বটতলা থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে দাঁড়িয়ে আছি।হঠাত্ নামল বৃষ্টি।রিকশাও আর
পাচ্ছিনা।ভাগ্যক্রমে এক রিকশা মামাকে পেলাম।দৌড়ায় রিকশায় উঠে হুড উঠিয়ে
দিয়ে বললাম,এইটা কেমন বৃষ্টি মামা?এসময়ে কিসের বৃষ্টি নামে?
মামা প্যাডেলে ধাক্কা দিয়ে বলে উঠলেন,মালিকের ইচ্ছা...।মালিক যা চায়,তাই হয়।
এই মালিকপন্থীরা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রলেতারিয়েত।এদের কাছে কথিত শিক্ষিত কমরেড বা মাস্টারের কথিত প্রমিত কাঠখোট্রা পরিভাষার চেয়ে সাধারণ ছাত্রের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বা মসজিদের ইমাম বা মন্দিরের পুরোহিতের উপদেশ শ্রুতিমধুর।শ্রম ও উত্পাদনক্ষেত্রে 'মামা' ডাকটা 'কমরেডের' চেয়ে শক্তিশালী ও কার্যকর।বাংলাদেশের কথিত বামপন্থী কমরেডদের গণঅসম্পৃক্ততার মূল কারণ এখানেই নিহিত।
বস্তুবাদী ইউরোপের অযৌক্তিক 'আফিমবাদ' বাংলাদেশের ধর্মানুরাগী শ্রমিক,কৃষক ও ব্যবসায়ীদের উপর প্রয়োগ করার মাধ্যমে এদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনকে কবর দেয়া হয়েছে।আহমদ ছফা এই দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন।সাধারণের কাতারে আসতে হলে সাধারণের ভাষা,বিশ্বাস ও কর্মকে শ্রদ্ধা করে তার সঙ্গে মিশতে হয়।'কমরেড' বলে সহকর্মীকে সম্বোধনে রয়েছে ঔপনিবেশিক পান্ডিত্য প্রদর্শন প্রবণতা।কার্যকর সম্বোধন হতে পারতো 'ভাই','দাদা','ভগ্নী' কিংবা 'মামা'।যখন 'প্রলেতারিয়েত' শব্দটি 'সর্বহারা' হয়েছিল তখনই কিন্তু গরীবেরা এতে যোগ দিয়েছিল।মেইনস্ট্রিম বামদের তাত্ত্বিক কমরেডগিরি রিকশাওয়ালার কাছে চলেনা।প্র্যাকটিক্যাল জগতে এসে নিপীড়িত গণের চাহিদা মোতাবেক কাজ করা ও নীতি নির্ধারণ করাই প্রকৃত বামপন্থা।রিকশাওয়ালা সাড়া দেয় 'ঐ মামা' ডাকে,সে সাড়া দেয় মসজিদ বা মন্দিরের আধ্যাত্মিক ডাকে,তার কাছে 'কমরেড' চলেনা।তারা চেনে 'ভণ্ড','ঘুষখোর','ভরামারা' কিংবা 'খারাপ','লুটেরা','শয়তান'; 'বুঁর্জোয়া' বা 'পেটি বুঁজোয়া' তারা জানেনা।অধিকার আদায় করে দিতে হলে বঞ্চিত এই চাষাভুষার চিন্তা ও কর্মের পরিধি জানতে হবে।তার প্রার্থনা,তার মানত,তার জন্মদান ও তার যাপনের নিজস্ব পদ্ধতি আছে।শোষিত,নিপীড়িত ও বঞ্চিতের সেই বিশ্বাস ও কর্ম পদ্ধতিকে অস্বীকার করে বাংলাদেশের কমিউনিজম কার্যত গণবিচ্ছিন্নতার শৃঙ্খলে স্বেচ্ছায় বা অজান্তে বন্দি রয়েছে...।
২৫ আগস্ট, ২০১৫
মামা প্যাডেলে ধাক্কা দিয়ে বলে উঠলেন,মালিকের ইচ্ছা...।মালিক যা চায়,তাই হয়।
এই মালিকপন্থীরা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রলেতারিয়েত।এদের কাছে কথিত শিক্ষিত কমরেড বা মাস্টারের কথিত প্রমিত কাঠখোট্রা পরিভাষার চেয়ে সাধারণ ছাত্রের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বা মসজিদের ইমাম বা মন্দিরের পুরোহিতের উপদেশ শ্রুতিমধুর।শ্রম ও উত্পাদনক্ষেত্রে 'মামা' ডাকটা 'কমরেডের' চেয়ে শক্তিশালী ও কার্যকর।বাংলাদেশের কথিত বামপন্থী কমরেডদের গণঅসম্পৃক্ততার মূল কারণ এখানেই নিহিত।
বস্তুবাদী ইউরোপের অযৌক্তিক 'আফিমবাদ' বাংলাদেশের ধর্মানুরাগী শ্রমিক,কৃষক ও ব্যবসায়ীদের উপর প্রয়োগ করার মাধ্যমে এদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনকে কবর দেয়া হয়েছে।আহমদ ছফা এই দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন।সাধারণের কাতারে আসতে হলে সাধারণের ভাষা,বিশ্বাস ও কর্মকে শ্রদ্ধা করে তার সঙ্গে মিশতে হয়।'কমরেড' বলে সহকর্মীকে সম্বোধনে রয়েছে ঔপনিবেশিক পান্ডিত্য প্রদর্শন প্রবণতা।কার্যকর সম্বোধন হতে পারতো 'ভাই','দাদা','ভগ্নী' কিংবা 'মামা'।যখন 'প্রলেতারিয়েত' শব্দটি 'সর্বহারা' হয়েছিল তখনই কিন্তু গরীবেরা এতে যোগ দিয়েছিল।মেইনস্ট্রিম বামদের তাত্ত্বিক কমরেডগিরি রিকশাওয়ালার কাছে চলেনা।প্র্যাকটিক্যাল জগতে এসে নিপীড়িত গণের চাহিদা মোতাবেক কাজ করা ও নীতি নির্ধারণ করাই প্রকৃত বামপন্থা।রিকশাওয়ালা সাড়া দেয় 'ঐ মামা' ডাকে,সে সাড়া দেয় মসজিদ বা মন্দিরের আধ্যাত্মিক ডাকে,তার কাছে 'কমরেড' চলেনা।তারা চেনে 'ভণ্ড','ঘুষখোর','ভরামারা' কিংবা 'খারাপ','লুটেরা','শয়তান'; 'বুঁর্জোয়া' বা 'পেটি বুঁজোয়া' তারা জানেনা।অধিকার আদায় করে দিতে হলে বঞ্চিত এই চাষাভুষার চিন্তা ও কর্মের পরিধি জানতে হবে।তার প্রার্থনা,তার মানত,তার জন্মদান ও তার যাপনের নিজস্ব পদ্ধতি আছে।শোষিত,নিপীড়িত ও বঞ্চিতের সেই বিশ্বাস ও কর্ম পদ্ধতিকে অস্বীকার করে বাংলাদেশের কমিউনিজম কার্যত গণবিচ্ছিন্নতার শৃঙ্খলে স্বেচ্ছায় বা অজান্তে বন্দি রয়েছে...।
২৫ আগস্ট, ২০১৫
0 Comments