বাঙালির বিনোদনের ব্যবস্থা হতো বিশাল খোলা মাঠে এঁড়ের লড়াই, মোরগ লড়াই,ঘোড়া দৌড় বা পুতুল নাচের মাধ্যমে। আর পানিতে হতো নৌকাবাইচ। এসব চৈত্রের শেষ দিন করা হতো এবং তা বৈশাখের প্রথম দিন পর্যন্ত চলতো। এখন পয়লা বৈশাখে এসব চলে? এখনো খালি খাওয়া আর খাওয়া আর ফ্রয়েডীয় মজামাস্তি। এটা বাঙালির ঐতিহ্য নয়।
চৈত্রের শেষ দিন থেকেই অনার্য বাঙালি ঘরদুয়ার গোছাতো, ঘরের ডোয়া মাটি দিয়ে লেপে নতুন করতো, উঠান ঝাড়ু দিতো, আগাছা কেটে ফেলতো। বছরের শেষ দিন থেকে প্রথম দিন কেউ মিথ্যা বলতোনা। তিতা খাবার ও নানা রকমের সব্জি রান্না হতো একসাথে, অনেকটা জগাখিচুড়ি। এটাই ছিল প্রিয় খাবার। সেই সাথে ঝুনা নারকেল দিয়ে চাল ভাজা খেয়ে পাটিতে বসে গল্প চলতো এবার কি ধান বুনবে না রোপন করবে ইত্যাদি। এখন কি দেখা যায়?
[বাঙালির বর্ষবরণ-৬]
১৩ এপ্রিল, ২০১৫।
