২৪ অক্টোবর ২০১৬ । চট্রগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম । সাদা জার্সিতে মাঠে নামা তিনজন মানুষের হাতে লাল-সবুজের প্রিয় বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক বিজয় এনে দেয়ার ক্ষণ । ক্রিকেটপাগল প্রতিটি বাংলাদেশি জানে সমগ্র বাংলাদেশের পাস মার্ক কাল ৩৩ ! যারা কেবল ক্রিকেট খেলা ভাল করে বোঝেন তারাই জানেন কিভাবে, কত স্পষ্টভাবে এই ৩৩ সংখ্যাটি ১৬ কোটি মানুষের বিপুল আশা-স্বপ্ন-ভালবাসাকে কাল নিয়ন্ত্রণ করবে । আজ করছে । এবং ভবিষ্যতে প্রতিটি টেস্ট ম্যাচের শেষ ইনিংসে যখন প্রিয় বাংলাদেশে চেইজ করতে নামবে তখন এই দিনটার কথা স্মরণে আসবে । এ ম্যাচের ফলাফল কি পরিমাণ আবেগকে প্রভাবিত করবে, করছে তা আমরা যারা বাংলাদেশের সাদা জার্সি পরিহিত ক্রিকেট ম্যাচ দেখার জন্য ১৪ টি মাস অপেক্ষা করছি তারা অনুধাবন করতে পারছেন । এটি আমাদের ইতিহাস গড়ার একটি দিন । ওদের জন্য মনের একেবারে গভীর থেকে ভালবাসা. শুভকামনা এবং কিছু কথা ।
এটাকিং ইজ বেটার দ্যান ডিফেন্সিভ
সাব্বির ও তাইজুলকে কাল শুধু টিকে থাকতে হবে পিচে । চাপ নিস না ভাইয়া । মনে রাখবি বলে শট খেলা জরুরি না । ব্যাটে বলে লাগলে বল এমনিতে বেরিয়ে যাবে । কিংবা তোরা পিচে থাকলে ৩৩ রান একস্ট্রা দেবে ইংলিশ বোলাররা । এই তো সেই ব্রোড যে ছয় বলে ৬ টা ছক্কা খেয়েছে । তো কিসের চিন্তা । যদি স্পিনের সময় ওরা ঘিরে আসে তবে জোরসে শট খেলে দিবি । সাহস ছাড়া বিজয়ী হওয়া যাবেনা । মনে রাখবি শট খেললে ক্যাচ উঠলেও ধরতে পারবেনা । বল ৩০ গজের বাইরে গেলেই চলবে । কিন্তু বেশি ঠেকালে, ডিফেন্সিভ হলে তা মানসিকভাবে ওদের উজ্জ্বীবিত করবে । এটাকিং বা আক্রমণাত্মক খেলে যেতে হবে । ২০ রানের নিচে নামলে ব্রিটিশদের লাল মুখ জ্বলে ঘোলা হয়ে যাবে বাংলার রৌদ্রে ।
সাবধান , ধীর-স্থির হয়ে টিকে থাকতে হবে
সকাল বেলা পিচে শিশির থাকবে । বল দ্রুতগতিতে ব্যাটে আসবে । অনেক সতর্ক হয়ে খেলতে হবে যেন প্যাডে না লাগে কিংবা ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে বা কিপারের কাছে ক্যাচ না যায় । এলবিডব্লিউ বা ক্যাচ ছাড়া ওরা তোদের কিছু করতে পারবেনা ।
মনে রাখতে হবে সকাল বেলা ওদেরও অসুবিধা আছে । কারণ বল যদি ঠিকমত ফেইস করে ব্যাটে লাগানো যায় তবে সহজেই বল বেরিয়ে যাবে এবং রান পাবো আমরা । টেলএন্ডাররা যখন গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এমন পরিস্থিতি হয় তখন কামরুলের মত লোকরে দলে নেয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই । ওখানে মোসাদ্দেক থাকলেও এখন কাজে আসতো ।
সাবধান , ধীর-স্থির হয়ে টিকে থাকতে হবে
সকাল বেলা পিচে শিশির থাকবে । বল দ্রুতগতিতে ব্যাটে আসবে । অনেক সতর্ক হয়ে খেলতে হবে যেন প্যাডে না লাগে কিংবা ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে বা কিপারের কাছে ক্যাচ না যায় । এলবিডব্লিউ বা ক্যাচ ছাড়া ওরা তোদের কিছু করতে পারবেনা ।
মনে রাখতে হবে সকাল বেলা ওদেরও অসুবিধা আছে । কারণ বল যদি ঠিকমত ফেইস করে ব্যাটে লাগানো যায় তবে সহজেই বল বেরিয়ে যাবে এবং রান পাবো আমরা । টেলএন্ডাররা যখন গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এমন পরিস্থিতি হয় তখন কামরুলের মত লোকরে দলে নেয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই । ওখানে মোসাদ্দেক থাকলেও এখন কাজে আসতো ।
শফিউল-তাইজুল-সাব্বিরঃ ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে
শফিউলের ভাল করে সাপোর্ট দেয়ার পূর্ণ মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে । কারণ সকাল বেলার ময়েশ্চার যেকোন একটি উইকেট হঠাৎ ফেলে দিতে পারে । তখন ভেঙে পড়া যাবেনা । যেকোন জুটিই ৩৩ রান করার সক্ষমতা রাখে । মনে রাখবেন ইংল্যান্ডে একজন মালিঙ্গা, শোয়েব আখতার, ম্যাকগ্রা নেই যে, যে কোন সময় বাংলাদেশের টেইলএন্ডারদের শঙ্কায় ফেলে দিতে পারে । জাস্ট শফিউলের সেই বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সটি করতে হবে ঠান্ডা মাথায়। সাব্বির , তুমি ছোট অবস্থায় সারা দেশের মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হওয়ার এই অদ্বিতীয় সুযোগ হাতছাড়া করোনা , ভাইয়া । মনে রেখো, তোমার ব্যাট লিখতে পারে ইতিহাস । ২০০ বছরের শোষণের সাংষ্কৃতিক জবাব দিতে পারো ঐ ব্যাটটি দিয়ে । ১৪ টি মাস ক্ষমতার বাজে দাপটে যারা আমাদের টেস্ট খেলার অধিকার অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ করেছে তাদের চপেটাঘাতের জন্য এই দিনটি দারুন একটি সুযোগ । আমরা অশ্রুভেজা নয়নে তোমাকে নিয়ে গৌরববোধ করবো যদি ৩৩ টি রান বাংলাদেশ করে । দোয়া রইলো ।
আম্পায়ারদের ভুল নে না হয়!
আম্পায়াররা গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে । এরা যদি ৫০/৫০ চান্সের অন ফিল্ড কল নট আউট রাখে সেটি বাংলাদেশের জন্য কল্যাণজনক হবে । বিশ্বব্যাপাী ক্রিকেটের ইতিহাস দেখলে দেখা যায় স্বাগতিক দেশের পক্ষে অনফিল্ড কল যায় । কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি ভিন্ন হয় । আমাদের বিরুদ্ধে আঙুল উঁচু করে দিতেই যেন আম্পায়ারদের হাতে আঙুল দিয়েছেন স্রষ্টা ।
নিম্নমানের ক্রীড়া সাংবাদিকতা আর কত?
আমাদের লাগবে মাত্র ৩৩ টি রান । হাতে রয়েছে টানা একটি দিন । কমপক্ষে ৮০ ওভার । শেষ দিনের যত হিসেব নিকেশ আছে ওসব বাদ দিয়ে সাব্বির আর তাইজুলের জন্য ভাল কিছু কামনা করুন । আমরা বাংলাদেশি । চিরকাল প্রচলিত ডাইমেনশন ভেঙেই আমাদের বিজয় আমরা ছিনিয়ে আনি । তাই আগের যুগের শেষ দিনের হিসেবকে পত্রিকা পোর্টালে দিয়ে যারা সংবাদ করছেন তারা আসলে জাতীয়তাবোধহীন সাংবাদিক পাল । কারণ সাংবাদিকতা মনস্তাত্ত্বিক জগতে প্রভাব ফেলে।
আপনাদের উচিত ছিল সাব্বির-তাইজুল-শফিউলকে অনুপ্রেরণা দিয়ে সংবাদ করা । এবং নেতিবাচক সংবাদ বাদ দিয়ে শেষ দিনে ম্যাচ জেতার কথা তুলে ধরা । দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে শফিউলের ব্যাটে এই ব্রিটিশদের আমরা হারিয়ে ছিলাম সেই ইতিবাচক খবরকে ফোকাস করা উচিত ছিল । তা না করে ক্রীঢ়া সাংবাদিক নামের লোকগুলো নিজেদের গুগলিংকে প্রায়োরিটি দিয়ে সংবাদ লিখেছে । পঁচা আর কচুর ক্রীড়া সাংবাদিকতা !
“হাথুরির বিশ্বাস এখনো সম্ভব” , “ পারবে বাংলাদেশ” কিংবা “ কতটা কঠিন বাংলাদেশের কাজটা ” এই জাতীয় বাজে শিরোনাম যারা করতে পারে তারা মনস্তাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ক্ষতিই করছে । এই কাজটা এরা করতে বেশ পটু!
আমাদের লাগবে মাত্র ৩৩ টি রান । হাতে রয়েছে টানা একটি দিন । কমপক্ষে ৮০ ওভার । শেষ দিনের যত হিসেব নিকেশ আছে ওসব বাদ দিয়ে সাব্বির আর তাইজুলের জন্য ভাল কিছু কামনা করুন । আমরা বাংলাদেশি । চিরকাল প্রচলিত ডাইমেনশন ভেঙেই আমাদের বিজয় আমরা ছিনিয়ে আনি । তাই আগের যুগের শেষ দিনের হিসেবকে পত্রিকা পোর্টালে দিয়ে যারা সংবাদ করছেন তারা আসলে জাতীয়তাবোধহীন সাংবাদিক পাল । কারণ সাংবাদিকতা মনস্তাত্ত্বিক জগতে প্রভাব ফেলে।
আপনাদের উচিত ছিল সাব্বির-তাইজুল-শফিউলকে অনুপ্রেরণা দিয়ে সংবাদ করা । এবং নেতিবাচক সংবাদ বাদ দিয়ে শেষ দিনে ম্যাচ জেতার কথা তুলে ধরা । দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে শফিউলের ব্যাটে এই ব্রিটিশদের আমরা হারিয়ে ছিলাম সেই ইতিবাচক খবরকে ফোকাস করা উচিত ছিল । তা না করে ক্রীঢ়া সাংবাদিক নামের লোকগুলো নিজেদের গুগলিংকে প্রায়োরিটি দিয়ে সংবাদ লিখেছে । পঁচা আর কচুর ক্রীড়া সাংবাদিকতা !
“হাথুরির বিশ্বাস এখনো সম্ভব” , “ পারবে বাংলাদেশ” কিংবা “ কতটা কঠিন বাংলাদেশের কাজটা ” এই জাতীয় বাজে শিরোনাম যারা করতে পারে তারা মনস্তাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ক্ষতিই করছে । এই কাজটা এরা করতে বেশ পটু!
স্রষ্টার কৃপা চাই
সর্বপরি মনে রাখবেন ভাই-বেরাদার-আপারা, মহান স্রষ্টা না চাইলে ৩৩ রান আমাদের করা কঠিন হবে ।
তাই সকলেই যার যার ধর্মমতে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করুণ বাংলাদেশের বিজয়ের জন্যে । আল্লাহ চাইলে আমরা ম্যাচ জিতবো ।
![]() |
| আল্লাহ, তুমি সাব্বিরের দিকে ও বাংলাদেশের দিকে চেও চট্রগ্রামের টেস্টে । |
পরাজয় জয় খেলার অংশ । যদি আল্লাহ আমাদের কপালে বিজয় না রাখে তবে তাও আমরা আছি বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাথে । আমরা বাংলাদেশকে ভালবাসি । আমরা বিশ্বাস করি, একটি টেস্ট আমাদের সবকিছু না । তাই কালকের টেষ্টের পরে মীরপুর টেস্টেও আমরা নিঃস্বার্থ সমর্থন দিতে মাঠে-টিভির সামনে থাকবো ।
এগিয়ে যাও, প্রিয় বাংলাদেশ
হৃদয়ে ধারণ করো প্রলয়বেশ।

