সর্বশেষ

কারবালা

৬১ হিজরি।১০ মহররম।কূফা।কারবালা। মহাশোকগাঁথা।

পৃথিবীর ইতিহাসে এমন বর্বর হত্যাকান্ড দ্বিতীয়টি আর নেই।অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে উমাইয়া পিশাচেরা কতটুকু অমানুষ হতে পারে তা কারবালায় ৭২ জন নিরস্ত্র সঙ্গীসহ ইমাম আল হোসাইনকে হত্যা করার মাধ্যমে প্রকাশ করেছে।হোসাইন বিপ্লবের প্রতীক।মানুষের জ্ঞাত ইতিহাসের প্রথম বিপ্লবী।কারবালার ভয়াবহ হত্যাকান্ড সমগ্র মুসলিম জাতিকে রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত করেছে।তৈরি হয়েছে শিয়া ও সুন্নী মতামত।
কে দায়ি নবী বংশকে ধ্বংস করায়?অভিশপ্ত ইয়াজিদ,বেঈমান জিয়াদ,সীমার ও ইরাকের কূফার বিশ্বাসঘাতক জনতা।এদের সবার উপর আল্লাহর লা'নত বর্ষিত হোক।সেই সাথে যে বা যারা ইমাম হোসাইনের প্রাপ্ত খিলাফত নেতৃত্ত্ব তাকে না দিয়ে নরাধম,মদ্যপ,ব্যভিচারী ইয়াজিদকে দিয়েছে বা তাকে সমর্থন করেছে তারাও বিভ্রান্ত এবং মুসলমান পরিচয়ে আসলে উমাইয়া স্বজনপ্রীতি করেছে।ইসলামের নীতি না মেনে নিজের সন্তানকে ক্ষমতায় বসানো মুয়াবিয়া রা ও পরোক্ষভাবে কারবালার ট্রাজেডির খলনায়ক।তার বিচার আল্লাহর হাতে।তবে ইয়াজিদের উপর অভিশাপ আমরা দিয়েই যাবো।
কারবালার করুন কাহিনী আমাদের অন্যায় ও শোষণের প্রতি মাথানত না করে প্রতিরোধের শিক্ষা দেয়।ইমাম হোসেন ও তাঁর বিপ্লবী সঙ্গীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।হৃদয়ের গভীর থেকে আজ শুধু উচ্চারিত হচ্ছে হায় হোসেন!হায় হোসেন!
বড় করুন তার প্রতিধ্বনি!১৪০০ বছর পরেও আমাদের চোখ ভিজিয়ে দেয় ব্যথার রক্তাক্ত অনলে...।
পাঠ অনুভূতি