১৯৮৯ সাল থেকে পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার সূচনা। এটি চালু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ। এর সাথে বাঙালির ইতিহাসের কোন সম্পর্ক ছিলনা। এই শোভাযাত্রা বা মিছিল করা হাজার বছরের বাঙালির সাথে সম্পৃক্ত নয়। এটি পারস্য সাম্রাজ্যের নওরোজ উত্সবের সাথে সম্পৃক্ত। এটিকে পশ্চিমা সভ্যতার থার্টিফার্স্ট নাইটের উদ্যম আনন্দ উদযাপনের সাথেও মিল পাবেন। স্পষ্টত পহেলা বৈশাখে উপনিবেশিক ধারনার সংযুক্তি ঘটেছে।
পূন্যাহ বা হালখাতা সম্পর্কে আমরা জানি। পাওনা উত্তোলন ও খাজনা বা ট্যাক্স গ্রহণের সাথে এগুলো জড়িত। মোঘল সাম্রাজ্যবাদীরা শস্য শ্যামল বাঙলার কৃষকদের কাছ থেকে কড়া খাজনা তুলতেই পহেলা বৈশাখে মজমা মেলাতো। এই একই পুঁজিবাদী উত্সব ইংরেজদের দাস জমিদার শ্রেণী চালিয়ে যায়। উদ্দেশ্য একটাই,গরীবের রক্ক চুষে খাজনা আদায়।
এ খাজনা আদায়ের অপউদ্দেশ্যে বাংলা সনের আদিমাতা শকাব্দের প্রথম মাস চৈত্রকে হটিয়ে বৈশাখকে প্রথমে আনা হয়। অথচ কৃষক এখনো ক্ষেতে কাজ করতে যেতে চৈত্রের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে। গ্রামের চাষির পঞ্জিকা লাগেনা। বংশ পরম্পরায়া চৈত্র সংক্রান্তি সে মনে রেখেছে। চড়ক মেলা,বটতলার মেলা, মোরগ লড়াই, নৌকা বাইচ চৈত্র সংক্রান্তির এ উত্সব এখন পুঁজিবাদী পহেলা বৈশাখের গর্ভে।
উত্সব হিসেবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করুন। কোন আপত্তি নেই। কিন্তু এটিকে হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংষ্কৃতির সঙ্গে সংযুক্ত করবেন না। চৈত্র সংক্রান্তি, নবান্ন হাজার হাজার বছরের পুরোনো, পহেলা বৈশাখ নয়।
১৩ এপ্রিল, ২০১৫।
