সর্বশেষ

পশ্চিমা মডেলের গণতন্ত্র

প্রচলিত গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সঙ্ঘাত যে শুধু বাংলাদেশে হয় বিষয়টি তা নয়।প্লেটো ও এরিস্টটের 'মূর্খের শাসনব্যবস্থা'পৃথিবীর প্রতিটি দেশে অভ্যন্তরীণ সমস্যা তৈরি করছে।এই যে আফ্রিকায় যে যুদ্ধ তাতে পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপ জায়েজ করতে 'গণতন্ত্র'ব্যবহৃত হয়।কথিত তৃতীয় বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদীরা এই প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে যে,'বহু দল ও বহু মতের সন্নিবেশই গণতন্ত্র'।এরফলে রাষ্ট্র পরিচালনায় বিপক্ষ তৈরি হয় এবং এই বিপক্ষগুলো বৃহত্‍ রাষ্ট্রের কাছ থেকে ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চেষ্টা করে।অবস্থার নাজুকতায় সরকারী দলও একটি ব্লকের ছায়া নেয়।এরপর পশ্চিমাদের স্বার্থের কেউ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত না হলে সে দেশে গুপ্তচর দিয়ে গৃহযুদ্ধ ও চরমপন্থার উদ্ভব ঘটায়।এই পরিস্থিতিতে আত্মঘাতী জাতীয় সংঘাতের সুযোগে আমেরিকা ও ইউরোপ অস্থিতিশীল রাষ্ট্রের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করে,গোপন চুক্তি করায়।চূড়ান্তভাবে পশ্চিমা গণতন্ত্র হয়ে ওঠে শোষণের হাতিয়ার।
সিরিয়ার গন্ডগোলের আশু ইস্যু পশ্চিমা মডেলের গণতন্ত্র,মিশরের তাহরীর স্কয়ার পশ্চিমা ধাঁচের,ফিলিস্তিনের ফাতাহ আর হামাস দ্বন্দ্বের মূল পশ্চিমা গণতান্ত্রিক মডেল।এশিয়ার থাইল্যান্ড,পাকিস্তান,ইয়েমেন,বাহরাইন প্রভৃতি দেশের যুদ্ধ ও রক্তপাতের মূল পশ্চিমাদের গণতন্ত্রবাদ।শাসনব্যবস্থা হিসেবে দূর্বল এ তন্ত্রটি মূলত নব্য সাম্রাজ্যবাদ ও নব্য উপনিবেশবাদের সুশীল বিস্তৃতি ঘটাচ্ছে।
পাঠ অনুভূতি

Post a Comment

0 Comments