সর্বশেষ

থাইল্যান্ডে দাস হিসেবে পাচারকৃত বাংলাদেশীদের পাশে দাঁড়ান

হায় ! প্রিয় বাংলাদেশ, তোমার সাধের সন্তানেরা থাইল্যান্ডের জঙ্গলে পাতা খেয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রামে আজ । তোমার সুজলা সুফলা শস্য শ্যামল বুকের আদরের মাটির সন্তান ভীণদেশে দাস হিসেবে পাচার হচ্ছে,অমানবিকভাবে নির্যাতীত হচ্ছে...আরো কত কি! কেউ তোমার সন্তানের দেখাশোনা করেনা,সবাই তোমাকে রক্তাক্ত করতেই পারঙ্গম।

থাইল্যান্ডের গভীর জঙ্গলের একটি ক্যাম্প থেকেই ১৩০ জন বাংলাদেশীকে উদ্ধার করা হয়েছে।তাদেরকে দাস হিসেবে ব্যবহার করা হতো,প্রহার করে ও অভুক্ত রেখে এসব বাংলাদেশীকে বিক্রি করতো যেকোন সময় থাইল্যান্ডের কিছু ঘৃণ্য মানুষ।ঐ পৈচাশিক ক্যাম্পের রহিম নামের এক দুর্ভাগা বলেছে,তারা ৩০০ জনের একটি দল এসেছিল।বাকিরা তবে কোথায় আছে?এরকম দাস ক্যাম্প থাইল্যান্ডের আরো কতগুলো আছে?নারকেল জিঞ্জিরা দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই যেসব জাহাজ মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের কথা বলে ছাড়ে তারা আসলে কোথায় যায়?কতদিন ধরে কি পরিমাণ বাংলাদেশী এভাবে দাস হিসেবে পাচার হচ্ছে?

এখন পর্যন্ত সরকার থাইল্যান্ডকে কোন হুঁশিয়ারী দেয়নি।এখন পর্যন্ত থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও তলব করা হয়নি।কেন এই পতিতাল্যান্ডের উপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছেনা?এদেশের বহু গণ্যমান্য রাজনীতিবীদ,ব্যবসায়ী ও সেলিব্রেটি সময় পেলেই ব্যাংকক গিয়ে টাকা ঢেলে আসেন।সেদেশের কিছু অসভ্য যখন বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে পিশাচের মত আচরণ করে তখন কেন তারা নিরব?আমরা কি থাইল্যান্ডের খাই না পরি?কেন আমার ভাইয়ের না খেয়ে বা ঘাসপাতা খেয়ে পশুর মত জীবনযাপন করবে?
হে বাংলাদেশ,জবাব দাও।অন্যথায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ তছনছ করে দেবে যত ভোগবিলাস,পুঁজিবাদ ও ক্ষমতালিপ্সা।
অনতিবিলম্বে থাইল্যান্ড থেকে সব বাংলাদেশীকে ফিরিয়ে আনা হোক।ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করুন থাইল্যান্ডকে।যদি আমতা আমতা করে বাংলাদেশে থাই ফুড ও কাপড়সহ সব পন্য নিষিদ্ধ করে দেওয়া হোক।অসভ্যকে শায়েস্তা করতে কঠোরতার বিকল্প নেই ।
১৯ অক্টোবর , ২০১৪
পাঠ অনুভূতি