সর্বশেষ

আয়নাবাজি এবং আমরাও আয়নাবাজ

সেনা অডিটরিয়ামে আয়নাবাজি দেখতে গিয়ে #আয়নাবাজি করলাম আমরাও । সাড়ে তিনটার শো দেখতে গিয়েছি আড়াইটায় । তাও দেখি দীর্ঘ লাইন । আয়নাবাজি করে লাইনে সামনে দাঁড়ানো এক বন্ধুর কাছ থেকে টিকেট পেলাম । ভেতরে গিয়ে বসার মিনিট পাচেঁকের মধ্যে হাউসফুল অবস্থা । সিট নেই বলে ফাঁকা জায়গায় প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে দর্শককে বসতে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ । সবার যে আয়নাবাজি দেখতেই হবে । সবাই যেন আয়নার বহু আগের পরিচিত । আমরা ও আয়নাবাজ । ফেসবুকে সেই আয়নাবাজি দেখাতে আসছি।...;)..:)
২।
সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারধর্মী বাংলা চলচ্চিত্র। আমাদের চারপাশটা এতো নিখুঁতভাবে #মনপুরার পর এখানে তুলে ধরা হল। সিনেমার শটে নতুনত্ত্ব ছিল। Aerial shot ছিল চোখে পড়ার মত। Bird's eye View Shot ও একে বলা যায়। আকাশ থেকে নেয়া শটের ব্যবহার বাংলাদেশে এর আগে কোন সিনেমায় দেখা গেছে কি না তা জানিনা । উপর থেকে দেখলে ঢাকাও হয়ে যায় বিশ্বসেরা কিছু। চঞ্চল ও পার্থ ও বৃন্দাবন দাসসহ পার্শ্ব অভিনেতারা ভাল অভিনয় করেছে। নাবিলার হাঁটার সময় বাম হাত নড়ে না কেন বুঝলাম না।
৩।
কাহিনীটা অভিনব। যেহেতু আগেই পরিচালক বলেছেন এটি ফিকশান তাই ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বা সাউন্ডে আরো বৈচিত্র্য আনার সুযোগ ছিল। সমাপ্তিটা হয়েও হয়নির মত। এটাই দর্শককে উৎকন্ঠিত করেছে । শটের বৈচিত্রে মনপুরার চেয়ে সেরা আয়নাবাজ, তবে কাহিনী ও জীবনবোধে মনপুরার ধারেকাছেও নেই।


কিন্তু ফারুকী যে সার্কাস তৈরি করে তারচেয়ে কয়েকশ গুণ সেরা চলচ্চিত্র হয়েছে আয়নাবাজি। সেই সাথে যারা কলকাতা, মুম্বাইয়ের ন্যাকামী আর কৃত্রিম চলচ্চিত্রের পান্ডা ক্যাটেগরির ভক্ত তাদের চোখে এটি পৃথিবীর সেরা চলচ্চিত্র হওয়া উচিত।
৪।

আদালতপাড়া, হাসপাতাল, জেলখানা, নাগরিক জীবন, ঢাকার রাস্তাঘাট, পুরোনো ঢাকার স্থাপত্য, উচ্চবিত্তের বিকৃত জীবন এবং এই সমাজে একজন সৎ সাংবাদিকের জীবনযাত্রা সুনিপুণভাবে ফোটানো হয়েছে।
সব মিলিয়ে চমৎকার কাজ। অমিতাভ রেজা, চঞ্চল, গাউসুল, পার্থ সবাই মিলে জাস্ট সেইরকম একটা কাজ করেছে। অভিনন্দন। আয়নাবাজি চলছে, চলতে হবে। কারণ আমরা সবাই কমবেশি সারাফত করিম আয়না, বুঝা গেছে ব্যাপারটা ???
#Aynabaji
পাঠ অনুভূতি

Post a Comment

0 Comments