হুমায়ূন ও শাওন একটি পরিচ্ছন্ন জীবন উপহার দিয়েছেন।এইদিক থেকে তারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।
৬।
শাওন এখন যেটি করছে তা হচ্ছে হুমায়ূনের একচেটিয়া অধিকারস্বত্ত্ব সে ভোগ করছে।মিডিয়া থেকে শুরু করে নুহাশ পল্লী সব জায়গায়।এটা নিয়ে সমালোচনা হতে পারে ,তাদের বিয়ে নিয়ে না।কারণ দীর্ঘদিন সুখে জীবনযাপন করে তাদের বিয়ের যৌক্তিকতা প্রমাণ করেছেন হুমায়ূন ও শাওন।সত্যি বলতে এখন মিডিয়ায় শাওন যেমন নিরাবেগী হয়ে হুমায়ূন সম্পর্কে কিছু বলে সেটি আমার কাছে কেমন যেন কৃত্রিম মনে হয়।এটার জন্য আমার পর্যবেক্ষণের দূর্বলতা দায়ি হতে পারে।কারণ শাওনকে একজন অভিনেত্রী হিসেবেই চিরদিন পেয়েছি,হুমায়ূনের স্ত্রী শাওনকে পেয়েছি মৃত্যুর পর।যে হুমায়ূন টেলিভিশনসহ মিডিয়াকে এড়িয়ে চলতেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাওন মিডিয়ায় এসে সেই হুমায়ূন নিয়ে আলোচনা করেন ।কি আর বলার আছে!দেখা ছাড়া।
৭।
হুমায়ূন আহমেদের পরিবারকে বুঝতে হবে,হুমায়ূন তাঁদের পৈত্রিক বা বৈবাহিক সম্পত্তি কিন্তু হুমায়ূনের নৈতিক স্বত্ত্বা তাঁর পাঠককুল ও তার ভক্তকুলের।কারণ হুমায়ূনকে গড়েছে একেকজন হিমু,মিসির,রূপা,মায়াবতী।তো তাদের প্রিয় লেখকে নিয়ে যা তা করলে বা লিখলে তারাও এর যৌক্তিক প্রতিউত্তর দিতে সক্ষম।আপনি গুলতেকিন তাকে ফেলে নিভৃত জীবনযাপন করেছেন এবং এখন তার নিন্দা করছেন এটা অসুবিধাজনক আচরণ।আবার শাওন যে তাকে নিয়ে মিডিয়ায় আসেন এটাও হুমায়ূনীয় আচরণ না।আবার যেসকল পোর্টাল ঘরের খবর পরের করতে এইসব সাক্ষাত্কার প্রকাশ করছেন তারাও নৈতিকতার জালে আটকে যাবেন।বেঁচে থাকতে তাঁকে নিয়ে মেতে থাকা পোর্টাল এখন মৃত্যুর পর তাঁকেই বলীর পাঁঠা করছে এটা দুঃখজনক।
#হুমায়ূন #আহমেদ দিন শেষে একজন মানুষ। #গুলতেকিন , #শাওন ও তাদের পক্ষ নেয়া উগ্র নারীবাদীরাও মানুষ।গুলতেকিনের সাক্ষাত্কার নেয়া ও প্রকাশ করার দলটিও মানুষ। মানুষ মাত্রই ভুল।তো এই ভুল নিয়ে পড়ে থেকে আরো ভুল না করে সামনের সঠিক ও সৃষ্টিশীল কিছু নিয়ে পড়ে থাকাই উত্তম নয় কি?খোঁচা দিলে এই দুনিয়ায় প্রত্যেক পুরুষ ও প্রত্যেক নারীর অসংখ্য দোষত্রুটি ও ফাঁকফোকর বেরিয়ে আসবে।মানুষগুলো নিজের ভুলের ব্যাপারে জন্মান্ধ না হলে পৃথিবীটা স্বর্গ হতে একটুও দেরি হতোনা।
0 Comments